স্কুলের টিফিন নিয়ে মায়েদের দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। বেশির ভাগ শিশু সকালে তাড়াহুড়া করে স্কুলে যাওয়ার সময় তেমন কিছু খেতে পারে না। তাই টিফিনই মূলত তাদের দিনের প্রথম ভাগের মূল খাবার। এর পর দুপুর পর্যন্ত তারা না খেয়েই থাকে। তাই দৈনিক ক্যালরি চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ আসা উচিত এই টিফিন থেকে।
খাবারটি যথেষ্ট ক্যালরি সম্পন্ন হওয়া উচিত এবং অবশ্যই তাতে পরিমাণমতো আমিষ ও শর্করা থাকা উচিত। শর্করা ছোটাছুটি ও খেলাধুলার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি জোগাবে, আমিষ বেড়ে ওঠার চাহিদা পূরণ করবে। এর সঙ্গে টিফিনে ভিটামিন ও খনিজ যুক্ত খাবারও যোগ করুন প্রতিদিন। এগুলো শিশুর ত্বক, হাড়, দাঁত গঠনে ও রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করবে।
অতিরিক্ত তেল ও চর্বিজাতীয় খাবার, ফাস্ট ফুড বা জাংক ফুড, চকোলেট, আইসক্রিম ইত্যাদি উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার শিশুদের অন্ত্রে খাদ্যের চলনকে ধীর করে দেয়।
ফলে সহজে আর খিদে পায় না এবং বাড়ি ফিরে আর কিছু খেতে চায় না। বার্গার বা চিকেন ফ্রাইয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্যালরি, চর্বি, লবণ ইত্যাদি থাকে যা শিশুর জন্য ক্ষতিকর। প্রতিদিন এ ধরনের খাবার খেলে শিশুরা স্থূলতা, ওজনাধিক্য সমস্যায় ভুগবে। l
প্রধান পুষ্টিবিদ, বারডেম হাসপতাল।
২ সহজে নষ্ট হয় এমন খাবার পরিহার করুন। গরমের দিনে অনেকক্ষণ ব্যাগে থাকলে দুধ বা দুগ্ধজাত দ্রব্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে ও পেট খারাপ করতে পারে।
৩ প্রক্রিয়াজাত খাদ্য যেমন নাগেট, সসেজ, হ্যাম, ফ্রোজেন ও টিনের খাবার ইত্যাদি স্বাস্থ্যসম্মত নয়।
যথাসম্ভব বাড়িতে প্রস্তুত ও টাটকা খাবার দেওয়া উচিত।
৪ বাড়ি থেকে বিশুদ্ধ পানি দিন, কোমল পানীয় প্রতিদিন খেলে শিশুদের স্থূলতা ও ভবিষ্যতে নানা রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।