আমি একজন……… পৃথিবীর সবচেয়ে রহস্যময় পাণ্ডুলিপি হিসেবে খ্যাত ভয়নিখ
পাণ্ডুলিপি। অনেক গবেষণা হয়েছে, হয়েছে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা। কিন্তু
একটি শব্দের মানেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ১৯১২ সালে আবিষ্কৃত হওয়ার ১০০ বছর পরে আজও অমীমাংসিত রয়ে গেছে পুরো পাণ্ডুলিপির অর্থ। রোমের কাছে ফ্রাসকেটি নামের জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয় পাণ্ডুলিপিটি।
উইলফ্রিড এম ভয়নিখ নামের এক আমেরিকান
পুরনো পাণ্ডুলিপির এক বান্ডিল থেকে এটি খুঁজে বের করেন। তারই নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়। ধারণা করা হয়, প্রায় ৪০০ বছর আগে কোনো এক লেখক দুর্বোধ্য ভাষা আর রহস্যজনক ছবির
মাধ্যমে সাজিয়েছেন এ পাণ্ডুলিপি। কেউ বলেন, এটি অ্যালকেমি নিয়ে লেখা। আবার কারো মতে, এটি এলোমেলো কিছু চিহ্নের বই ছাড়া কিছুই নয়।
আবিষ্কারের পর থেকে বাঘা বাঘা সব ক্রিপ্টোগ্রাফার
এবং সংকেত উদ্ধারকারীদের গবেষণার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয় এর লিপি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জটিল সব সংকেতের মানে বের করা নামিদামি ক্রিপ্টোগ্রাফাররাও এর একটি শব্দের অর্থ বুঝে উঠতে পারেননি। ২৩৫
পৃষ্ঠার ৭ বাই ১০ ইঞ্চির এ পাণ্ডুলিপিটি যে সবাইকে ঘোল খাইয়ে ছেড়েছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে পাণ্ডুলিপির সঙ্গে যুক্ত বহু পুরনো একটি চিঠি থেকে পাওয়া যায় মজার কিছু তথ্য। ১৬৬৬ সালে আথানাসিয়াস
কার্চারকে লেখা জোহানস মার্কাস মার্সির লেখা এ চিঠি থেকে জানা যায়, এ
পাণ্ডুলিপি বোহেমিয়ার রাজা রুডলফ-২ (১৫৫২-১৬১২) কেনেন।
পরে অনেক হাত ঘুরে এটি মার্সির কাছে আসে, যিনি এটি রোমের এক যাজক ও বিজ্ঞ কার্চারের কাছে পাঠান। পাণ্ডুলিপিটি এখন রয়েছে ইয়েল ইউনিভার্সিটির দুর্লভ বইয়ের সংগ্রহশালায়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।