কোন একদিন.. এদেশের আকাশে... কালেমার পতাকা দুলবে, সেদিন সবাই ... খোদায়ী বিধান পেয়ে দু:খ বেদনা ভুলবে..
মাঝে মাঝে প্রমোশনাল কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের ডিসকাউন্ট দিয়ে থাকে। তবে ডিসকাউন্ট দেয়ার পূর্বে প্রতিষ্ঠানের নীতি নির্ধারকগন এমনভাবে পণ্যের দাম বাড়িয়ে নেন যাতে ডিসকাউন্ট বা উপহার দেয়ার পরও পণ্যের দাম পূর্বের চেয়ে খুব বেশি কম না হয়।
এবারের বাজেট অনেকটা সেরকম। ব্যয়ের পরিমান বাড়ানো হয়েছে, স্বভাবতই কর হতে আয়ও সরকারকে বাড়াতে হবে। অর্থাৎ এই উচ্চাভিলাসী ব্যয়ের বোঝা অবশ্যই জনগনকে টানতে হবে।
বাজেটের ৩৪ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি সংগ্রহের ব্যপারে স্পষ্ট কোন হদিস নেই। তার পাশাপাশি নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের চেষ্টার কারনে অনুন্নয়ন খাতে এত বেশি পরিমান বরাদ্দ দিয়েছে সরকার যে, কাঙ্খিত জিডিপি বাস্তবায়ন নিয়ে অর্থমন্ত্রী নিজেই সংশয় প্রকাশ করেছেন। এসব দেখে এবারের বাজেটকে কেন যেন আনাড়ি হাতে তৈরী বলে মনে হচ্ছে, যদিও মুহিত সাহেবের যোগ্যতা নিয়ে কারো দ্বিধা থাকার কথা না।
তবে যাই হোক, আমরা যারা ইনফোরমেশন টেকনোলজীর ছাত্র অথবা প্রফেশনাল, এবারের বাজেট দেখে আমরা কিন্তু খুশি না হয়ে পারছিনা। বাজেট পরিকল্পনায় আমাদের কথা এবার বেশ করে ভাবা হয়েছে।
না ভেবে উপায়ও নেই। কেননা ডিজিটাল বাংলাদেশতো আমাদেরই তৈরী করতে হবে। মুহিত সাহেব ই-গভর্নেন্স এর কথা উল্লেখ করেছেন, পাশাপাশি আইটি খাতে বিশেষ জোর দেয়ার কথাও বলেছেন। ইন্টারনেট সংযোগ ও দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের সাথে সংযোগ তথ্য প্রযুক্তিতে আমাদের অনেকদুর নিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। ভাটা পড়া কম্পিউটার সাইন্স ডিপার্টমেন্টে শিক্ষার্থীদের পুনারায় ঢল পড়বে বলে আশা করছি।
সর্বোপরি কামনা করছি, বাজেট সফলভাবে বাস্তবায়িত হোক। এগিয়ে যাক আমাদের দেশ একসাথে সকলের সর্বাত্নক চেষ্টার মাধ্যমে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।