আমি মেধায় সাধারণ,আইকিউ লজ্জ্বাজনক,বিশ্বাসে নাস্তিক,তর কে যুক্তিবাদী,সেবায় নিবেদিত,কর্মে ক্লান্তিহীন,সহ যোগীতায় প্রশস্থ হস্ত,ভালবাসায় অন্ধ,মনে প্রাণে উদার আকাশ ,নারী প্রণয়ে ভিতর বাহির উলট-পালট,আগাগোড়া সরল প্রাণ,বন্ধুত্বে শ্রদ্ধাশীল এবং স্বপ্নে স্বাপ্নিক। আ•ইলিয়াস ছিল ষাটের দশকে অন্যতম শ্রেষ্ঠ গল্পকার । জীবন ঘনিষ্ট ,বাস্তবনিষ্ট ছোট গল্প রচনায় যার অনিষ্ট ছিল প্রান্তিক মানুষের মুখের ভাষা ব্যবহার প্রবনতা ।
পুরনো ঢাকার অলিগলি তে বাস করা মানুষ ,বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ,উচ্চবিত্ত -মধ্যবিত্ত মানুষের ক্লেদ-পতন ধ্বংস হাহাকার ক্ষুধা দারিদ্র নস্টালজিয়া মানসিক বৈকল্য খুব দারুন ভাবে এসেছে। তার গল্পে বাহুল্যবর্জিত ভাষারীতি,মেদহীন,আঞ্চলিক ভাষা লক্ষ্য করি ।
নাম গুলু ও ছিল চমৎকার । অন্যঘরে অন্যস্বর ,দোযখের ওম,দুধভাতে উৎগাত ,জালস্বপ্ন স্বপ্নের জাল । তার গদ্যভাষা শাণিত,ঋজু,প্রাঞ্জল এবং শিল্পিত।
কিছু উদাহরণ দিবার লোভ সামলাতে পারছি না ।
১।
রাতের ঠান্ডা বাসি জ্বরকে সরবাটার মতো সে মেখে রেখেছে তার মুখে ,গালে ও চোখের কোণে । (অসুখ বিসুখ)
২। কেবলি ফুলতে থাকা পোয়াতি মেঘের নিচে হাঁটতে হাঁটতে ...পেয়ে গেল ,...পাকা বাড়ী । (খোঁয়ারী)
৩। শাড়ির ভিতর বুক নেই পাছা নেই দিনরাত হেঁটে বেড়াচ্ছে একটা বেঢপ কোলবালিশ ।
(উৎসব)
৪। উচ্ছ্বাসে পুলিসের কন্ঠ বলকানো দুধের মতো শব্দ করে উঠলো । (নিরুড্দেশ যাত্রা)
৫। পানির কলের সামনে রেখে দেওয়া কয়েকটি কলসি লাইনে বসে মুখ কালো করে পানির অপেক্ষা করে । (ফেরারী)
৬।
ঈশ্বর-সম্বোধন একটি নোতুন পাখা গজানো পিঁপড়ে হয়ে সমস্ত ঘরে পতপত ঘুরে দীর্ঘ উড়াল দেয় বাইরের রোঁয়া -উঠা সন্ধাবেলার লাল ও ধোঁয়াটে প্রদীপ শিখায় । (ফেরারী)
আবিদ ভাই কে ধন্যবাদ । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।