সবকিছুই চুকিয়ে গেছে গালিব! বাকি আছে শুধু মৃত্যু!! "প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাজের প্রতি আস্থা আছে দেশের ৭৭ শতাংশ মানুষের। আর ১৯ শতাংশ মানুষ তাঁর কাজে সন্তুষ্ট নন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক জনমত জরিপকারী প্রতিষ্ঠান গ্যালাপের জরিপ থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। গ্যালাপ ২০১১ সালের ৫ এপ্রিল থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এশিয়ার ২১টি দেশে এই জরিপ চালায়। গত শুক্রবার গ্যালাপের নিজস্ব ওয়েবসাইটে জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
জরিপে প্রতিটি দেশের অন্তত এক হাজার ব্যক্তিকে মুখোমুখি বা টেলিফোনে প্রশ্ন করে উত্তর জেনে নেওয়া হয়। ১৫ বছর এবং তার চেয়ে বেশি বয়সের ব্যক্তিরাই জরিপের আওতায় ছিলেন।
জরিপে দেখা যায়, সরকারপ্রধানদের প্রতি দেশের মানুষের আস্থার তালিকায় সপ্তম স্থানে আছেন শেখ হাসিনা। প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং (১১তম), বিশ্বের অন্যতম শিল্পোন্নত দেশ জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিকো নোদা (১৫) ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ডের (১৪) চেয়েও এগিয়ে আছেন শেখ হাসিনা। "
তথ্যসূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো (১৩/০৫/২০১২)
আমাদের জাতীয় জীবনের অসংখ্য হতাশার মাঝে এই সংবাদটি নিঃসন্দেহে আনন্দের।
আমার মনে হয়না বঙ্গবন্ধু পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর কেউ এমন জনিপ্রয়তা অর্জন করতে পেরেছেন। এই অর্জন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ আমাদের সকলের। এই জরিপের ফলাফল এটারই ইঙ্গিত দেয় যে, অচিরেই আমরা শুধু মধ্যম আয়ের নয় বরং শীর্ষ আয়ের দেশে পরিণত হবো।
অতীতে ভারত, জাপান, অস্টেলিয়ানরা আমাদের গণতন্ত্র, রাজনৈতিক সংস্কৃতি নিয়ে নানা ধরণের মন্তব্য করেছেন। বিনিয়োগ ও উন্নয়নের জন্য সুষ্ঠু রাজনীতি ও স্থিতিশীল পরিবেশের ছবক দিতেন।
আমার পরিস্কার মনে আছে খালেদা জিয়া সরকারের প্রথম টার্মে যখন তত্ত্ববধায়ক সরকার নিয়ে দুর্বার আন্দোলনের কারণে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তখন কমনওয়েলথ মহাসচিবের বিশেষ দূত হিসেবে স্টিফেন নিনিয়ান নামের একজন অস্টেলিয়ান তা মিমাংসার জন্য এদেশে আসেন। এখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিকো নোদা ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ডের চেয়েও যোগ্য ও জনপ্রিয়। কাজেই এখন তারা নয় বরঞ্চ আমরাই তাদেরকে গণতন্ত্রের ছবক দিব। এখন থেকে তাদের দেশে কোন রাজনৈতিক সমস্যার সৃষ্টি হলে আমাদের আইন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম তা সমাধানের জন্য বিশেষ দূত হিসেবে যাবেন।
আমি জানি যথেষ্ট যৌক্তিক কারণেই আগামী কয়েক সপ্তাহ আমাদের জাতীয় নেতা মাহবুব-উল-আলম হানিফ, এডভোকেট কামরুল ইসলাম, এডভোকেট শামসুল ইসলাম টুকু মহোদয়রা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হবেন।
যুবলীগ, ছাত্রলীগ, নাগরিক সমাজ তাকে পর্যায়ক্রমে জাতীয় স্টেডিয়াম ও জাতীয় সংসদ ভবনের চত্বরে সম্ববর্ধনা দিবেন। বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থা তাকে অভিনন্দন জানিয়ে পত্রিকার প্রথম পাতায় অভিনন্দন বাণী সম্বলিত বিজ্ঞাপন প্রচার করবে। বিবৃতিজীবীরা অভিনন্দন সম্বলিত বিবৃতি দিয়ে পত্রিকার পাতাগুলো ভরে দিবে।
এসব অভিনন্দন, সম্ববর্ধনা, বিবৃতির কারণে মাননীয় নেত্রী স্বভাবতই ফুরফুরে মেজাজে থাকবেন। এ পরিস্থিতিতে এমনটাই স্বাভাবিক।
তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একজন ভক্ত হিসেবে বিনীত অনুরোধ থাকবে এসব অভিনন্দন, সম্ববর্ধনা, বিবৃতি গ্রহণের পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতি অর্থাৎ তার এই পর্বততুল্য জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগানোর জন্য। পৃথিবীর বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে (বিশেষ করে সংসদীয় গণতন্ত্রে) কোন সরকার যখন তার কাজের মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে তখন সে এই জনপ্রিয়তার ফায়দা গ্রহণের জন্য ঐ সময়েই অর্থাৎ সরকারের মেয়াদপুর্তির পূর্বে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ভারত, ব্রিটেন বা পৃথিবীর আরো অনেক দেশে এমন নজির আছে। এ পরিস্থিতিতে তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ থাকবে তিনি যেন মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেন, জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে আগাম জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিতে। সাংবিধানীক বাধ্যবাদকতার কারণেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে জাতীয় নির্বাচন দিতে বাধ্য থাকবেন।
আমি নিশ্চিত এ অবস্থায় জাতীয় নির্বাচন হলে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার বিপুল জনিপ্রয়তাকে কাজে লাগিয়ে অন্তত ২৭০টি আসনে বিজয়ী হয়ে নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন এবং আগামী পাঁচ বছরে তার সুযোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে এদেশকে পরাশক্তি আমেরিকার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে গড়ে তুলবেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।