লোডশেডিং এ সারাদিন খাটুনির পর ঘুমুতে গিয়ে মেজাজ টা খিচরে যায়, বাজারে গিয়ে বার বার টাকা গুনতে হয় আর বাজার এর লিস্ট দেখতে হয়, রাস্তায় বেরোলে কিছু মানুষ এর ঝক ঝকে গাড়ির দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় তাকিয়ে থেকেও লাভ হয় না ভেতরের মানুষ কে দেখাও যায় না।
রাস্তায় জ্যাম এ আটকে এই খুদ্র জীবনের অনেক গুল সময় এমন বিরক্তিতে কাটাতে হয় তা আমরা ভুক্ত
ভুগি রাই জানি, কষ্টের টাকা পুজি বাজার থেকে চোখের সামনে নেই হতে দেখে অনেক কিছুই ভাবি আমরা। স্বয়ং প্রধান মন্ত্রী বলেইদিলেন বেড রুম পর্জন্ত তিনি পাহারা দিতে পারবেন না, অথচ আমাদেরই অনেক ভাই সাত সমুদ্র তের নদী পার হয়ে অন্যের ঘর পাহারা দেয়, আচানক কাজ কারবার।
পুলিশ শেষ পর্জন্ত বলেই দিল তারা ব্যার্থ কয়েকটা খুনি কে বের করতে, যে খুন নিয়ে এত আলোচনা তারই যদি এ অবস্থা হয়, তাহলে যে সাধারন মানুষ গুলর খুনের খবর পত্রিকার মাঝের পাতায় ছোট্ট করে আসে, বা কোন টা আসেই না সেগুলর কি অবস্থা তা সহজেই অনুমেয়। কার গায়ে একটু গন্ধ থাকলেই সে রাতে দিনে হাওয়া হয়ে যাচ্ছে।
কেউ জানে না কোন জীন তাদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। অসহায় মধ্য বিত্ত পরিবার এর বেকার ছেলে ঘুষ না দিতে পেরে চাকরি নাগাল পাচ্ছে না। সমস্যার কথা আর লিখতে গেলে মেঘনায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ এর যাত্রীরাও হয়ত আর্তনাদ করে উঠতে পারে।
সচেতন নাগরিক সবাই এসব কথা জানে। সবাই আমরা ঐ সময় গুলতে চিন্তা করি নতুন কোন দলের, নতুন কোন শক্তির, যারা গনতন্ত্র কে সমুন্যত রেখে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য মানুষ এর জন্য কাজ করবে।
মানুষ এর জীবনের প্রাথমিক চাহিদা গুল মিটিয়ে মানুষ কে স্বপ্ন দেখতে শেখাবে, স্বপ্নের বাস্তবায়ন করার সাহস যোগাবে।
এই নোংরা রাজনীতি থেকে বেরিয়ে পরস্পর কে সম্মান দেয়ার, আর আদর্শের রাজনিতির চর্চা করবে।
হ্যা এখন বাংলাদেশে এমন মানুষ নেই যে ভাবছে না যে এই দুই মহিলা কবে সরে যাবেন।
আমাদের উদ্ধার করার জন্য কন দৈব পুরুষ বা মহিলার আগমন ঘটবে না তা আমরা বুঝে গেছি। কিন্তু আমার মনে হয় পারমানবিক শক্তির চেয়েও এক বড় শক্তি বিষ্ফরনের অপেক্ষায় আছে।
এটা সেই শক্তি যা আমাদের ভাষা র অধিকার দিয়েছিল, এটা সেই শক্তি যারা আমাদের স্বাধীনতা এনেদিয়েছিল, এটা সেই শক্তি যারা আমাদের গনতন্ত্র পুনরুত্থান করাছিল। এটা সেই শক্তি যখন বাঘা বাঘা রাজনৈতিক দল এবং নেতা রা সামরিক শিক্তির ভয়ে লুকিয়ে পরেছিল গর্তে কিন্তু তারা বন্দুকের নলের সামনে বুক উচিয়ে দাড়িয়ে নিজেদের সম্মান রক্ষা করেছিল।
আমাদের জতির বিবেক, তারুন্যের শক্তি সচেতন ছাত্ররাই পারে আর একবার আমাদের দেশ টাকে সঠিক রাস্তায় নিয়ে আসতে ।
আর কত দিন ঘুমবি তোরা, আর কত বক্কর এর লাশ পেলে তোরা আবার জাগবি? আর কত মায়ের আহাজারি শুনলে তোদের তন্দ্রা কাটবে? আর কত স্যান্ডেল ক্ষয় হলে তর মনে হবে যে এটা তোর কপাল এর দোষ না এটা সমাজের রোগ, একে সারাতে তোকেই এগিয়া আসতে হবে। আর কত আর কত?
সব মুক্তি পাগল মানুষ আজ চেয়ে আছে তোদের এই শক্তির দিকে।
প্লিজ আর দেরি নয় এখনি যে যেখানে আছিস যে ভাবে আছিস কাজ শুরু কর।
বাংলার বসন্ত বেশি দূরে নয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।