আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের মিডিয়া এবং সাংবাদিকের নিরাপত্তা !

হয়তো আমি একাই... মাঝে মাঝে শ্লাঘা বোধ হয়। সাংবাদিকতায় পড়ছি। সবার হয়ে কথা বলতে পারবো। রাষ্ট্র আর জনগণের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে পারবো। হঠাৎ করেই স্বপ্নে এক ভিষণ ধাক্কা লাগে।

দেশের মিডিয়া জগৎ কাঁপিয়ে দেয়া এক হত্যাকাণ্ড। মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরোয়ার এবং এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি নিজেদের বাসায় নির্মম ভাবে খুন হলেন। পরের দিন ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যলয়ে যেয়ে খবরটা জানতে পারি। ঘটনা বিস্তারিত শুনে নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারি না। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে একজন নাগরিকের দায়িত্ব যেখানে সরকারের; সেখানে সাংবাদিকতার মহান পেশায় নিয়োজিত একজনের জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই।

হায় দেশ! অবাক করলে তুমি?! আমাদের মহামান্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন ৪৮ ঘন্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেফতার করা হবে; ৩ মাস হতে চললো; কাজের কাজ কিছুই হল না। প্রধানমন্ত্রী তো বলেই বসলেন, কারো বেডরুমের নিরাপত্তা দেয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বজন হারানোর বেদনা আপনার চেয়ে ভাল কেউ বুঝবে না। ভাবুন সাগর-রুনির ছোট্ট শিশু মেঘের কথা। একবার নিজের কাছে প্রশ্ন করুনতো যে নিজের চোখের সামনে বাবা-মায়ের মৃত্যু দেখেছে।

কি জবাব দেবেন তাকে?! আমাদের মিডিয়াই বা কি করলো তার সন্তানদের জন্য?! ভ্রান্ত পরকীয়ার কিছু মন-গড়া কাহিনী, মেঘের সাথে কথা বলার নামে তাকে মানসিক ভাবে আরো বিপর্যস্ত করা; আর কিছু কি করতে পেরেছে?! কর্পোরেট জার্নালিজমের যুগে সাংবাদিকরা আজ প্রতিষ্ঠানের হাতের পুতুল। আজ তারা সাংবাদিক নন; সংবাদ-ব্যবসায়ী। দেশের এতো গুলো মিডিয়া হাউস, এতো চ্যানেল, এতোগুলো দৈনিক পত্রিকার নজির কয়টি দেশে আছে?! কিন্তু এতো কিছুর ভিড়ে এই মসি সৈনিকেরা কতোটিকু স্বাধীনভাবে নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করতে পাড়ছে একবার ভেবে দেখেছেন কি?! সাংবাদিক নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চা-চক্রে সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাস পেলেন; আন্দোলনে ইস্তফা দিলেন। কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হল। পরীক্ষার রিপোর্ট জমা দেয়া হল।

এরপর কি হল? কে খুন করেছে? কেন করেছে? এখনো কেউ জানে না!? আদৌ কি জানবে?! আর কতোদিন অপেক্ষা করতে হবে আমাদের?! আমরা সব কিছুই ভুলে যাই। এটাও হয়তো ভুলে যাবো। এটাই নিয়ম এদেশের। সময় আমাদের সব কিছু ভুলিয়ে দেয়। এ,কে,এম, মুজিব শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক গণযোগাযোগ এবং সাংবাদিকতা বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় http://www.move4world.com ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.