আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টেকনোলজি বেসিকঃ সফটওয়্যার টার্মঃ পর্ব ৩.৪ (বিষয়ঃ Beta Software, BIOS, Browser, Bug)

ফেসবুক আপডেটের জন্য পেজটিতে লাইক দিন: http://www.facebook.com/technologybasic Beta Software : কোন সফটওয়্যার সাধারণের জন্য বাণিজ্যিকরণের পূর্বে বেটা ধাপের মধ্য দিয়ে যায়। এই ধাপে, মূলত সফটওয়্যারটি বাগ, ক্র্যাশ, এরর, অসংগতিসহ অন্যান্য বিভিন্ন সমস্যা পরীক্ষা করা হয়। যদিও সাধারণত বেটা সফটওয়্যারগুলো শুধুমাত্র ডেভেলপারদের জন্য তৈরী হয়, তথাপি বর্তমানে কিছু সফটওয়্যার কোম্পানী আছে যারা তাদের নিজস্ব অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এটি সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। বেটা সফটওয়ার ফ্রী হওয়ায় প্রোগ্রামটি একটি নির্দিষ্ট সময় পর এক্সপায়ার হয়ে যেতে পারে। যেকোন ইউজার বেটা সফটওয়ার ব্যবহারের সময় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে, এমনকি কম্পিউটার বারবার ক্র্যাশও করতে পারে।

এ সমস্যার মুখোমুখী হতে হবে না যদি জানা থাকে সফটওয়্যারটি বেটা ভার্সন কি না। এটি পাওয়া যাবে প্রোগ্রামটির প্রোপারটিসে। যদি সেখানে ভার্সন নাম্বারে লিখা থাকে "b" (যেমনঃ Version: 1.2 b3) তার মানে এটি বোঝায় যে সফটওয়্যারটি বেটা ভার্সন। BIOS : বায়োস এর পূর্ণরূপ হল “Basic Input/Output System”। বায়োস হল একধরণের প্রোগ্রাম যেটা উইন্ডোজ ভিত্তিক কম্পিউটারে (ম্যাক বাদে) আগে থেকেই ইন্সটল করা থাকে এবং কম্পিউটার স্টার্ট-আপের সময় একে ব্যবহার করে থাকে।

অপারেটিং সিস্টেম চালুর পূর্বে সিপিইউ বায়োসে প্রবেশ করে। এরপর বায়োস সবগুলো হার্ডওয়্যারের সংযোগ ও ডিভাইসগুলোর অবস্থান পরীক্ষা করে। যদি সবকিছু ঠিকমত থাকে, এরপর বায়োস কম্পিউটার মেমরীতে অপারেটিং সিস্টেম লোড করে এবং বুট-আপ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। যেহেতু বায়োস হার্ডড্রাইভ পরিচালনা করে, তাই একে আলাদাভাবে পাওয়া যাবে না। আবার যেহেতু এটি বুট-আপের পূর্বে কাজ করে তাহলে এটি র‍্যামের মধ্যেও পাওয়া যাবে না।

তাহলে বায়োস মুলত কোথায় থাকে? আসলে বায়োসের অবস্থান কম্পিউটারের রম (ROM-Read Only Memory)-এ। আরো সঠিকভাবে বলতে গেলে এটি এপরম (E PROM-Erasable Programmable Read Only Memory)-এর চীপের সাথে থাকে। তাই ইউজার যখন কম্পিউটার চালু করে, সিপিইউ প্রথমে এপরম-এ প্রবেশ করে এবং বায়োসকে কন্ট্রোল দেয়। বায়োস কম্পিউটার বুট করার পরও ব্যবহৃত হয়। এটি সিপিইউ এবং আই/ও(I/O) ডিভাইসগুলোর মধ্যনিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে।

বায়োসের কারণে, ইউজারের প্রোগ্রাম ও অপারেটিং সিস্টেমকে পিসির সাথে যুক্ত আই/ও ডিভাইসগুলো সম্বন্ধে (যেমনঃ হার্ডওয়্যারের এড্ড্রেস) পুরোপুরি না জানলেও চলে। যখন ডিভাইসগুলোর ডিটেইলস পরিবর্তিত হয়, তখন শুধু বায়োস আপডেট করলেই চলে। আর এই পরিবর্তন করা যায় সিস্টেম স্টার্ট-আপের সময় বায়োসে প্রবেশের মাধ্যমে। বায়োস মেনুতে প্রবেশ করতে হলে কম্পিউটার স্টার্ট-আপের সাথে সাথেই F1 বা F2 বা DEL কী চাপতে হবে। Browser : একটি “ওয়েব ব্রাউজার” কে শুধুমাত্র “ব্রাউজার”ও বলা হয়ে থাকে।

নিশ্চিতভাবে আপনি এ লেখাটি পড়ছেন একটি ব্রাউজারের মাধ্যমে। এটা একধরণের প্রোগ্রাম যেটি সাধারণত মানুষ ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবে প্রবেশের জন্য ব্যবহার করে থাকে। এটি এইচটিএমএল কোড ও এর সাথে যুক্ত টেক্সট, ইমেজ , হাইপারটেক্সট লিংক, জাভাস্ক্রিপ্ট এবং জাভা অ্যাপ্লেটকে অনুবাদ করে। এইচটিএমএল কোড অনুবাদ করার পর ব্রাউজার সেগুলো সুন্দরভাবে পেজে প্রদর্শন করে। কিছু ব্রাউজারের উদাহরণঃ মাইক্রোসফট ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, মোজিলা ফায়ারফক্স, অপেরা, নেটস্কেপ কমুনিকেটর, অ্যাপল . Bug : কম্পিউটার জগতে বাগ হল কোন সফটওয়্যার প্রোগ্রামে সৃষ্ট এরর।

এর ফলে প্রোগ্রামটি অপ্রত্যাশিতভাবে থেমে যেতে পারে অথবা অপ্রয়োজনীয় আচরন করতে পারে। যেমনঃ কোন প্রোগ্রামে বাগের ফলে প্রোগ্রামটির কোন কোন বাটনে ক্লিক করলে নাও কাজ করতে পারে। তবে মারাত্মক বাগ থাকলে অনেক সময় পুরো সফটওয়্যারটি ক্র্যাশ কিংবা হ্যাং করতে পারে। একজন ডেভেলপারের দৃষ্টিকোণ থেকে, বাগ হল একটি প্রোগ্রামের সোর্স কোডে বিন্যাস কিংবা লজিকের সমস্যা। এধরণের সমস্যা ‘ডিবাগার’ নামক ডেভেলপমেন্ট টুল দ্বারা নির্ধারন করা যায়।

তবে প্রোগ্রামটি কম্পাইল করার পরও যদি চূড়ান্তভাবে কোন সমস্যা ধরা না পড়েশুধুমাত্র তাহলেই কোন বাগ ইউজারের কাছে দৃশ্যমান হয়। যেহেতু বাগের কারণে কোন প্রোগ্রাম ব্যবহারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, সেজন্যে বেশীরভাগ প্রোগ্রাম সাধারণের জন্য রিলিজ করার পূর্বে অনেকবার পরীক্ষা করা হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বেটা সফটওয়্যারের কথা। আমরা সবাই জানি যে, বাণিজ্যিক সফটওয়্যারগুলো সাধারণে রিলিজ হওয়ার আগে প্রথমে বেটা স্তরের মধ্য দিয়ে যায়, যেখানে অসংখ্য ইউজার এর বিভিন্ন অংশ ব্যবহারের মাধ্যমে কোন সমস্যা থাকলে সেটা বের করার চেষ্টা করে। যদি নিশ্চিত হওয়া যায় যে, প্রোগ্রামটি বাগ এবং সমস্যা বা এরর মুক্ত... এরপর সেটি সাধারণে রিলিজ করা হয়।

অবশ্যই, আমরা জানি যে, যদিও অনেক পরীক্ষার পর একটি সফটওয়্যার রিলিজ করা হয়, তথাপি বেশীরভাগ প্রোগ্রামই পুরোপুরি সমস্যামুক্ত নয়। একারণেই ডেভেলপাররা “পয়েন্ট আপডেট” (যেমনঃ ভার্সন 1.0.1) রিলিজ করে, যেগুলো আসলে প্রথম রিলিজের পর বাগ পাওয়া গেলে সেটা মুক্ত করে রিলিজ করা। তাই বিশেষভাবে “বাগী” প্রোগ্রামগুলো বাগমুক্ত হওয়ার জন্য অসংখ্য পয়েন্ট আপডেট (1.0.2, 1.0.3, ইত্যাদি) রিলিজ করে। http://www.technologybasic.com All Basic Terms of Technology. ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.