চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাস জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৬২০ কোটি ৩৮ লাখ মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই আয় আলোচ্য সময়ের জন্য নির্ধারিত ৫৭৬ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ এবং গত অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের চেয়ে ২৪ দশমিক ১৬ শতাংশ বেশি।
এদিকে পোশাকশিল্পে ভালো প্রবৃদ্ধি হওয়ায় দেশের সার্বিক রপ্তানির চিত্র আবার ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। এর ফলে আলোচ্য সময়ে মোট রপ্তানি-আয় দাঁড়িয়েছে ৭৬২ কোটি ৭৯ লাখ ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২১ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) গতকাল বুধবার রপ্তানি-আয়ের হালনাগাদ এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
ইপিবির পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আলোচ্য সময়ে পোশাক খাত থেকেই সর্বোচ্চ ৬২০ কোটি ডলার আয় হয়েছে। এর মধ্যে নিট পোশাক রপ্তানির মাধ্যমে ৩১৬ কোটি ডলার আয় হয়েছে; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি।
অন্যদিকে ওভেন পোশাক খাতে রপ্তানি-আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০৪ কোটি ডলার। এই আয় ৩০০ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেশি।
পোশাক খাতের রপ্তানি বৃদ্ধি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী প্রথম আলোকে বলেন, ‘অর্ডারগুলো অনেক আগের।
তাই হয়তো রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ভালো। ’ তিনি আরও বলেন, সামনের দিনগুলোতে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে। কারণ, অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স বাংলাদেশের পোশাক কারখানা পরিদর্শনে আসছেন। তখন বাস্তব পরিস্থিতি বোঝা যাবে।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে সালাম মুর্শেদী বলেন, দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ কারখানাই শেয়ারড ও কনভার্টেড বিল্ডিংয়ে গড়ে উঠেছে।
পরিদর্শন কার্যক্রম শুরু হলে অনেক কারখানাতেই ছোট বা বড় ত্রুটি ধরা পড়লে ক্রেতারা কার্যাদেশ দেওয়া সাময়িক বন্ধ করতে পারেন। আর ছোট কারখানাগুলোই এই সমস্যায় বেশি পড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইপিবির তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, নিট ও ওভেন পোশাক, হিমায়িত খাদ্য, হস্তশিল্প, কার্পেট, পাদুকা, প্রকৌশল পণ্যসহ কয়েকটি খাতের রপ্তানি-আয় চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের লক্ষ্যমাত্রা এবং আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বেশি হওয়ায় সামগ্রিকভাবে প্রবৃদ্ধি ভালো হয়েছে।
টানা ১১ মাস লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থতার পর জুলাই মাসে দেশের রপ্তানি-আয় ইতিবাচক ধারায় ফিরেছিল। তবে এক মাসের ব্যবধানে আগস্ট মাসেই তা পুরোনো চিত্রে ফিরে গিয়েছিল, অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।
তবে এক মাসের মধ্যেই আবার স্বস্তির ধারা—লক্ষ্যমাত্রা ও ভালো প্রবৃদ্ধি অর্জন।
এদিকে মাসিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শুধু গত সেপ্টেম্বরে ২৫৯ কোটি ডলারের রপ্তানি-আয় হয়েছে। এই আয় ২০৪ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৬ দশমিক ২৬ শতাংশ বেশি।
এদিকে জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি-আয় কমে গেছে। আলোচ্য সময়ে এই খাত থেকে ২০ কোটি ডলার রপ্তানি-আয় হয়েছে; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৬ শতাংশ এবং গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৮ শতাংশ কম।
এই খাতের রপ্তানিতে কাঁচা পাটে দুই কোটি ৪৭ লাখ, পাটের সুতায় ১২ কোটি ও পাটের ব্যাগে তিন কোটি ৯৯ লাখ ডলার আয় হয়েছে।
এর প্রথম ফ্লাইট গতকাল বুধবার সকাল নয়টা ২০ মিনিটে ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে গেছে। এরপর ফিরতি ফ্লাইট ব্যাংকক থেকে স্থানীয় সময় বেলা দুইটায় ছেড়ে তিনটা ২৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করে।
রিজেন্ট এয়ার এর আগে গত ১৫ জুলাই ঢাকা-কুয়ালালামপুর-ঢাকা গন্তব্যে প্রথম আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।