ছুটে চলার শেষ নেই । সব ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্টে দের প্রতি এটি একটি সচেতন মূলক পোস্ট। নিজে সচেতন হউন,অন্যদেরকে সচেতন করুন। গতকাল থেকে বিটি আর সি পুরনাংগ ভাবে নজরদারি শুরু করেছে ফেসবুক,ব্লগ,ইউটিউবের ওপর। সাইবার ক্রাইম অপরাধ রোধে এই নজরদারি চলছে,চলবে।
আমরা দৈনন্দিন জীবনের এখন অনেক কিছুই শেয়ার করি,চ্যাটিং এর মধ্যে। এখানে অনেক সময় অনেক চাপা ক্ষোভ ওঁ প্রকাশ করা হয় প্রিয়জনদের সাথে। কিন্তু এখন এই আপনার একান্ত ব্যাক্তিগত কথা গুলোর ওপর ওঁ থাকছে বিশেষ নজরদারি। যদি কেউ কোন রকম ক্ষোভের বশে কাউকে হত্যা বা কারো মৃত্যু কামনা বা কোন উস্কানি মূলক কথাবার্তা বলে থাকে,তাহলে তাকে বিনা নোটিশে আইনের সম্মুখীন হতে হবে। সেটা যদি বিটি আর সি বা পুলিশ দের কাছে সন্দেহ মূলক বা নাশকতা মূলক বা আশংকা হচ্ছে যে ক্ষতি হবে এই রকম কোন কিছু মনে হলে তারা আমাকে বা আপনাকে আইনের আওতায় নিতে পারবে।
এখানে পুলিশের দেয়া প্রমান কেই সবচেয়ে বেশি গুরুতবব দেয়া হবে। কারো সাথে যদি আপনার কোন চাপা শত্রুতা থেকে থাকে তাহলে সেই পরিচিত মানুষ টি বা বন্ধুটি সহজেই আপনার আইডির মত করে ভুয়া আইডি খুলে দেবে এই রকম আপত্তি কর স্ট্যাটাস,যেটাতে আপনিই হবেন ক্ষতিগ্রস্ত বা নাজেহাল।
এখন দেখি অই সন্ত্রাস বিরোধী আইনে কি বলা হয়েছে অনলাইন এক্টিভিস্টদের নিয়ে-
সরকার মুল আইনটি ২০০৯ সালে সংসদে পাস করে। তিন বছর যেতে না যেতেই সরকার আইনটি সংশোধন করে ২০১২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি এবং তা রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাভ করে গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। একবছর পর আবারো গত ৩জুন ২০১৩ ,অতি অল্প সময়ের মধ্যে সংশোধন করে এর খসড়া সংসদের উত্থাপন করে।
সংশোধিত এই আইনের ২১ধারায় (৩) উপধারায় বলা হ্যেছে-“কোন সন্ত্রাসী ব্যক্তি বা সত্তা কর্তৃক ব্যাবরিত ফেসবুক,স্কাইপি,টুইটার বা যে কোন ইন্টারনেটেইন্টারনেটের মাধ্যমে আলাপ,আলচোনা,কথাবারতা অথবা তাদের অপরাধ সংশ্লিষ্ট স্থির বা ভিডিও চিত্র পুলিশ বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক কোন মমলা তদন্তের স্বার্থে যদি আদালতে উপস্থাপন করা হয়,তাহা হলে স্বাক্ষ আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন পুলিশ বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক সাক্ষ হিসাবে গ্রহনযোগ্য হবে। “পুলিশের এই স্বাক্ষের বিপরীতে অই অপরাধীর ১৪বছরের জেল ও হতে পারে।
এছাড়া সাইবার ক্রাইম প্রমানিত হলে অপরাধীর ২-৫ বছরের জেল অথবা ৫লাখ থেকে ১কোটি টাকা জরিমানা হবে। এখন কথা হল আগে প্রিন্ট মিডিয়ার লাগাম টেনে ধরা হত আর এখন অনলাইন এক্টিভিস্টেদের লাগাম টেনে ধরার ব্যাবস্থা পাকাপোক্ত করা হল। যদিও এটার মিসিউজ হবে সাংধাতিক ভাবে।
আগে সবাই নিজের মতামত দেশের ব্যাপারে বা কোন দলের ব্যাপারে ব্লগ বা ফেসবুকে বা কারো সাথে চ্যাটিং এর মধ্যে তুলে ধরত। আর এখন সেটাও কেউ পারবেনা কারো দলকানা পুলিশ বা অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এর কাছে যাদেরকে ই বা যেটাকেই সন্দেহ মূলক বলে মনে হবে তাদেরকে ই এক হাত দেখে নেবে বা তাদের কে বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতে পারবে,আর হয়রানী হবে অই মানুষ গুলি যারা নিজের অজান্তে কোন ব্যাড কমেন্ট করবে বা ক্ষোভ প্রকাশ করবে।
তাই আমরা এখন অনলাইনে নিচের বিষয় গুলি ব্যপক ভাবে আলোচনা করবো
১। আমরা এখন ভুত-পেত্নির গল্প বলব বা লিখব
২। আমরা প্রেমের ব্যাপারে কথা বলব বা লিখব
৩।
বিনোদন মূলক আলোচনা চলবে
৪। অবশ্যই যারা লেখক গল্প/উপন্যাসের,তাদের জন্য আরও বেশি সুবিধা হল,কারন তাদের লেখা এখন মানুষ বেশি বেশি পড়বে টাইম পাস করার জন্য
৫। যারা রাজনৈতিক বিশ্লেষক তারা শুধু সরকার এর মোসাহেবি লেখা লিখতে পারবে
৬। আর অনেকেই অনলাইনে আসা ছেড়ে দিব
তাই,আপনি নিজেকে সেভ করেন যেন কোন মনের ভুলেও উস্কানি মূলক বা ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানে এমন কথা বলা বা লেখা আবার কাউকে বা কোন প্রতিষ্ঠান কে হুমকি ধমকি দেয়া বা নাশকতায় কেউ প্রভাবিত হয় এমন কথা না বলা থেকে বিরত থাকুন। আর আপনার পাড়া প্রতিবেশী বা আপনার ফ্যামিলির ছোট ভাইবোন যারা নতুন অনলাইনে আসা শুরু করেছে তাদেরকে সতর্ক করুন।
তা না হলে মনের ভুলে একবার কট খাবেন তো সারাজীবন পস্তাবেন। কেউ বাচাতে পারবেনা। আশা করি কথা গুলো আমলে নিবেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।