আমি পাগলা মুরশেদ History of cArds
ইস্কাপন, হরতন, রুইতন, চিরতন নামগুলো কম- বেশি সবার কাছেই পরিচিত। আন্তর্জাতিকভাবে এগুলো ডায়মন্ডস, স্পেডস, হার্টস, ক্লাবস নামে পরিচিত। বলা হচ্ছে তাস খেলার কথা। খেলাচ্ছলে জীবনে কখনো তাস হাতে নেননি এমন মানুষ বিরল। কিন্তু তাসের ইতিহাস অনেকেরই অজানা।
অনেকেই জানেন না ডায়মন্ডস, স্পেডস, হার্টস এবং ক্লাবস এর প্রতীক রহস্য। আজ থেকে প্রায় ছয়শত বছরেরও বেশি সময় আগে তাস খেলার আবিষ্কার হয়েছে।
তাসের চারটি প্রতীক পঞ্চদশ শতকের সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর পরিচয় বহন করে চলেছে। আবার তাসের ছবিগুলোতে উপস্থাপিত হয়েছে ঐতিহাসিক নানা ব্যক্তিত্বের। প্রথম দিকে তাসের প্যাকেটে ৭৮টি তাস থাকত।
কিন্তু এতগুলো তাস নিয়ে খেলা জটিল ও কষ্টকর হয়ে ওঠায় তাসের সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়। তবে হ্রাসকৃত সংখ্যার মধ্যে যে তাসটি এখনো সগৌরবে টিকে আছে সেটি হলো জোকার। খেলুড়েদের কাছে এই তাসটি সুপার ট্রাম্প কার্ড হিসেবে পরিচিত। প্রধান চারটি তাস কিসের প্রতীক বহন করে চলেছে এবার সেটা জানা যাক।
~ডায়মন্ডস হলো ধনী শ্রেণীর প্রতীক।
~স্পেডসের প্রতীক হলো সৈন্য। ‘স্পেড’ শব্দটি এসেছে স্প্যানিশ ‘স্পাডা’ থেকে। যার অর্থ তরবারি।
~হার্টস পাদ্রিদের প্রতীক। আগে প্রতীকটির আকার ছিল পান পাতার মতো।
পরে ওটা হার্ট বা হৃৎপিণ্ডের আকার পায়।
~ক্লাবস বলতে বোঝানো হতো গরিব মানুষদের। ইংরেজি ক্লাবের বাংলা হলো মুগুর। গরিব শ্রেণীর মানুষের মুগুরই সম্বল এরকম একটা অর্থ বহন করে এই তাসটি।
তাসের গায়ের ছবিগুলোরও রয়েছে ঐতিহাসিক ব্যাখ্যা।
কিং অব ডায়মন্ডস হলেন জুলিয়াস সিজার এবং তার স্ত্রী র্যাচেল।
কিং অব স্পেডস হলো ডেভিড, গোলিয়াথের হত্যাকারী। এই তাসের রানী হলেন গ্রিক যুদ্ধ দেবী প্যালাস, যিনি দুই হাতে ধরে আছেন তরবারি ও ফুল।
কিং অব হার্টস-এর ছবি আঁকা হয়েছে বিখ্যাত রাজা শার্লেমেন-এর অনুকরণে যিনি ৮০০ খ্রিস্টাব্দে জয় করেন অর্ধেক ইউরোপ। তার তাসের রানী হলেন বাইবেল উলি্লখিত নায়িকা জুডিথ।
যিনি রাজার তরবারির এক আঘাতে এক আসিরিয়ান সেনাপতিকে হত্যা করেছিলেন।
কিং অব ক্লাবস। কিং অব ক্লাবস হলেন দিগ্বিজয়ী আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট, যিনি ৩২৩ খ্রিস্টপূর্বে পৃথিবীর প্রায় পুরোটা দখল করে নিয়েছিলেন। আগের তাসে পৃথিবীর মানচিত্রের গোলক থাকত, পরে তার আলখেল্লায় গোলকটি আঁকা হয়। কুইন অব ক্লাবস হলেন একমাত্র ইংরেজ মহিলা।
যিনি আর কেউ নন রানী প্রথম এলিজাবেথ। তার গোলাম হলেন রাউন্ড টেবিলের বিখ্যাত নাইট, স্যার ল্যান্স লট। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।