এলোমেলো ভাবনাগুলো বাধ মানে না।
বাংলাদেশের খেলা আর সেটা দেখা হবে না, এরকমটা সাধারনত হয় না। একেবারেই সুযোগ না থাকলে আলাদা কথা। গতকাল তো বাংলাদেশ আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধে শেষ ম্যাচ ছিলো। টুয়েন্টি টুয়েন্টি।
খেলা দেখতে ত হবেই । আমাদের মেচে টিভি নাই । দেখতে হয় বন্ধুর মেসে গিয়ে। আমি একা নয় আমার সাথে আমার আরেক বন্ধু আছে। রাত ১ টা বাজে।
আমরা ছুটলাম বন্ধুর মেসের পানে। প্রায় দশ মিনিটের পথ। বাস্তা ঘাট ফাকা। পথে দেখলাম একটা গেরেজে কয়েক জন শ্রমিক খেলা দেখছে। আমরা সেদিকে এগুলেই তারা আমাদেরকে বসতে বলে।
আমরাও ভাবলাম যে আজ আর বন্ধুর মেসে গিয়া কাজ নাই। আজকের খেলা ত তারাতাড়ি শেষ হয়ে যাবে। তাই আজ এখানেই দেখি। একটা আলাদা অভিঞ্জতা। আমরা পৌছুতেই তিন উইকেট শেষ।
শ্রমিকদের মন খারাপ। কত আশা নিয়ে তারা জেগে আছে। তামিম, জুনায়েদ, আশরাফুল ওদের চার ছয় মারা দেখবে। কিন্তু ওদের আশা আজ মুকুলেই ঝরে গেছে। প্রতিক্ষা সাকিব, রকিবুল ওরা অন্তত ভালো খেলবে।
কিন্তু ওদের তারা দেখে মনে হল তারাতারি রুমে ফিরতে হবে না হলে খাবার পাবে না। আর যেভাবে রান আউটের প্রতিযোগিতা শুরু হল তাতে মনে হল। ব্যাট দিয়ে বল টাচ করে যে যত রান নিতে পারে। মাঠে বোলার আর আম্পায়ার ছারা কোন ফিল্ডার নেই। আউট হোক, তাতে ত কোন দুঃখ নাই কিন্তু উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসার মানে টা কি? গত মেস গুলোর সাথে এ যেন কোন মিলই নেই।
এ যেন অন্য বাংলাদেশ........................শ্রমিকেরা সারা দিনের ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত দেহ নিয়ে বসে আছে শুধু মাত্র আমাদের দামাল বালকদের কীর্তির আসায়। আবার সকালে উঠে যে তাদের কাজ করতে হবে এবং এখন তাদের ঘুম দরকার তাদের কাছে সেটা তুচ্ছ। কিন্তু আজ তাদের খুব মন খারাপ।
আশরাফুল, তামিমেরা কি ওদের আকুতি বোঝে? নাকি কোনদিন বুঝবে?..................।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।