উন্নত দেশে ব্যক্তি স্বাধীনতা
জাপান আধুনিক বিশ্বে নিঃশন্দেহে পৃথিবীর অন্যতম প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় শীর্ষ দেশগুলির মধ্যে অন্যতম। উৎকর্সের শীর্ষে থাকার সুনাম, সব ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করা এবং অন্যতম শৃংখলায়িত দেশ হওয়া সত্বেও ফুকুশিমা আনবিক শক্তির এলাকায় সুনামি, ভুমিকম্পের কারনে সৃষ্ট বিপর্যয় ব্যবস্থাপনায় রীতিমত হিমশিম খেয়ে পরবরতিতে , এলাকার জনগনকে সঠিক তথ্য প্রদান থেকে নিয়মিত বিরত থাকা শুরু করেন।
জাপানের এ বিষয়ে সজাগ জনগন প্রতিবাদ জানাতে গিয়েও মিডিয়া নিয়নত্রনের কারনে প্রতমে সোচ্চার হতে সক্ষম হননি।
এটা সহজেই প্রমানিত হয় কারন, টেপকো (টোকিও পাওয়ার কোম্পানি) প্রথমে অনবরত ফুকুশিমার বিপর্যয়ের সঠিক তথ্য গোপন করে গেছেন। কি ভাবে তা হয়েছে তার উদাহরন নিচে দেয়া হোলঃ-
১।
ফুকুশিমার এলাকা বাসিকে প্রথমে ১০(দশ) কিমি ব্যসার্ধের এলাকা বসবাস অনুপযোগী হওয়ার আশংকায় ছেড়ে দিতে বলা হয়।
২। দ্বিতীয় বারে বলা হয় ৩০(তিরিশ) কিমি ব্যসার্ধের এলাকা
৩। তৃতীয় বারে বলা হয় ৪০(চল্লিশ) কিমি ব্যসার্ধের এলাকা
খোদ যুক্তরাষ্ট্রই ৮০(আশি) কিমি ব্যসার্ধের এলাকায় কেউ থাকতে পারবেন না বলে মতামত দিচ্ছেন(ছবি দেখুন)
জনগনকে সরকারী ভাবে জানানো হয়নি তারা ঐ তেজষ্ক্রিয়াযুক্ত এলাকায় আগামি ১০০(একশত) বছরে ফিরে যেতে পারবেন না।
কিন্তু সচেতন প্রতিষ্ঠান ও আনবিক শক্তির ক্ষতিকারক দিকগুলো সন্মন্ধে ওয়াকিবহাল ব্যক্তিবর্গ আসল অবস্থান জানার পর সরকারের নরবতা ও তথ্য গোপনে সোচ্চার হতে থাকেন।
ফলে আজ সবগুলি আনবিক শক্তি কেন্দ্রগুলো নিরাপদাবস্থা পরীক্ষা করনের জন্য বন্ধ করতে জাপান সরকার বাধ্য হয়েছে।
বাংলাদেশে রুপ্পুরে সরকার দেশের প্রথম আনবিক শক্তি কেন্দ্র স্থাপন করতে রাশিয়ার সংগে চুক্তি বদ্ধ হয়েছে। জাপানের মত উন্নত দেশ যেখানে পারমানবিক শক্তি কেন্দ্রের বিপর্যয় ঠেকাতে পারেন নি, বিপর্যয় এলাকার জনগনকে তাদের আবাসিক এলাকা ত্যাগে বাধ্য করেছেন, সেখানে আমাদের মত অনুন্নত ও জনবহুল দেশের কি আনবিক শক্তি কেন্দ্র স্থাপন অদৌ করা উচিত?
ন্যচারাল নিউজ এর ফুকুসিমার বিপর্যয়ের খবর সমূহ
ফুকুশিমায় বিপর্যয়
তেজষ্ক্রিয়া নিরোধ স্যুট পরিহিত নিষ্কাশন বাহিনী
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।