আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা

মনের কথা ব্লগে বলে ফেলুন,নয়তো মনে কথার বদহজম হবে সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে টেলিভিশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ট্র্যাব) পক্ষ থেকে আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। ট্র্যাব এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ২৩ এপ্রিল সোমবার। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা (সংগীত) ছাড়াও ২০১১ সালে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন অভিনেত্রী আনোয়ারা (চলচ্চিত্র) ও নাট্যজন ইনামুল হক (টিভি)। ট্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক সুহূদ জাহাঙ্গীর জানিয়েছেন, নীল সাগর এগ্রো পরিবেশিত ‘এইমওয়ে-ট্র্যাব অ্যাওয়ার্ড ২০১১’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেইমে। অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল সাড়ে পাঁচটায়।

পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে দেশবরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সমাজকর্মী, জনপ্রিয় তারকাশিল্পী ও কলাকুশলীরা উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ভূমি প্রতিমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক ম হামিদ, এটিএন বাংলার প্রধান উপদেষ্টা সাইফুল বারী, মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক পরিষদের মহাসচিব এন এ করিম বিদ্যুত্ চৌধুরী, এইমওয়ে করপোরেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাসুদ রানা, নীল সাগর এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. আহসান হাবিব লেলিন, আইসিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এইচ এন এম শফিকুর রহমান প্রমুখ। সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে আবির্ভূত একজন প্রথিতযশা রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী । তিনি তাঁর ঘরানার সংগীতের একজন বহুমুখী প্রতিভা হিসাবে বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপকভাবে সমাদৃত ।

তিনি তাঁর গুনানুরাগীদের কাছে শুধু মাত্র ‘বন্যা’ নামেও পরিচিত । কণিকা বন্দ্যোপাধ্যাযয়ের শিষ্যদের মধ্যে তাঁকেই সবচেয়ে জনপ্রিয় গণ্য করা হয় । তিনি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগের একজন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। ১৯৯২ সালে সংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “সুরের ধারা” চালু করেন তিনি। শিক্ষা গ্রহণঃতিনি প্রাথমিক অবস্থায় বাংলাদেশের ছায়ানট ও পরে ভারতের বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।

তিনি সেখানে শিক্ষক হিসেবে পান শান্তিদেব ঘোষ, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেন, এবং আশীষ বন্দ্যোপাধায়ের মতো শিক্ষকদের। তিনি বাংলাদেশে ফিরে অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা করেন এবং বুলবুল ললিতকলা একাডেমীতে ভর্তি হন। কিন্তু ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে তিনি তাঁর অধ্যয়ন সংক্ষিপ্ত করতে বাধ্য হন। তিনি রবীন্দ্র সংগীত ছাড়াও ধ্রুপদী, টপ্পা ও কীর্তন গানের ওপরও শিক্ষা লাভ করেছেন। তাঁর গানের অ্যালবাম পশ্চিম বাংলা ও বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে।

তিনি সুরের ধারা নামের একটি সংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। ২০০২ খ্রিস্টাব্দে তিনি আনন্দ সংগীত পুরষ্কার লাভ করেন। স্বীকৃতি, পুরস্কার ও কর্মজীবনঃশিক্ষাগ্রহন সম্পন্ন হবার পর থেকেই তিনি তার সংগীতের প্রদর্শন, নির্ভুল উচ্চারণ এবং সবচেয়ে কঠিন ও অপ্রচলিত গানগুলোও গাইবার আগ্রহের কারণে বিশ্বভারতী ধারার একজন গুরু হিসাবে বিবেচিত হয়ে আসছেন । তিনি অনেক দেশ ভ্রমণ করেছেন এবং বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারতে, তার বহুসংখ্যক এ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে । ঢাকায় সুরের ধারা নামে একটি সংগীতশিক্ষা স্কুলও তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ।

২০০২ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী (নারী) হিসাবে প্রথম আনন্দ সংগীত পুরষ্কারে ভূষিত হন, যা পরের বছরও লাভ করেন । রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা Prothom-Alo ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।