আমার অনেক স্বপ্ন...আমি বাস করি স্বপ্নের মাঝে...রঙ্গিন রঙ্গিন সব স্বপ্ন... মধ্যরাতের গান
-
কত আড্ডা কত স্মৃতি,
মেলেনা আজ ফুসরতই।
সময়ের তুমুল আড্ডাবাজ,
গৃহবন্ধীত্বে আজ অধর ভেজায়।
সময় বয়,গতিহীন সঙ্গীরা,
পাপিষ্ঠ আজ স্বীয় অবস্থায়।
ক্ষনিকের সঙ্গীরা কি জানে,
আড্ডাবাজের উপন্যাসে আজও তারা বেঁচে?
নশ্বর মায়ার এই ভুবনে,
বিষাদে থাকা শ্রেয়তরই বটে।
আসছো একা,যাবে একা,
মাঝখানে সব রঙ্গলীলা।
জীবন এক অদ্ভুত খেলা,
কর্তার হাতে সবই ধরা।
দর্শক হয়ে খেলা দেখবে,
খেলতে গেলেই হারতে হবে।
অভিমানের কবিতারা,
নিরবে সব সয্য করে।
শব্দগুলো আজ শুধু,
বসে বসে হিসেব কষে।
নৈরাশ্যবাদীর ঠোঁটের কোনে,
তবুও স্মিত হাসি খেলা করে।
লাল গোলাপ হাতে ধরে,
মানবীকে স্বপ্ন দেখে।
সাদাকালো চোখে রঙ্গীন স্বপ্নে,
প্রহর কাটে সংগোপনে।
(মধ্যরাত-১১এপ্রিল,২০১৩)
________________________________
মুখোশ
-
টাকায় কিনা রক্ষিতাকে রাতের আঁধারে
ধর্ষনের কথা প্রিয়তমার কাছে
অবলীলায় চেপে যাওয়া নপুংসক,
হ্যাঁ,তোমাকেই বলছি,
মুখোশ খুলে ফেলো।
নারীবাদী,সুশীলের ভেক ধরে
থাকা নিরব গুপ্তধর্ষক,
হ্যাঁ,তোমাকেই বলছি,
মুখোশ খুলে ফেলো।
অবুঝ বালিকার শরীর নিংড়ে খাওয়া ভন্ড প্রেমিক,
হ্যাঁ,তোমাকেই বলছি,
মুখোশ খুলে ফেলো।
অবরুদ্ধ নারীর নিভৃত কান্নার খলনায়ক
ধর্ম বিকিয়ে খাওয়া ব্যবসায়ী,
হ্যাঁ,তোমাকেই বলছি,
মুখোশ খুলে ফেলো।
চারিদিকে আজ শত সহস্র আলোর হাতছানি,
মুখোশ খুলে আধাঁর বিদীর্ণে মনুষ্যত্ব প্রমান করার এইতো সুযোগ!
আসো,মুখোশ খুলে আজ আলোর পথে আসো।
(১০এপ্রিল-২০১৩)
__________________________________
তোর কি একটু সময় হবে?
-
তোর জোয়ারে নাও ভাসাইলাম,
মাঝ নদীতে নাও ডুবাইলি!
ওই পাড়েতেই থাকবি যদি,
কেন আমারে মায়ায় বাঁধলি?
মাঝরাইতে চান্দের সনে,
কথায় আমার সময় কাটে।
আকাশের ওই লক্ষ তারায়,
তোরে আমি আজও খুঁজি।
দখিনের ওই ঠান্ডা হাওয়ায়,
তোর স্পর্শে মাতাল আমি।
তোর সুখের ওই পাড়েতে,
আমারে কি লইয়া যাবি?
জোছনার আলোয় তোরে দেহুম,
একলগেতে তারা গুনুম,
বলনা পাগলী,তোর কি একটু সময় হবে?
(১০এপ্রিল-২০১৩)
_______________________________
তোমাদের এই নগরে
-
রাতের আধারে ধর্ষিত অন্তরাত্বার তীব্র শীৎকারে
জেগে উঠি।
নিঃসঙ্গ জোছনার সনে কথার হুল ফুটাই,
মিটমিট করে জ্বলতে থাকা
তারাদের স্বাক্ষী রেখে,
সোডিয়ামের নিয়ন আলোয় হাঁটি।
উদ্দেশ্যহীন সেই পথে রাস্তার নেড়ী কুকুটাকে
সঙ্গী করে নেই।
খদ্দেরের আশায় বসে থাকা নিশিকন্যাদের
ভাবলেশহীন চোখের আকুল মাদকতায়
স্বীয় চোখ নোনাসিক্ত হয়,
মাংশগুচ্ছের সন্ধানে বের হওয়া পুংধর্ষকও
আমার দৃষ্টে এড়াতে অব্যার্থ।
সদ্য প্রেমিকা হারানো মাতালের বেসুরো গান শুনি,
ফুটপাতে সংসার পাতাদের প্রশান্তির ঘুম দর্শনে,
অনলে হৃদয় হয় ছারখার।
দিনের কর্মব্যাস্ত টং্যের বেঞ্চগুলো,
রাতের নিস্তব্ধতায় মুখ ঘুমরে কেঁদে উঠে যেন।
আড্ডায় মশগুল সেবকদের সন্দেহবাদী তল্লাশিতে
স্মিত হেসে,
আবারও উদ্দেশ্যহীন সে পথে হাঁটি।
রাস্তার নেড়ী কুকুরটা তখনও আমার সঙ্গী,
হাঁটছে সংগোপনে,নির্লোভে।
(২৯মার্চ,২০১৩)
____________________________
জীবন্মৃত
-
অভিশপ্ত মৌন বিকেল শেষে,
দুঃখ জাগানিয়া স্মান সন্ধ্যা।
রাত জাগা চাতক পাখির মত চেয়ে থাকা
ক্লান্ত চোখে,
অমীমাসিংত রহস্য সমাধানে ব্যাস্ত অন্তরাত্বা।
আধেক ঘূম,আধেক জাগরনে,
নতুন স্বপ্নের সূচনা,
অবিশ্বাসীদের কাল্পনিক মন ভেদের
হীন প্রচেষ্টা।
সবার অগোচরে,হারিয়ে যাবার পথে
নিঃসঙ্গে হেঁটে যাওয়া।
হয়তোবা,প্রবল চটোপাঘাতের শব্দ
শুনার প্রতীক্ষায়,
অধীর হয়ে রাত জাগা।
প্রচ্ছন্নে ইঙ্গিতে ক্লান্ত চোখে স্মিত হেসে
অসুস্থদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা।
ধর্ষিত অন্তরাত্বা নিয়ে,
মুখোশ পরা জড়ের জীবন বহন করা
অথবা,ক্লান্তিহীন সংগ্রামের পথ বেছে নেওয়া।
শত কথার ভীরে শিকড় খুঁজে পার করা
গভীর রাত শেষে,
আজানের শব্দে ঘুমুতে যাওয়া।
'মন্দ নয় জীবন' বলে,
আত্মতৃপ্তির মিথ্যে অহংকার নিয়ে বেঁচে থাকা।
কাল্পনিক সুখানুভূতির আশায়
সাময়িক সঙ্গ প্রত্যাশা,
অজানা মায়ায় জড়িয়ে,
বড্ড বেশি সাধারন হয়ে বেঁচে থাকা।
এইতো মৃতের জীবন!
(২৭ইমার্চ,২০১৩)
_________________________________
##কেউ কি আমাকে কবিতার ছন্দ-অন্তঃমিল এগুলার ব্যাপারে বিশদ কোনো বইয়ের খোঁজ দিতে পারবেন? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।