জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়,
আপনি দায়িত্ব নিয়েই বলেছেন, “সারা পৃথিবীতে রেলওয়ে লাভজনক, আর বাংলাদেশে তা লোকসানে রয়েছে। কোন অন্ধকার ঘরে এ কালো বিড়ালটি বাস করে, তা দেখতে চাই। ”
আপনার এই সাহসী বক্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আমরা আসলে কথায় যত পারদর্শী কাজে তত পারদর্শী নই। কাজে পারদর্শী হতে হলে কাজ করে যেতে হয়, কথা বলা কমিয়ে দিতে হয়।
আপনিও সেই ধারায় কাজ করবেন বলে বিশ্বাস করি। কারণ, আপনার হাতে সময় খুবই কম।
আপনার পরিকল্পনাগুলো এই রকম - রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিকায়নের পাশাপাশি সময় মতো ট্রেন চলাচল, ট্রেনে পরিচ্ছন্নতা, আন্তঃনগর ট্রেন জনপ্রিয় করা ও ই-টিকেট চালুর বিষয়ে অগ্রাধিকার । এছাড়াও রেলের অপদলখলীয় জমি উদ্ধারে বিশেষ আইনি ব্যবস্থা এবং আন্তঃদেশীয় যোগাযোগের সুবিধার জন্য রেলপথ স¤প্রসারণে উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেছেন আপনি।
আপনি আরও বলেছেন, “সময় মতো ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করলে এটা (রেল) অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও জনপ্রিয় হবে।
ই-টিকিট চালু হলে লাইনে দাঁড়ানো ও টিকিট দেওয়া নিয়ে দুর্ভোগ অনেকাংশে কমে যাবে। আর এ জন্য বড় ফান্ড লাগে না”
আপনার সবগুলো কথা সত্য।
তাই আপনার প্রতি সামান্য আবেদন।
বাংলাদেশে রাজধানী ঢাকা যানজটের নগরী। কেবল ঢাকা থেকে আশেপাশের জেলায় চলাচলকারী ট্রেন সার্ভিসগুলো প্রতি ঘণ্টার সার্ভিস করুন।
যেমন ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা- টঙ্গী প্রতি ঘণ্টার ট্রেন সার্ভিস চালু করুন। প্রতি ঘণ্টার সার্ভিস যেন সঠিক সময়ে ছাড়ে সেই ব্যবস্থা করুন। চাকুরি ও ব্যবসার জন্য নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে প্রচুর মানুষ প্রতিদিন ঢাকা শহরে যায়। তারা প্রতিদিন সকালে যায় এবং সন্ধ্যায় ফিরে আসে। যদি সকাল ও সন্ধ্যায় বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চালু করেন, সেই সার্ভিস ভীষণ জনপ্রিয় হবে এবং প্রচুর লাভজনক হবে।
অন্য দিকে ঢাকা শহরের যানজট পরিস্থিতিরও উন্নতি হবে।
আরেকটা কথা, ট্রেনের এই লোকাল সার্ভিসগুলোর অবস্থা জঘন্য। গাদাগাদি করে মানুষকে যাতায়াত করতে হয়। সময় মতো ট্রেন ছাড়ে না। বগিগুলো নোংরা ।
অনেক বগিতে বাতি জ্বলে না। পকেটমারের দৌরাত্ম্য রয়েছে। এ সব কারণে অনেক যাত্রী ট্রেন যাত্রা এড়িয়ে চলেন। বিশেষ করে মহিলারা এই গাদাগাদির মধ্যে অপদস্ত হতে চান না।
এই অব্যবস্থাপনা দূর করার জন্য কয়েকটি কাজ করতে হবে -
০১।
ট্রেনের বগি সংখ্যা বাড়াতে হবে ।
০২। সময় মতো প্রতি ঘণ্টায় ট্রেন ছাড়তে ও পৌছাতে হবে।
০৩। বগিগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
০৪। প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ট্রেন লাইন বসাতে হবে।
০৫। সিটিং সার্ভিস করলে সবচেয়ে ভালো হবে। দাড়িয়ে যাতায়াত করার খুবই যন্ত্রণার।
০৬। মহিলাদের জন্য একটা আলাদা বগি দিতে পারেন।
০৭। একটা বগি এসি সার্ভিস করতে পারেন। সেটার ভাড়াও অনেক বেশি হবে।
পৃথিবীর বেশির ভাগ রাজধানী শহরে টিউব রেল চালু আছে। এমনকি ভারতের কোলকাতাতেও টিউব রেল আছে। ঢাকার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর টিউব রেল চালু না করলে ঢাকা শহরের ভয়াবহ যানজট কখনই দূর হবে না। তাই অনুরোধ করব, ঢাকায় টিউব রেল চালু করার জন্য এখন থেকেই কাজ করুন। তবে টিউব রেল চালু করবেন বলে বর্তমান রেল ব্যবস্থার উন্নয়ন বন্ধ করে বসে থাকবেন না।
মূলা ঝুলানোর দরকার নাই।
আপনার সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।