আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের বাজেট আকাঙ্খা

চাই। আবারো এসেছে বাজেটের সময় ,আগামি ২০১২-২০১৩আর্থিক সালের খসড়া বাজেট হয়তোবা ইতি মধ্যেই দাঁড়িয়ে গেছে । আমরা একেবারে সাধারন মানুষ যারা ,যাদের কোন কিছুই দেশের, সমাজের ,রাষ্ট্র কিংবা সরকারের উপর কোন প্রভাব ফেলছে না ফেলবেও না, কিন্তু বাজেট আমাদের জিবন কে প্রতি বছড় নাড়িয়ে দেয় ব্যাপকভাবে। এমনিতেই নুন আনতেই পান্তা ফুরোয় তার উপরে জিনসপাতির দামের উচ্চ লম্ফ আমাদের জিবন কে খুব কঠিন করে দেয়। বেতন কিংবা আয় তো বাড়ে খুব সামান্যই কিন্তু বাজার প্রতিদিন লাফিয়ে চলে অদম্য গতিতে।

এডিপি কিংবা রাজস্ব ব্যায় বাড়ানো হোক বা না হোক পন্য মূল্য বাড়বেই এটা যেন নির্ধারিত। কৃষক তার উৎপাদিত পন্যের মুল্য না পেলেও সেই পন্যই কিনতে গেলে আকাশ পাতাল ফাড়াকে দিল তড়াক করে লাফ দিয়ে বেরুতে চায়। শোনা যায় ডলারের রিজার্ভ কম কিংবা দাম বাড়ানো হলো, আবার খবর বেরোয় দেশে রেমিটেন্সের বন্য বয়ে যাচ্ছে, তাহলে আমাদের প্রবাসি ভাইদের পাঠানো বিদেশী মুদ্রাগুলো যায় কোথায়? দেশের সিংহভাগ মানুষের প্রথম এবং প্রধান দায় পেটের দায় ,এবং এর সাথেই যেনো সমাজের একটা অংশের চির বৈরীতা পাইকাড়ি,আড়তদার ,মজুতদার এবং আমদানি কারক এরা যেনো দিব্যি-কসম খেয়ে আদা জল খেয়ে নেমে পড়ে মাল কামাতে বাজেটের অজুহাতে ,করের অজুহাতে দাম বাড়িয়ে বাজারটা বেসামাল করে তোলে । সরকারের আয়ের অনেক সুজোগ আছে ,যেমন আমদের দেশে ভোগ বিলাসের সামগ্রী ইদানিং এতো বেশি আসছে এবং ব্যবহৃত হচ্ছে যেনো এগুলো ছাড়া আমাদের চলবেই না। অপ্রয়োজনিয় পন্যের ( মদ, ধুমপান ,পান ,তামাক,বিদেশি ফরমালিন যুক্ত দামি ফলমুল, মাল্টিমিডিয়া সেলফোন সেট ,মেমোরি কার্ড, প্লেইং কার্ড ,নানা রকম ড্রাগস এবং জিবন রক্ষা করেনা তার পরে কিনতে গিলতে বাধ্য হই এমন ঐষধ, ফ্ল্যাট,হোম থিয়েটার, এলসিডি টিভি ও টিভি চ্যানেল, এয়ার কুলার ,বিদেশী তৈরী পোশাক) ব্যাবহার এতো বেড়ে গেছে যেনো এসব ছাড়া জিবন অচল।

অথচ এসব পন্যের জন্য আমাদের নিত্যদিনের জিবনে তেমন কোন অভাব বোধ হয়না কিন্তু এমন আরো অগনিত পন্যের জন্যই দেশ থেকে চলে যায় হাজার হাজার কোটি বিদেশী মুদ্রা যার প্রভাব পড়ে আমাদের ভোগ্য পন্যের বাজারেও। বিশেষভাবে ধুমপানে ,মদ্যপানে পান ,তামাকে টাকা পুড়িয়ে, গিলে খেয়ে এবং গলাধ করন করে প্রতিটি মিনিটে শেষ করে দেয়া হয় যাতে দেশ তো পরে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদেরও কোন উপকার হয়নি,বরং কিছু গোষ্ঠিকে আমাদের উপর প্রভুত্ব করবার জন্য নিজেরা নিজেদের মাথায় উঠিয়ে নিচ্ছি। আমরা যতই বুঝি বা যতই বলি না কেনো সরকার কি এগুলোর কোনটিও বন্ধ করতে পারবেন? শুধুমাত্র ধুমপানে প্রতি মিনিটে প্রায় ২ কোটি টাকা পুড়ে ছাই হয় । যদি রাজস্ব আয় বাড়াতেই হয় তবে এসব আইটেম এর সাথে বিলাস বহুল ফ্ল্যাট , ব্যাক্তিগত ব্র্যান্ড নিউ গাড়ি এমন সব পন্যের উপর যত খুশী ট্যাক্স,ভ্যাট উৎসে কর যা খুশী যোগ করুন আমাদের তাতে কোন ক্ষতি নেই । আমরা শুধু ন্যায্যদামে ছোট বাচ্চার দুধ কিনতে চাই, সয়াবিনতেলটাও চাই সঠিক দামে,দেশি চিনি গুদামে পঁচে গলে যায়, সিন্ডিকেট বিদেশ থেকে চিনি এনে কারবারি করে, আমার দেশী চিনি সাদা না হলেও বাজারে চাই যে কোন ভাবে, দায়টা সরকারের।

চাল পঁচে ,তার পরেও আমদানি হয় কিন্তু দাম বাড়ে প্রতিমাসেই, কৃষক কিন্তু চলমান সেচের ধানের উৎপাদন খরচ পর্যন্ত তুলতে পারছে না তাই বলে চালের দাম কি কমেছে? ট্রাক ভাড়ার অজুহাতে ওরা ঠিকই হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। গম ,ডাল, শিশু খাদ্য ঔষধের কাঁচামালের উপর থেকে করে বোঝা নামিয়ে নিন ,ব্যাপারিদের উপর মুল্যহ্রাসের খড়গ চাপিয়ে দিন, আমরা তাতে দুবেলার খাবার অন্তত ন্যয্য মূল্যে কিনে খেতে পারবো। দেশের মাঝেই পাবলিকলী বিমান, হেলিকপ্টার চলে এগুলোর তেলের ভর্তুকী বন্ধ করে দিন ,সরকারি অফিসে ও কর্তার বাসায় এয়ার কুলার আই পি এস বন্ধ করে দিন। সবার আগে জনপ্রতিনিধীগন রোল মডেল হিসেবে এগিয়ে আসুন বাসায় বিলাস ব্যসন পরিত্যাগ করে, এর পরে উঁচুতলার ওদের কে নামিয়ে আনা যাবে সাধারন মানুষের স্বাভাবিক জিবন যাপনে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.