আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি ১০ মাসেও

দেশের পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না। চলতি ২০১২-১৩ অর্থবছরের ১০ মাস ধরে এমনটাই লক্ষ করা যাচ্ছে। সর্বশেষ গত জুলাই মাসে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছিল।
তবে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক ধারাতেই আছে। চলতি ২০১২-১৩ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে প্রবৃদ্ধি হয় ১০ দশমিক ১৬।

১০ মাস শেষে প্রবৃদ্ধি কমে ১০ দশমিক ১৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাস অর্থাৎ জুলাই-এপ্রিল সময়কালে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে দুই হাজার ১৭৮ কোটি মার্কিন ডলার। এটি একই সময়ের দুই হাজার ২৫২ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ৩১ শতাংশ কম। অন্যদিকে এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের এক হাজার ৯৭৭ কোটি ডলারের চেয়ে ১০ দশমিক ১৪৭ শতাংশ বেশি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ তথ্য থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

এতে দেখা যায়, আলোচ্য সময়ে নিট ও ওভেন পোশাক, কৃষিজাত পণ্য, হস্তশিল্প, পাদুকা, কার্পেটসহ কয়েকটি পণ্যের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে।
শুধু এপ্রিলে রপ্তানি আয় হয়েছে ২০৭ কোটি ডলার। এটি একই সময়কালের ২৩৪ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ কম। এই আয় আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেশি। গত জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চে রপ্তানি আয় ছিল যথাক্রমে ২৫৫, ২২৪ ও ২৩০ কোটি ডলার।


ইপিবির তথ্যমতে, আলোচ্য সময়ে রপ্তানি আয়ের শীর্ষে রয়েছে ওভেন পোশাক খাত। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নিট পোশাক খাত। ওভেনে ৮৯২ কোটি ডলার রপ্তানি আয় হয়, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি। আর নিটে ৮৩৮ কোটি ডলার আয় হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৮২ শতাংশ কম। আলোচ্য সময়ে ওভেন ও নিট খাতের এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে যথাক্রমে ১৩ দশমিক ৯৮ এবং ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেশি।


এ ছাড়া আলোচ্য সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে ৮৬ কোটি ডলার আয় হয়। এর মধ্যে কাঁচা পাট, পাটের সুতা এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে যথাক্রমে ১৯, ৪২ এবং ১৯ কোটি ডলার রপ্তানি আয় হয়। এ ছাড়া ৬৪ কোটি ডলারের হোমটেক্সটাইল, ৪৩ কোটি ডলারের হিমায়িত খাদ্য, ৪২ কোটি ডলারের কৃষিজাত পণ্য, ৩১ কোটি ডলারের চামড়া এবং ১১ কোটি ডলারের চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে কি না, সম্প্রতি এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশীষ বসু প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘অবশ্যই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের একটা সম্ভাবনা আছে। তবে সব লক্ষ্যমাত্রাই মূলত একটি অনুমানের ভিত্তিতে করা হয়।

অনেক সময় এটি বাস্তবসম্মত হয় না। আর এটি নির্ধারণের উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমরা যেন একটি নিদিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে প্রচেষ্টা চালাতে পারি। ’
শুভাশীষ বসু আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত রপ্তানি আয়ের ১০-১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এটি সন্তোষজনক। তা ছাড়া গত অর্থবছরের ৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির তুলনায় বর্তমানে আমরা অনেক বেশি সুসংহত অবস্থানেও আছি।

এটি অব্যাহত থাকলেই সফল মাইলফলক হবে। ’।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.