সময় কে জানতে চাই.. বিয়ের সময় আমার আম্মা ছিলেন উজ্জ্বল শ্যামলা। প্রতিদিন আমার আম্মা কয়েক মাইল পথ অতিক্রম করেন। আমাদের ভবিষ্যতের জন্য তিনি সেই পঞ্চাশ এর দশকে জন্মগ্রহণ করেও সমাজের গোঁড়ামি পায়ে ঠেলে চাকরিতে যোগদান করেন। আমাদের জন্যেই তিনি আজ কালো!তবুও তিনিই আমার কাছে আমার দেখা সবথেকে সুন্দরী সর্বশ্রেষ্ঠ নারী আমার "মা"। আম্মা যে কত কষ্ট করেছেন আমাদের মানুষ করবার জন্যে সেটা হইত আজও বুঝিনি কিন্তু তার ভালবাসাটা টের পাই।
আমার সকল ব্যক্ত অব্যক্ত কথামালার ফুলঝুরি একমাত্র আম্মার কাছেই প্রকাশ পাই!কোন ভিক্ষুক আম্মার কাছ থেকে কোনদিন ফিরে গিয়েছে বলে শুনিনি। কোন অসহায়ের পাশে কেউ না দাঁড়ালেও আম্মা একাই সেখানে লড়েছেন। জানিনা হইতবা সেই সৎ সাহস আমি আমার আম্মার কাছ থেকেই পেয়েছি। এলজিইডি তে চাকরি করেও একটা পয়সাও আম্মা জীবনে ঘুষ খাননি। আমার আম্মা এমনি সৎ আদর্শ আর মানবতার খুঁটি।
ছোটবেলাই দেখতাম মামারা যখন আম্মাকে চিঠি পাঠাত আম্মা কি যত্ন সহকারেই না সেগুলো গুছিয়ে রাখত!এই মোবাইল,মেইলের যুগে সেই চিঠি লেখার সময় কই আমাদের!তবুও লিখছি। সেই চিঠিতে লিখব আম্মাকে নিয়ে আমার সকল না বলা আক্ষেপ না বলা কথা। জানাব তাকে আমার একান্ত কিছু কথা। যে কথাটা আজও আম্মাকে বলতে পারিনি সেটাই লিখে দিব চিঠির শেষে "আম্মা আমি তোমাই অনেক অনেক ভালবাসি"
আমি ভুলমনা ভুলে গিয়েছিলাম কাল সেই দিন!তাই চিঠিও আম্মার কাছে একদিন পরে পৌঁছাবে। প্রতিদিন আম্মার সাথে যখন কথা বলি "আম্মাআআআআআ" বলে ডাক না দিলে কেমন জানি শান্তি পাইনা।
আমি জানি পরশু আম্মা যখন ফোন দিবে সেই ফোনটা হবে স্পেশাল......
আমার আম্মার জন্যে সবাই দোয়া করবেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।