অবাক হবার কিছু নেই। বিএনপি এবার আমরণে অনশনে যাচ্ছে।
খবরটা খুশির না আতঙ্কের?
কোনোটাই না!
তাহলে আপনি বলির পাঠা।
সাধারণ জনগণের দাবি আদায়ের একমাত্র উপায় হলো আমরণ অনশন। শিক্ষকরা তাদের বেতন ভাতা বাড়ানোর জন্য শহীদ মিনারের বেদিতে আমরণ অনশন করেন।
ছিটমহল বাসীরা তাদের দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য কয়েকদিন আগে আমরণ অনশন করেন। আমরা দেখি যে দাবি আদায়ের এটাই সর্বোত্তম উপায়। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে এই সর্বোত্তম উপায়টা কেন মাথায় আসছে সেটা বোধগম্য নয়।
হরতালে মানুষ পুড়িয়ে, গাড়ি পুড়িয়ে কী লাভ ? যে লোকগুলো মারা গেল, যাদের গাড়ি পোড়ানো হলো তারা কি আর জামায়াত সমর্থিত বিএনপিকে ভোট দেবে? দিনের পর দিন হরতাল না দিয়ে বরং তারা মহা লং মার্চ দিয়ে কোথাও জড়ো হয়ে আমরণ অনশন দিলে দাবি আদায় হতে পারে।
জনাব মির্জা ফখরল সাহেব, আর কতো মানুষদের ভোগাবেন? হরতাল কোনো কঠোর কর্মসূচি নয়।
কঠোর কর্মসূচি হলো আমরণ অনশন। হরতালের দুর্ভোগ আপনাদের ভোগায় না, যারা খেটে খাওয়া মানুষ, যাদের দুবেলা দুমুঠো অন্য জোটে নিজের ব্যবসা থেকে- গায়ের গতর খেটে। তাদের কথা একবার ভাবুন তো! তারা কি হরতাল চায়?
যারা রোগী, চিকিৎসার জন্য মেডিকেল হাসপাতাল পৌঁছোতে পারছে না, তারা কি হরতাল চায়?
আমরা জানি, আপনারা সাধারণ মানুষদের কাছে একবারই যান, সেটা নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়। এর আগে বা পরে আপনাদের দেখা মেলা ভার।
সরকারকে সহযোগিতা করার পরিবর্তে আপনার বিপদে ফেলার চেষ্টা করছেন বারবার।
নানারকম ফাঁদ তৈরি করছেন। আপনাদের মুখে কখনো শুনিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার কথা। বরং তাদের পাশে আপনাদের সবসময় দেখেছি হাসিমুখে থাকার দৃশ্য। স্বাধীন সার্বভৌম দেশে এই সব রাজার আলবদরদের সাথে নিয়ে আমাদের সাথে-মশকরা করছেন।
এখন তাদের বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে নতুন নতুন নাটকের উদ্রেগ করছেন, তাই না?
ইলিয়াস আলী নিখোঁজ, তিনি ফিরে আসুক এটা আমরা সবাই চাই।
ইলিয়াস আলী কেন, যে কোনো নাগরিক-ই চায় নিরাপত্তা। সাধারণ জনগণ আপনাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। দেশ চালানোর জন্য। দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার জন্য নয়। এখন যে আপনারা প্রকাশে মানুষ পুড়িয়ে মারলেন, নাকি সেটাও আওয়ামীলীগ করেছে?
আজ সকালে দেখলাম, একটা সুন্দর গাড়ি কয়েকজন লোক পোড়াচ্ছে।
গাড়িটা দেখে মায়া হলো। বেচারা মালিক তো বিএনপি পন্থীও হতে পারে। সেটা বাছবিচার না করে আগুণ লাগানোই তো শান্তপূর্ণ হরতাল, তাই না?
সব বাদ দিয়ে একবার আমরণ অনশন দিয়ে দেখুন কাজটা হতে পারে। সেটা তো করবেন না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।