আমার ভিতরে আমি স্বতন্ত্র জীবন যাপন করি। এটা ২০০৯ সালের ঘটনা শ্রীলংকান ক্রিকেটাররা খেলতে গিয়ে মৃত্যূর মুখ থেকে ফিরে এসেছিল। আহত হয়েছিল কিছু ক্রিকেটার ।
পুরো চিত্রটা ছিল এরকম।
ভাবুনতো এ জায়গায় আমাদের মুশফিককে।
জান হাতে নিয়ে ফিরে আসা ক্রিকেটাররা।
সেই হামলায় নিহত হয়েছিল পাকিস্তানি ছয়জন পুলিশও।
যার কারনে পাকিস্তানে গত তিন বছর কোন দল খেলতে যায়নি। বাতিল হয়ে গেছে বিশ্বকাপ। অথচ মুস্তফা কামালের সৌজন্যে পাকিস্তানের ক্রিকেটের বন্ধ্যাত্ব কাটাতে এই মাসেই পাকিস্তান যাবে বাংলাদেশ
মনে আছে আপনাদের পাকিস্তানের সাথে এশিয়া কাপের ফাইনালে হেরে যাবার পর পুরো দেশ কিভাবে একসাথে কেঁদেছিল? একবার ভাবুনতো সাকিব আল হাসানের রক্তাক্ত চেহারা।
ভাবতেই পারছেন না?অথচ কি অবলীলায় সাকিবকে আমরা পাকিস্তানের মত নরকে ঠেলে দিচ্ছি? এই ছেলেগুলোর গায়ে একটি আঁচড় পড়লে কি হবে বলতে পারেন?
আইসিসি সহ-সভাপতি পদের জন্য পাকিস্তানের ভোট পাওয়াতেই লোটাস কামাল ক্রিকেটারদের বোমার মুখে ঠেলে দিচ্ছেন বিনা দ্বিধায়।
পাকিস্তানে দল পাঠানোর জন্য লোটাস কামাল উঠে পড়ে লেগেছিল বেশ আগে থেকেই। নিজ নেতৃত্বে পাকিস্তানে গিয়েছেন নিরাপত্তা ব্যাবস্থা দেখতে। তিনি নিরাপত্তা দেখে এক প্রকার কথা দিয়ে এসেছেন পাকিস্তানে। কিন্তু রাজি হয়নি আইসিসি ।
আইসিসি থেকে জানানো হয় খেলতে হলে নিজ আম্পায়ার দিয়ে খেলতে হবে আইসিসি থেকে কোন দল পাঠানো হবে না। বিসিবিও তখন পাকিস্তান না যাবার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিল। বিনিময়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড থেকে বাংলাদেশের সাথে ক্রিকেটীয় সম্পর্ক রাখবে না বলে হুমকি দেয়া হয়।
মজার ব্যাপার হল পিসিবি একদিকে বাংলাদেশকে নিজেদের দেশে খেলার জন্য হুমকি দিচ্ছে অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার সাথে খেলার জন্য নিরপেক্ষ ভেন্যু খুঁজছে । কিন্তু শেষ পর্যন্ত লোটাস কামাল জানিয়ে দিলেন এই মাসেই পাকিস্তান সফরে যাবে বাংলাদেশ ।
কিন্তু কেন?
যে দেশে জুমআর নামাজ পড়তে গিয়ে বোমা হামলায় পড়তে হয়, যে দেশ নিজেদের নিরাপত্তা নিজেরাই দিতে পারে না , সে দেশে কোন যুক্তিতে দেশের সবচে মূল্যবান ১৫টি প্রাণ পাঠাবো?
লোটাস কামালের মত লোভী ক্রিকেট গন্ডমূর্খকে দিয়ে ধ্বংস ব্যাতীত কিছুই আসা করা যায় না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ইতোপূর্বে ক্রিকেট নিয়ে উচ্ছ্বাসা প্রমাণ করেছে উনি ক্রিকেটকে যথেষ্ট ভালবাসেন। পাকিস্তান সফর বন্ধ করার ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করছি।
যারা ব্লগে আছেন তাদের সবাইকে বলছি হাতে সময় খুব কম। বাংলাদেশ দলকে কিছুতেই পাকিস্তান যেতে দেওয়া যাবে না।
জেনেশুনে মূত্যূ ফাঁদে আমাদের প্রিয় ক্রিকেটাদের ছুড়ে দিতে পারি না। এখনও কিছু করতে হবে। আমরা সবাই মিলে ঠিক করবো আমরা কি করবো। আমি দুটি প্রস্তাব দিচ্ছি
১. বিসিবি এবং প্রেস ক্লাবের সামনে মানব বন্ধন।
২ এটা আইসিসির মেইল এড্রেস।
এই মেইলে মেইল করার পর সিধুকে আইসিসি সতর্ক করে দিয়েছিল। এখানে অবশ্যই একটা মেইল করুন। কতটা কাজ হবে জানিনা, তবুও চেষ্টা করতে দোষ কি।
৩. বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়েন,যারা বহু আন্দোলনে নিজেদের এগিয়ে এসেছেন তারা চাইলেই কিছু একটা করতে পারেন। নিজে ক্যম্পাসে বন্ধুদের নিয়ে সূচনা করতে পারেন।
ফেসবুকে গ্রুপ খুলে বন্ধুদের এড দিয়ে এ বিষয়ে জানানো যেতে পারে।
৪. যারা সিনিয়র ব্লগার আছেন তাদের বিশেষ সাহয্য চাচ্ছি। আপনারা ডাক দিলেই একটা মানবন্ধনের আয়োজন করা যেতে পারে। সিনিয়র ব্লগাররা এগিয়ে আসুন।
আমরা সবাই মিলে যদি ঠিক করি কি করবো তাহলে ব্যাপারটা বেশ ফলপ্রুসু হবে।
যে করে হোক পাকিস্তান যাওয়া থেকে ক্রিকেটারদের আঁটকাতে হবে। লোটাস কামালের পদত্যাগের দাবি করার আগে ক্রিকেটারদের বাঁচাতে হবে।
আপডেট :
বাংলাদেশ দলের স্টুয়ার্ট ল এর জন্য সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি থেকে জানানো হয় "পাকিস্তানে দল যাবে কিনা এখনও নিশ্চিত নয়,তবে গেলে কেবল ২৮ এবং ২৯ তারিখ দুদিন খেলা হবে। লোটাস কামাল দেশে ফিরলে তারপর পাকিস্তানে যাবার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে"
আপডেট ২
দুবাইতে আইসিসি’র কার্যনির্বাহী সভায় সিদ্ধান্ত:
"আইসিসি প্রেসিডেন্টের ভূমিকা এবং কর্তব্য নির্ধারণ এবং এ সংক্রান্ত সংশোধিত বিধিমালা আইসিসি’র বার্ষিক সম্মেলনে পর্যলোচনা না হওয়া পর্যন্ত ২০১২-১৪ সময়কালের জন্য ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের যুগ্ম মনোনয়ন স্থগিত করা হয়েছে..."
এখানে দেখতে পারেন।
পোষ্ট তৈরিতে সাহায্য করেছেন :
কামরুল হাসান শাহি ভাই
রাজসোহান ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।