'হয়তো এ পুরস্কারটি পাওয়ার জন্যই আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। এ কথা বলছি এ কারণে যে, কারণ আজ থেকে দুই বছর আগে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও আমি আল্লাহর রহমতে আর সবার দোয়ায় বেঁচে এসেছি। আর এখন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আমি আজীবন সম্মাননা পাচ্ছি, সত্যিই এটা আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের জন্য অনেক আনন্দের একটি বিষয়। আমাকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। '
২০১২ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পাওয়ার ঘোষণায় এমন অনুভূতিই প্রকাশ করলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা খলিল।
সেই সঙ্গে তিনি আবারও অভিনয়ে ফেরার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বিগত প্রায় দুই বছর যাবৎ ঢাকার মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডের বাসায় বসে সময় পার করলেও এখন তিনি শারীরিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ। খলিল বলেন, 'এখন আল্লাহর রহমতে আগের চেয়ে সবার দোয়ায় বেশ ভালো আছি। এখন আমি চলচ্চিত্রে কিংবা নাটকে কাজ করতে ইচ্ছুক। অনেকেই মনে করেন আমি হয়তো এখন আর কাজ করছি না।
কিন্তু এটি একটি ভুল ধারণা। আমি আবারও কাজে নিয়মিত হতে চাই। দর্শকের জন্য আবারও আমি অভিনয়ে নিয়মিত হতে চাই। চাই সবার সহযোগিতা। '
জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেতা খলিল এ পর্যন্ত প্রায় ৮০০ ছবিতে অভিনয় করেছেন।
প্রয়াত পরিচালক আলমগীর কুমকুম পরিচালিত 'গুণ্ডা' ছবিতে অভিনয়ের জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এ ছবিতে তার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন নায়ক রাজ রাজ্জাক, আলমগীর ও কবরীসহ আরও অনেকে। খলিল অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র কলিম শরাফী ও জহির রায়হান পরিচালিত সোনার কাজল। এ ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন সুমিতা দেবী ও সুলতানা জামান। নায়ক হিসেবে খলিল অভিনয় করেছেন কাজল, প্রীত না জানে রীত, জংলী ফুল, বেগানাসহ আরও বেশ কয়েকটি ছবি।
চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে তিনি শবনমের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়েই সবচেয়ে বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।