আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সোনার বাংলার পথে প্রান্তরে

আমি লিখতে চাই................... ০৮-০৪-২০১১ হারিখোলা বেসরকারী রেজিঃ প্রাইমারী স্কুলের পিছনের পুকুরপার হোয়াইক্যং নজীরকে ছেড়ে আসতে খুব কষ্ট হয়েছে। আসতেই দিবে না। বার বার বলছিলো ভাইয়া আর একটা দিন থেকে যাও। কিন্তু তা তো আর সম্ভব না। আজ ঘুম থেকে উঠে নজীর আর আমি বের হলাম ওদের ক্যাম্প দেখতে।

ক্যাম্প দেখা খুব সহজ না। অপরিচিত লোখ দেখলে সবার চোখ সেদিকে যায়। কে আসল? বার্মা থেকে আবার কোন নতুন রিফিউজি কিনা। ক্যাম্প দেখে আমার মানবতা সত্যিই উথলে উঠল। কেমন এদের জীবন যাপন।

এদের আসলেই কোন দেশ নেই, ক্যাম্প ছাড়া কোন ঠিকানা নেই, নেই ভোটাধিকার। এখানকার কেউ-ই কোন দিন উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পায়না, সুযোগ পায়না নিজেকে মেলে ধরার। কি ছেলে কি মেয়ে। ইউএনএইচসিআর সহ আরো কয়েকটি সাহায্য্ সংস্থার সহায়তা পায় আর মানবেতর জীবন জাপন করে। সকলের মনেই একটা আশা সুচি আবার একদিন মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসবে।

সেদিন তারা আবার ফিরে যাবে তাদের প্রিয়ো মাতৃ ভূমিতে। কিন্তু সেটা কি আদৌ সম্ভব হবে? মিয়ানমারে মুসলমানদের উপর নির্যাতন আজকের ঘটনা নয়। বছরের পর বছর চলছে। এই নির্যাতনে সরকারের প্রকাশ্য সমর্থন করয়েছে। সেনা শাসিত মিয়ানমারে আর্মিরাই বেশী নির্যাতন করে এদের।

আর এই নির্যাতন সইতে না পেরেই এরা দল বেঁধে নাফ নদী পার হয়ে রাতের আঁধারে ঢোকে বাংলাদেশে। কখনো কখনো জোক করে পাঠিয়ে দেয়া হয়। আজ সকাল দশটা পর্যন্ত এই কথা শুনলাম জনে জনে। দশটার দিকে আমি আবার বের হলাম পথে। বেশ রোদ।

আমি একটা দুই লিটারের বোতলে একবোতল স্যালাই গুলে রওনা দিলাম। হ্নীলা বাজারের একটু আগে আমার চোখে পরল একটা বৌদ্ধ মন্দির। ভিতরে ঢোকার লোভ সামলাতে পারলাম না। আমি সেখানখার অধ্যাক্ষ্'র সাথে কথা বলতে চাইতেই আমাকে একজন ভিক্ষু তার সাথে দেখা করাতে নিয়ে গেলেন। অত্যান্ত বৃদ্ধ এক ভিক্ষু চশমা পরে বসে আছেন।

বয়স ছিয়াশি বছর। আমি গিয়ে হাত জোর করে তাকে সম্মান জানালাম। উনি বললেন যে উনি ভালো বাংলা জানেন না। কথা বললে ইংরেজীতে বলতে হবে। তাই করলাম।

তার নাম উপান্ডেতা মহাথেরো। অনেক কথাই হলো তার সাথে। আমার জন্য শুভ কামনা করলেন। মাথায় হাত দিয়ে দোয়া করে দিলেন। আমাকে পরামর্শ দিলেন হারিখোলা গ্রামে যাওয়ার জন্য।

আজ বিকেলে ওখানে বৌদ্ধদের প্রবজ্যা দান অনুষ্ঠান আছে। আমি মন্দির থেকে বের হয়ে রওনা দিলাম হারিখোলা গ্রামের দিকে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।