বন্ধু কেমন আছো?
ভালো
এতো সকালে ফেসবুকে?
ওঠলাম আর কী।
ঘুম হয় নাই, ভালোভাবে?
তা, হইছে।
তাইলে তোমার কথাবার্তা একটু কেমন জানি লাগতেছে।
কেমন?
না, মনে হইতেছে তোমার মুড অফ।
হুমম।
আর কইওনা মেজাজ খারাপ।
কেন? কি হইলো আবার? কে করলো?
গার্লফ্র্যান্ড।
ও! কোনটা?
আছে। তারে দেখো নাই। চিনাবা না।
ফেসবুকেও খুব কম মানুষ তারে জানে।
কেন? কি হইছে?
আরে, মানুষের মনের কথা বেশিক্ষণ চাপা থাকে না। মুখ ফসকে বেরিয়েই আসে।
কি করলো সে?
সকালে তারে বারবার জিগাইলাম, তুমি কাল রাতে কার সাথে কথা কইলা?
কয়, বাইরে থাকা এক কাজিনের সাথে। আমার বিশ্বাস হয় নাই।
আমি তাই কিছুক্ষণ পর পর জিজ্ঞাসাবাদ চালাইলাম। একটা সময় সব ফাঁস হইয়া গেল।
কী?
সে আসলে তার কাজিন না, তার ভার্সিটির এক ছেলের সাথে কথা কইছে।
আসলেই বন্ধু, মানুষ বেশিক্ষণ মনের ভেতরে কথা চাইপা রাখতে পারেনা। মুখ ফসকে বেরিয়েই আসে।
হুমম।
বিষয়টা নিয়া কী তোমার মন খুব খারাপ?
হুমম। এতো সুন্দর একটা মেয়ে এমন কাজ করতে পারে আমার বিশ্বাস হচ্ছেনা। কান্না পাইতেছে।
কও কী এতো খারাপ অবস্থা? তুমি এক কাজ করো খালি তার নামটা কও।
থাক তোমার কিছু কইতে হইবো না।
আরে না বন্ধু, কও জলদি। আমারও মেজাজ খারাপ হইতাছে।
না থাক তুমি চেইতো না। আমার বিষয় আমারেই হ্যান্ডেল করতে দাও।
আরে না মিয়া, তুমি খালি নামটা কও না।
আরে কি সমস্যা? তুমি কী করবা?
তুমি নামটা কও না।
বুঝলাম না। তুমি এতো নাম জানতে চাইতেছো কেন? কিছু করার লাগবো না।
তুমি খালি নামটা কও না।
আইচ্ছা কও তুমি কী করবা?
কিছু না, আমি তারে ফেসবুকে অ্যাড কইরা নিমু। সরি...মানে...আমি তারে...
থাক বন্ধু। যা বোঝার বুইঝা গেছি। আর মানে মানে করতে হইবো না। মানুষ বেশিক্ষণ মনের ভেতরে কথা চাইপা রাখতে পারেনা।
মুখ ফসকে বেরিয়েই আসে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।