আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্কুলে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে অভিভাবকের ‘মহড়া’

প শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা মীমাংসায় বৈঠকে বসেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র ও অভিভাবকেরা। এক ছাত্রের অভিভাবক এ সময় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হাজির হন ও দস্তুরমতো মহড়া দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গত শনিবার সকালে মাগুরা সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বুধবার প্রথম সাময়িক পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার খাতা দেখা নিয়ে নবম শ্রেণীর বিপ্লব, এলিট, শাওন ও শাকিবের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।

একসময় তা মারামারিতে রূপ নেয়। ঘটনা নিয়ে থানায় মামলা পর্যন্ত হয়। বিষয়টি মীমাংসা করতে প্রধান শিক্ষক শনিবার সকালে তাঁর কক্ষে বৈঠক ডাকেন। প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা জানান, সকাল ১০টার দিকে বৈঠকটি শুরু হয়। এ সময় বিপ্লবের চাচাতো ভাই যুবলীগের সাবেক কর্মী শামীম শেখ (৩৫) একটি শর্টগান নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন এবং অস্ত্রটি প্রধান শিক্ষকের টেবিলের ওপর রাখেন।

ঘটনার আকস্মিকতায় ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকেরা হকচকিত হয়ে যান। সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে ১৪টি গুলিসহ আগ্নেয়াস্ত্রটি জব্দ করে। সঙ্গে শামীম শেখকেও নিয়ে যায়। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এখানে পড়ালেখা করে। বিদ্যালয়ের বৈঠকে আগ্নেয়াস্ত্র আনা ঠিক হয়নি। এটি অপরাধও বটে। অনেকে ভয় পেয়েছে। ’ এ ছাড়া শামীম শেখ হুমকি-ধমকিও দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষকেরা।

আগ্নেয়াস্ত্র বহনের কথা স্বীকার করে শামীম শেখ বলেন, ‘নিরাপত্তার স্বার্থে আগ্নেয়াস্ত্রটি সঙ্গে নিয়েছিলাম। জনসমক্ষে বের করিনি। ’ মাগুরার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবীর বলেন, বিদ্যালয়ে এক ব্যক্তি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসেছেন—এ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলিভর্তি শর্টগানটি জব্দ করে। আপাতত সেটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। যদি আগ্নেয়াস্ত্রের বৈধ লাইসেন্স না থাকে, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হবে।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) কেরামত আলী বলেন, আগ্নেয়াস্ত্রটি জব্দ করে আনার পর শামীম শেখকে অস্ত্রের লাইসেন্স দেখাতে বলা হয়। তিনি লাইসেন্স দেখিয়েছেন। তবে এখন তিনি আগ্নেয়াস্ত্রটির নিরাপত্তার স্বার্থে সেটি থানায় জমা রাখতে আবেদন করেছেন। এ জন্য অস্ত্রটি থানায় জমা রাখা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, শামীম শেখ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত ছিলেন।

আওয়ামী লীগের শেষ সময়ে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।