বৃষ্টিতে হাঁটতে ভাল লাগে আমার কারন কেউ দেখেনা দুচোখের জল ধুয়ে যায় বৃষ্টিধারায়
এক অস্হির সময়ের মাঝে দিয়ে ছুটে চলছি আমি , আমরা সবাই। প্রচন্ড ব্যস্ততার কারনে আমার ছোট্ট মেয়েটিকে সময় দিতে পারিনা । ছোট্ট অবুঝ হৃদয়টির মাঝে তাই বাবাকে কাছে পাওয়ার অস্হিরতা। থেকে থেকে বেজে উঠছে মুঠোফোন,"আব্বু তুমি আসবে কখন"?
সরকারী কাজের চাপে চাপা পড়ছে প্রিয়তমার ছোট ছোট অনুরোধ , শুভানুধ্যায়ীদের আমন্ত্রণপত্রর স্তুপে চাপা পড়ছে আত্মী্যতার বন্ধন আর আবেগ। অস্হির এই মন একেকসময় চায় বিদ্রোহ করতে সবকিছুকে তুচ্ছ করে খোলা আকাশের নিচে একটু বুক ভরে শ্বাস নিতে,কিন্ত দায়িত্ববোধের বেড়াজাল আকঁড়ে ধরে পেছন থেকে ।
প্রতিটি মুহর্ত একে একে ঠাঁই করে নিচ্ছে কালের ইতিহাসে । টিভির চ্যানেলে তথাকথিত কথাশিল্পীরা ব্যস্ত তাদের কথার ধুম্রজালে তৈরীতে । ব্যস্ততার ফাঁকে চোখ রাখি চেতনার ব্যবসায়ীদের খবরের কাগজে সেখানে দেখি স্বার্থ আর দন্ধর জটিল মারপ্যাঁচ । হঠাৎ চোখ আটকে যায় জানালার ফাঁক গলে আকাশের অনেক উঁচুতে উড়তে থাকা একাকী এক চিলের দিকে । মানুষের প্রচন্ড ভীড় কোলাহল ,আর যান্ত্রিক কর্কশ শব্দকে ছাড়িয়ে সুপারসনিক গতিতে নিজেকে কল্পনায় নিয়ে দাঁড় করাই মেঘেদের রাজত্বে ।
অনুভব করি অদ্ভুত এক হিমশীতল কফিনের ভেতরকার নিস্ত্ব্দ্ধা।
সবাই আজকাল দারুন ব্যস্ত , মতাদর্শ ভাংগা গড়ার কাজে । সরকার আর দূর্নীতিবাজদের মনত্তাত্বিক যুদ্ধ চলমান । দেশপ্রম নিয়ে টাগ অব ওয়ার চলছে দেশপ্রেমিক আর দেশবিরোধীদের মাঝে । মুনাফা অর্জনে ব্যস্ত তথাকথিত সৎ ব্যবসায়ী সমাজ ।
বর্ডার লাইনে সার বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকা চালের ট্রাক ,প্রতিবেশী দেশের অপ্রতিবেশী সুলভ দড়কষাকষির অপূর্ব কূটনীতি ।
একসময় রাত নামে । কালো আধাঁরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার প্রহর কাটে। আর একটি শুভ্র সকালের রোদ এসে আঁকিবুঁকি কাটে আমার মনের আঙিনায় ।
শুরু হয় আমার দিনপন্জিকার আরেকটি দিনের , আরেকটি নিঃশব্দ যুদ্ধ ।
আমি আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করি ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।