আমি একজন পাঠক
লিখবো কি লিখবো না এই দ্ব›েদ্ব ভূগছি গত ৯ এপ্রিলের (সোমবার) পর থেকে। ওই দিন রাতে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএস ওমর ফারুক তালুকদার, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় মহাব্যবস্থাপক ইউসূফ আলী মৃধা এবং রেলওয়ের নিরাপত্তা শাখার ঢাকা অঞ্চলের প্রধান এনামুল হক বিশাল অংকের টাকার ব্যাগসহ ধরা পড়েছেন। ঠিক ধরা পড়েছেন না, তাদেরকে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর ধরিয়ে দেয়ার কাজটি অত্যন্ত সন্তপর্ণে করেছেন এপিএস এর গাড়ি চালক আজম। এরপর থেকেই তোলপাড় চলছে সারাদেশ জুড়ে।
প্রতিদিনই আমাদের সংবাদ মাধ্যমগুলোতে খবর বের হচ্ছে। দাবি উঠেছে মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনের পদত্যাগের। এতোসব খবরের ভিড়ে আমার মতো একজন ÿুদ্র মানুষের লেখার কি কোন দাম আছে? কিংবা আমার লেখার প্রতি কি মানুষের দৃষ্টি পড়বে? এসব কারণে এতোদিন লিখতে বসেও বিষয়টি নিয়ে লিখতে পারিনি।
কিন্তু আজ আমার ভিতরের মানুষটা বার বার যেন তাড়া করছে একটা লেখা বøগে দিতে। তাই এই মধ্য রাতে আমি লিখতে বসলাম সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের পদত্যাগের বিষয়ে।
রেলমন্ত্রী পদত্যাগ করায় তাকে ধন্যবাদ। তিনি জাতিকে উদ্ধার করেছেন আমাদের নোংরা রাজনীতির ভয়ংকর পরিণতির হাত থেকে। কিন্তু এখানেই কি শেষ। তার এই পদত্যাগ এবং ইতিপূর্বে রেলওয়ের জিএম ইউসূফ আলী মৃধা, নিরাপত্তা কমান্ডেনট এনামুল হকের বরখা¯Í এবং এপিএস ফারুকের চাকুরিচ্যুতির ঘটনা অনেক প্রশ্নে জন্ম দিয়েছে।
৭০ লাখ টাকাসহ এপিএস এবং রেলের কর্মকর্তাদের এমন ধরা পড়ার ঘটনার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে নানাজন নানা মন্তব্য করছেন।
কেউ বলছেন, এটি সরকারের প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের চুরির একটা খন্ড চিত্র। মন্ত্রীর এপিএসসহ রেলের কর্মকর্তা ধরা পড়ায় এটি ফাঁস হয়েছে। না হলে কেউ জানতেই পারতো না। আবার কেউ কেউ বলছেন, এর পিছনে অনেক ঘটনা লুকিয়ে আছে। সেদিন রাতের ওই ঘটনা নিয়ে আমার মনেও বেশ কিছু প্রশ্ন জেগেছে।
পাঠক প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে চেষ্টা করতে পারেন। প্রথম প্রশ্ন- ৯ এপ্রিল রাতে আসলে কি ঘটেছিল? দুই- গাড়ি চালক আজম কেন গাড়িটি নিয়ে বিজিবি সদর দফতরে ঢুকলেন? ৩- বিজি সদর দফতরে ঢুকতে গেলে পূর্বানুমতি নেওয়াটা বাধ্যতামূলক অর্থাৎ অপরিচিত যে বা যারা কিংবা কোন অপরিচিত বাহন ঢুকার পূর্বে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তাহলে চালক আজম সরাসরি কিভাবে বিজিবিতে ঢুকলেন? এখানে কি অন্য কোন পÿ পত্যÿ বা পরোÿভাবে কাজ করেছে? চার- বিজিবি সদর দফতর অত্যন্ত সুরÿিত একটি এলাকা সেখানে কি এভাবে ঢুকা সম্ভব? পাঁচ- বিজিবি গেটে যাওয়ার আগে চালক নিউমার্কেট থানা এলাকা অতিক্রম করে এসেছে। তাহলে গাড়িটি নিয়ে থানায় কেন ঢুকলো না? ছয়- বিজিবি সদর দফতরে আটককৃতদের আটকে না রেখে কেন তাদেরকে নিকটবর্তি পুলিশ স্টেশনে দেওয়া হলো না? এই ঘটনার নেপথ্যে কি কোন কিন্তু আছে, থাকলে সেটা কি? এরকম আরো অসংখ্য প্রশ্ন জাগছে সাধারণ মানুষের মনে। এসব প্রশ্নের উত্তর জানা খুবই জরুরি। এসব প্রশ্নের জবাব পাওয়া গেলে প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে ধারণা করা যায়।
কিন্তু এখন আরেকটা প্রশ্ন উঠেছে যে এসব ঘটনার নেপথ্যের কাহিনী কি আদৌ বের হবে না কি ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হবে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।