তোমার মাপে হয় নি সবাইতুমিও হও নি সবার মাপে,তুমি মর কারো ঠেলায়কেউ বা মরে তোমার চাপে— এই মেয়াদে মহাজোট সরকারের শেষ বাজেট বিকালে উপস্থাপন করবেন তিনি। অধিবেশনে থাকলেও বিরোধী দল বাজেট প্রস্তাবের সময় সংসদে থাকবে না বলে জানিয়েছে। এই সরকারের আগের চার বাজেট উপস্থাপনের দিনও সংসদে অনুপস্থিত ছিল বিএনপি।
মহাজোট সরকারের আমলে মাত্র একবার বাজেট অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলো বিএনপি। তাও একদিনের জন্য; ২০১০ সালের ২ জুন।
বাজেট উপস্থাপনের সময় বিরোধী দল সংসদে ছিল না।
এবারো ডিজিটাল পদ্ধতিতে (পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে) বাজেট উপস্থাপন করা হবে।
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জনতুষ্টির সব ব্যবস্থাই রাখার চেষ্টা আছে দুই লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার সম্ভাব্য বাজেটে। তবে কোনোভাবেই একে উচ্চাভিলাষী কিংবা বাস্তবায়নের অযোগ্য বলতে নারাজ অর্থমন্ত্রী। নতুন করের বোঝা না চাপিয়ে বরং ব্যক্তি আয়ের করমুক্ত সীমা আরেকটু বাড়াচ্ছেন মুহিত।
থাকতে পারে জরিমানাসহ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগও।
মহাজোট সরকারের শেষ বাজেট দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া মুহিত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার শেষ বাজেটের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে হাই গ্রোথ অ্যান্ড হাই ইনভেস্টমেন্ট। অর্থ্যাৎ বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনই এবারের বাজেটের দর্শন। ”
বিনিয়োগ প্রসঙ্গে মুহিত বলেন, “আমি বার বার বলে এসেছি, আমাদের অর্থনীতির প্রধান সমস্যা হচ্ছে বিনিয়োগ। চলতি বাজেটে আমরা ৩০ শতাংশ বিনিয়োগ বাড়াতে চেয়েছিলাম।
কিন্তু পারিনি। এবার সে লক্ষ্যকে সামনে রেখেই বিনিয়োগবান্ধব বাজেট দেবো। ”
বেসরকারি খাতে বিনিয়োগে স্থবিরতার কথা স্বীকার করলেও সরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধির দিকটি তুলে ধরেন তিনি।
নতুন বাজেটে সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতেই বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
এ জন্য নতুন বাজেটে বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও অবকাঠামো খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি নানা পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
সংসদে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের দুই দিন আগে মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মুহিত বলেন, “এটি হবে আমার সপ্তম বাজেট। আগে ছয়টি বাজেট দিয়েছিলাম। তার মধ্যে দুটি ছিল মিলিটারি সরকারের সময়ে। ”
“এবারের বাজেট হবে আমার জীবনের শেষ বাজেট। সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী নির্বাচনে অংশ নেবো।
কিন্তু মন্ত্রী হবো না।
ঘুতা মারেন ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।