অরুণালোক সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক প্রবীণ ব্যক্তিত্ব। অর্থ কেলেঙ্কারির দায় মাথায় নিয়ে যিনি মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন। গত ১৬/০৪/২০১২ তারিখ সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি তাঁর পদত্যাগের ঘোষণা দেন। মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে তিনি তার পদত্যাগের বিষয়ে অবহিত করেন। দুর্নীতি বা ব্যর্থতার দায় নিয়ে মন্ত্রীত্ব ছেড়ে চলে যাওয়া বিশ্ববাসীর কাছে নতুন কিছু নয়।
কিন্তু কথা হচ্ছে, যিনি সত্যিকারার্থেই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য দপ্তরে থাকা অবস্থাতেই একটি সুযোগ প্রত্যাশা করেছিলেন, তাকে অন্তত: তা করতে দেওয়া দরকার ছিলো। যেখানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাঁর মূল্যবান অবদানকে অস্বীকার করা যায় না, সেখানে এ সুযোগটি তাকে দিলে খুব একটা ক্ষতি বৃদ্ধি হতো না। মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই বিচক্ষণ ও বুদ্ধিমতী একজন মানুষ। তিনি ন্যাক্কারজনক এ ঘটনাটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হয়েছেন গোয়েন্দা সংস্থার ও অন্যান্য উৎস থেকে। তাঁর সিদ্ধান্ত নাগরিক মেনে নিয়েছে বিনা প্রশ্নে।
কিন্তু একটা কথা থেকেই যায়, যে সুরঞ্জিত দীর্ঘবছর বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ আবদান রেখেছেন, তার বিষয়টি আরও ব্যাপক তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। নাগরিক চায়, সত্যিকারের দোষীদের শাস্তি হোক। কিন্তু নির্দোষ ব্যক্তি কেন দেশের একটা গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ থেকে সরে যেতে হবে? উনাকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বানানোটা একধরনের হত্যার সামিল হয়েছে। সম্মানিত পাঠক, আপনারা কি মনে করেন? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।