ফেসবুক আপডেটের জন্য পেজটিতে লাইক দিন: http://www.facebook.com/technologybasic
Application Application(অ্যাপ্লিকেশান) বা অ্যাপ্লিকেশান প্রোগ্রাম বলতে বিভিন্ন সফটওয়্যার প্রোগ্রামকে বোঝায় যা কম্পিউটারে রান করানো যায়। যেমনঃ ওয়েব ব্রাউজার, ইমেইল প্রোগ্রাম, ওয়ার্ড প্রসেসর, গেমস এবং বিভিন্ন ইউটিলিটি প্রোগ্রামগুলোকে বলা হয় অ্যাপ্লিকেশান। এসব প্রোগ্রামকে অ্যাপ্লিকেশান বলার কারণ হল প্রতিটি প্রোগ্রামই ইউজারকে আলাদা করে কাজ করার সু্যোগ দেয়। যেমনঃ ওয়ার্ড প্রসেসর দিয়ে ডকুমেন্ট তৈরি করা যায় আবার ফ্ল্যাশ প্লেয়ার ব্যবহার করে ওয়েবে ভিডিও দেখা যায়।
এই অ্যাপ্লিকেশানগুলোকে সিস্টেম সফটওয়্যার কম্পিউটারে রান করতে সাহায্য করে।
তার মানে অ্যাপ্লিকেশানগুলোকে সিস্টেম সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এরকম কিছু সিস্টেম সফটওয়্যার হল অ্যাসেম্বলার, কম্পাইলার, ফাইল ম্যানেজমেন্ট টুলস।
অপারেটিং সিস্টেম নিজেও একটি সিস্টেম সফটওয়্যার। সিস্টেম সফটওয়্যারগুলো অপারেটিং সিস্টেমের সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম্পিউটারে ইন্সটল হয়, কিন্তু অ্যাপ্লিকেশান সফটওয়্যারকে বেছে বেছে ইন্সটল করা যায়। অন্যভাবে ম্যাকিন্টোশের(Macintosh) এর প্রোগ্রামকে বলা হয় অ্যাপ্লিকেশান এবং উইন্ডোজের প্রোগ্রামকে বলা হয় এক্সিকিউটেবল ফাইল।
একারণে ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম তাদের ফাইল এক্সটেন্সানে .APP ব্যবহার করা হয় এবং উইন্ডোজের ফাইল এক্সটেন্সানে .exe ব্যবহার করা হয়। যদি ও উভয় অপারেটরের প্রোগ্রামগুলোকে একই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যায় .
Archive : Archieve(আর্কাইভ) একটি একক ফাইল যেটা অনেকগুলো ফাইল একসাথে ধারণ করতে পারে। বিভিন্ন আর্কাইভ ইউটিলিটি প্রোগ্রাম দিয়ে করা যায় এবং এর মাধ্যমে অনেকগুলো ফাইলকে একটি ফাইলে নিয়ে আসা যায় এবং বেশিরভাগ সময়ে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আর্কাইভ করার উদ্দেশ্যে ফাইল কম্প্রেসড বা জিপ করা হয়।
আর্কাইভের মাধ্যমে অনেকগুলো ফাইলকে একটি ফাইলে আনার সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে ব্যাকআপ এবং অন্য কোন ইউজারের কাছে ডাটা পাঠানোর কাজে এটি ব্যবহার করা হয়। যেমন একজন ওয়েব ডেভেলপার HTML,CSS এবং বিভিন্ন ইমেজ ফাইল সেভ করার জন্য একটি সিঙ্গেল আরচিভ ব্যবহার করেন, যদি তা সাইট ডিজাইনারের কাছে পাঠাতে হয় তবে তা কম্প্রেস করলেই ফাইলটি ছোট হয়ে যাবে।
আর ছোট ফাইল ট্রান্সফার করতে অনেক কম সময়ের প্রয়োজন হয়।
এই কম্প্রেস করা ফাইলটিকে সম্পূর্ণরুপে পেতে হলে ফাইলটিকে আনজিপ করতে হইয়। আনজিপ করার কিছু জনপ্রিয় সফটওয়্যার হল winrar,winzip, 7-zip. আনজিপ করলেই পুরো ফোল্ডারটিকে আসল সাইজে পাওয়া যাবে।
কিছু চেনা ফাইল এক্সটেন্সান .ZIP, .ZIPX.SIT, .SITX, .TAR, .TGZ, .RAR
Array : Array(অ্যারেই) হল একটি ডাটা গঠন পদ্ধতি যা উপাদান বা element কে গ্রুপ আকারে ধারণ করতে পারে। তবে সেই উপাদান সমূহকে একই টাইপের ডাটা হতে হবে।
যেমনঃ পুর্ণ সংখ্যা বা স্ট্রিং। অ্যারেই সাধারণত কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে একই টাইপের ডাটা বা সংখ্যাকে সাজানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণস্বরুপঃ একটি সার্চ ইঞ্জিন একজন ব্যবহারকারীর সার্চে পাওয়া ওয়েব পেজগুলোকে সেভ করার জন্য Array ব্যবহার করতে পারে। ফলাফল প্রদর্শনের সময় এই প্রোগ্রামটি একটি সাইট প্রদর্শনের পরিবর্তে একটি array প্রদর্শন করে। এবং array প্রোগ্রামটি লেখার কি সময় কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়।
ঐ নিদিষ্ট সংখ্যা পর্যন্ত array টি আউটপুট দেয়। সেক্ষেত্রে প্রোগ্রামে যতগুলো চলক বা ভেরিয়েবল নির্ধারণ করা যায় সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলকে array আকারে সেভ করে ফলফল প্রদর্শনের ক্ষমতা তত বেড়ে যায়, এবং মেমরি ব্যবস্থাপনা ও তত ভাল হয়।
প্রোগ্রাম করার সময় array তে loop (লুপ) যেমন for loop, while loop ইত্যাদি ব্যবহার করে নিচের array টি সম্পূর্ণ করা যায়।
arrayname[0] = "This ";
arrayname[1] = "is ";
arrayname[2] = "pretty simple.";
print arrayname[0];
print arrayname[1];
print arrayname[2];
এই array টিতে লুপ ব্যবহার করে This is pretty simple." এই আউটপুট টি প্রদর্শন করা যায়। তবে শুধু প্রোগ্রামিং না, অন্যান্য সফটওয়্যারেও একই ধর্মের একাধিক কাজের বিষয়কে অ্যারে বলা হয়।
Backup : Backup(ব্যাকআপ) বলতে বোঝায় মূল ডাটা থেকে এক বা একাধিক কপি তৈরি করা। যদি কখনো মূল ডাটা নষ্ট হয়ে যায় , হারিয়ে যায়, বা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পরে তখন ব্যাকআপ থেকে ডাটা নিয়ে কাজ করা যায়। ইউজার ব্যাকআপ রাখার জন্য তার কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভ অথবা ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ব্যবহার করতে পারে।
হার্ডড্রাইভ অনেকদিন ধরেই তার সার্ভিস দিয়ে যায়, তার মানে এই নয় যে হার্ড ড্রাইভ নষ্ট হয়না। হ্যাঁ, হার্ড ড্রাইভ ও মাঝে মধ্যে ক্রাশ করতে পারে।
কারণ হার্ড ড্রাইভ ও একটি ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র। আজকের যুগে এই জিনিসের কোন বিশ্বাস নেই। যখন তখন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার ডাটা রিকভার করার কোন সু্যোগই পাবেন না যদি না আপনার ডাটাগুলোর কোন ব্যাকআপ না থাকে।
শুধু কি হার্ড ড্রাইভ ? সফটওয়্যার ক্র্যাশ আপনার ফাইল ডিরেক্টরি নষ্ট করে দিতে পারে।
এমনকি আপনার ফাইল গুলো সম্পূর্ণ অদৃশ্য করে দিতে পারে। আবার ভাইরাস অথবা সফটওয়্যারের আক্রমনের কারনে ও আপনি আপনার গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো হারিয়ে ফেলতে পারেন। অথবা প্রোগ্রাম ইন্সটলেশনের ঝামেলায় হয়ত বা আপনার ফাইল বা অ্যাপ্লিকেশানগুলো ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে যেতে পারে। দুর্ভাগ্য বশতঃ এমন অনেক কারনে আপনার গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো হারিয়ে যেতে পারে বা নষ্ট হয়ে যেতে পারে বা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে যেতে পারে।
তাহলে ব্যাকআপ করবেন কিভাবে? সবচেয়ে ভাল হয় আপনি এক্সটার্নাল হার্ড ড্রাইভ বা ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ব্যবহার করতে পারেন।
এমনকি অন্য একটি কম্পিউটার ও ব্যবহার করতে পারেন। অপ্টিকাল স্টোরেজ ডিভাইস হিসেবে সিডি বা ডিভিডিতে ও আপনি আপনার ডাটা গুলোর ব্যাকআপ রাখতে পারেন। আর ব্যাকআপ রাখার জন্য অনেকগুলো ব্যাকআপ সফটওয়্যারের প্রচলন আছে। এগুলোর সাহায্য নিয়ে আপনি ডাটা ব্যাকআপ করতে পারেন। সবগুলো ডাটা ব্যাকআপ রাখতে না পারলেও গুরুত্বর ভিত্তিতে ডাটা গুলোর ব্যাকআপ রাখা উচিত, যাতে কখনো আপনার কম্পিউটার ক্র্যাশ করলে ও আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ডাটাগুলো হারিয়ে না ফেলেন।
Batch Process : কম্পিটারের কিছু কিছু কাজ আছে যেগুলো বিরক্তিকর এবং বার বার করতে হয়। আর এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় ব্যাচ প্রসেস যেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে একইরকম অনেকগুলি কাজ একই সাথে করে দেয়।
একটি ব্যাচ প্রসেস কোন নির্দেশনার তালিকা ধারাবাহিকভাবে সম্পন্ন করে থাকে। এই প্রসেসটি কোন কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম (উইন্ডোজ কিংবা ম্যাক ওএস) ব্যবহার করে স্ক্রিপ্ট বা ব্যাচ ফাইলের মাধ্যমে কাজ করে থাকে। এছাড়াও কোন প্রোগ্রামের মধ্যে ম্যাক্রো(macro) অথবা অভ্যন্তরীন স্ক্রিপ্টিং টুলের মাধ্যমেও এটি করা যায়।
উদাহরণস্বরূপ একজন ফটোশপ ইউজার অনেকগুলো ইমেজে একইসাথে পরিবর্তন করতে চাইলে একটি ব্যাচ প্রসেস ব্যবহার করতে পারে। যেমনঃ সে যদি ফটোশপে ইমেজে ব্যবহারের জন্য ইমেজ ক্রপ (crop) বা রিসাইজ (resize) করার একটি অ্যাকশন সেভ করে রাখে, তাহলে পরবর্তীতে যখন প্রয়োজন হবে তখন শুধু একটি নয় বরং পুরো ফোল্ডারের সমস্ত ছবি ব্যাচ প্রসেসের মাধ্যমে একইসাথে পরিবর্তন করতে পারবে।
ব্যাচ প্রসেসের মাধ্যমে একই কাজ বারবার না করে একইসাথে করার কারণে ইউজারের সময় ও শ্রম দুটোরই রক্ষা হয়।
ফেসবুক আপডেটের জন্য পেজটিতে লাইক দিন: http://www.facebook.com/technologybasic ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।