গ্রাম-প্রকৃতি-সবুজ-সারল্য যেখানে মিলেমিশে একাকার, সেখানে ফিরে যেতে মন চায় বার বার। গতকাল আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য গোলাম আযমকে দোষী সাব্যস্ত করে। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ গঠন করা হয়েছে সেগুলো পড়ে শুনানোর পর ট্রাইব্যুনাল গোলাম আযমের কাছে জানতে চায়,
তিনি দোষী না নির্দোষ?
গোলাম আযম চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘১৯৭৩ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের পরিচালনায় বাংলাদেশ সরকার একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা করেছিল। সেখানে আমার নাম নেই। পরে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়।
যাদের দালাল আখ্যা দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের বিচারের জন্য আইন হয়েছিল। আমাকে কোলাবরেটর হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল। আসলদের মাফ করে সহযোগীদের বিচার হয় না, এ জন্য শেখ সাহেব সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রসঙ্গটি আসে ২০০১ সালের নির্বাচনের পর। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রায় সমান ভোট পেয়েছিল।
কিন্তু আওয়ামী লীগ মাত্র ৫৮ আসন পায়, যেখানে বিএনপি পেয়েছিল ১৯৭টি। জোটের কারণে আওয়ামী লীগ ওই নির্বাচনে হেরেছে। যত দিন চারদলীয় জোট থাকবে, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে পাস করতে পারবে না। আওয়ামী লীগ এই জোট ভেঙে জামায়াতকে রাজনৈতিক ময়দান থেকে উৎখাত করতে চায়। এ জন্য ২০০১ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাজনৈতিক প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এই বিচার। শেখ মুজিব নিজেও পাকিস্তান ভাঙতে চাননি, তিনি চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে। ...’
সূত্র: আজকের দৈনিক প্রথম আলো
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।