জীবন অনেক দামী..কাজ প্রচুর...সময় কম।
সময় এসেছে ইলিশকে বিপন্ন প্রানী ঘোষনা দেবার। সকলেরই জানা ইলিশ পুরোপুরি একটি প্রাকৃতিক প্রানী। কৃত্রিম পরিবেশে ইলিশ উৎপাদন আজও সফল হয়নি। কোনদিন হবে এরকমটাও এই মূহুর্তে বলা যাচ্ছে না।
অর্থাৎ ইলিশ কোনভাবেই অতিরিক্ত উৎপাদন করা সম্ভব নয়। সেহেতু সমগ্র বিশ্বের চাহিদা (যা উত্তোরোত্তর বেড়েই চলবে ) এক বাংলাদেশ থেকে কোনভাবেই পূরণ করা সম্ভব নয়। এই চেষ্টা করাও নিজের দেশের প্রতি অবিচার ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না।
ইতোমধ্যেই ইলিশ বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী হওয়ার পথে। অথচ, উল্লুক বিলুপ্ত হওয়া নিয়ে অনেকেই সরব হলেও ইলিশ নিয়ে তা করা হচ্ছে না।
প্রশ্ন উঠতে পারে ইলিশ তো এখনো যথেষ্টই পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু ইতিহাস একটু পর্যালোচনা করলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে। আজ থেকে ৪০ কি ৫০ বৎসর আগে পদ্মার শাখা নদী যেমন কুসটিয়ার গড়াই নদীতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ত। বছর বিশেক আগেও বরিশালের বিভিন্ন নদীতে জেলে নৌকায় ধরা পড়া ইলিশ জালের মধ্যেই লাফাচ্ছে, এ আমার স্বচক্ষে দেখা। এরপর কিছুদিন যাবৎ অন্তঃত বঙোপসাগরের মোহনায় মাছ আহরন সম্ভব ছিল।
কিন্ত এখন পরিস্থিতি হচ্ছে মাছ ধরতে জেলে নৌকাগুলো পাল্লা দিয়ে গভীর থেকে গভীরতর সমুদ্রে পাড়ি জমাচ্ছে। এই ধারা চলতে থাকলে এটা সহজেই অনুমেয় খুব শীঘ্রি গভীর সমুদ্রেও মাছের দেখা মিলবে না।
সুতরাং বিদেশে রপ্তানির একটা নীতিমালা অচিরেই গ্রহন করা প্রয়োজন। এবং তা হতে হবে আমাদের দেশের মানুষের কাছে ইলিশের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করে। হতে পারে একটা সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া।
গতবছরের উৎপাদনের সর্বোচ্চ ৫% কি তার কম ভারত, ইউরোপ, আমেরিকা এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে রপ্তানি করা হবে। মূল্য এখানে চাহিদার বিপরীতে নির্ধারিত হবে। কিন্ত কোনভাবেই দাম বেধে দেওয়া নয়। অন্যথায় অচিরেই হয়ত দেশের মানুষকে ইলিশ খাবার জন্য বিদেশের মাটিতে পা রাখতে হবে। আর আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজম্নকে ইলিশের ছবি দেখেই তৃপ্তি মেটাতে হবে।
সুতরাং আসুন আমরা সচেতন হই, সরব হই। প্রয়োজনে রয়েল বেঙ্গল টাইগার কিম্বা হরিণ রপ্তানি করা যেতে পারে (!!) কিন্তু ইলিশের যথেচ্ছা রপ্তানি এবং আহরন দুটাই নিয়ন্ত্রিত করা হোক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।