শফিক হাসান প্রতিবারই বাজেট ঘোষণার পর দৈনন্দিন জীবনে এর প্রভাব পড়ে। সৃষ্টি হয় এক ধরনের অস্থিরতা। বাজেটের আবার দুইটি রূপ_সরকারি দলের কাছে গণমুখী আর বিরোধী দলের কাছে গরিব মারার বাজেট! সরকারি দল আর বিরোধী দলের তর্ক-বিতর্কে না গিয়েও বলা যায়, বাজেট অনেকাংশে গরিব মারারই। গরিবের চেয়ে ধনীদের সুবিধাই বেশি প্রতিষ্ঠিত হয়। যে দলই বাজেট ঘোষণা করুক না কেন_এর ব্যত্যয় নেই।
নির্বাচনোত্তরকালে দ্রব্যমূল্য সহনশীল রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এ সরকারের প্রথম শাসনামলে সন্ত্রাস এবং দুর্নীতির প্রচুর অভিযোগ থাকলেও তারা সফল হয়েছিল দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে। কৃষি খাতে অর্জিত হয়েছিল লক্ষ্যমাত্রা। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে সরকারের জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। এ দেশে সাধারণ মানুষ তথা নিম্ন আয়ের মানুষের সংখ্যাই যে বেশি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এদের ভোটই রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। উত্থান-পতনে জোরালো ভূমিকা রাখে প্রান্তিক মানুষরাই। বাজেট হতে হবে গরিববন্ধন। তা না হলে রাজাকার, মৌলবাদের উত্থানে তা হবে সহায়ক। স্বাধীনতাবিরোধীদের আবার ক্ষমতায় দেখতে চায় না সাধারণ মানুষ।
আওয়ামী লীগের উচিত হবে সস্তা বাগাড়ম্বরে না গিয়ে সময়োপযোগী বাজেট প্রণয়ন করা, যে বাজেটে অবশ্যই গরিবের স্বার্থ প্রতিফলিত হবে। ফুটে উঠবে তৃণমূল মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার চিত্র। এমনটি হলে সরকারি দলের জন্য যেমন মঙ্গল, তেমনি দেশের জন্যও। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।