সাহাদাত উদরাজী www.udrajirannaghor.wordpress.com রাজধানীর হাতিরঝিলের পাশে (মগবাজার দিলু রোড়ের পিছনে, যদিও এখানকার সব কাজ এখনো শেষ হয়নি, চলছে) আমার এক বন্ধুর বাসা। আজকাল বিকাল সন্ধ্যা হলে আড্ডা দিতে গেলে আমার বন্ধু আমাকে হাতিরঝিলে নিয়ে যায়। বেশ খোলামেলা এবং প্রানবন্ত জায়গা হয়ে উঠছে। পাড়া মহল্লার আবালবৃদ্ধবনিতা বিকাল হলেই নেমে পড়ে। কেহ হাটে, কেহ এক জায়গায় বসে গল্প গুজব কিংবা মোবাইল টিপাটিপি করে সময় কাটায়।
বেশ লোক দেখানো হয়ে উঠছে। শিশুরাও বেশ আনন্দে আছে বলে মনে হয়, আজকাল আবার সাইকেল বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
ইট পাথরের এই দালান কোঠায় লেকের বাতাস মনে দোলা না দিয়ে পারে না।
লেকের পাড়ে তরুণদের টাইম পাস একটা দেখার বিষয় হয়ে উঠছে।
আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কিছুদিন আগে হাতিরঝিল প্রকল্প শুভ উদ্ভোধন করেছেন, এটা সবার জানা।
এরপর তিনি একটা কথা বলেছিলেন, হাতিরঝিলের ক্যান্সার হচ্ছে, বিজিএমই ভবন। সেদিন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথাটা আমি বুঝতে পারি নাই, কারন আমি নিজ চোখে তা দেখি নাই, বিজিএমই ভবনের অবস্থান জানা ছিল না, শুধু মনে করতাম হোটেল সোনারগাঁও এর পাশে। এখন যখন দেখি (ভবনটি পুরাই লেকের উপর, এটা লেকের সৌন্দর্য্য/ গ্রহনীয়তা/ পানি প্রবাহ একদম শেষ করে দিয়েছে) আমার বার বার মনে পড়ে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদিন সঠিক ক্যনাসারের কথাই বলেছিলেন।
আমি মনে করি এই ক্যান্সার অপারেশনের (পুরাই ভেঙ্গে ফেলা দরকার) মাধ্যমে পুরাই উপড়ে ফেলা দরকার। দেশের ক্ষতি এযাবৎ কম হয় নাই, এই ভবন ভেঙ্গে না হয় আরো ক্ষতি হউক! এই ভবন ভেঙ্গে হাতিরঝিলের আসল রুপে ফিরিয়ে আনলে আমি নিশ্চিত, আমাদের আগামী প্রজন্ম যে কোন অবৈধ স্থাপনা থেকে নিজদের মুক্ত রাখবে, সরকারী জায়গায় একটা খুটি লাগাতেও ভাববে অনেকবার!
হাতির ঝিলের জয় হউক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।