আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তাসের দেশ, ত্রাসের দেশ

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে দিনেদুপুরে পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' দুই যুবক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় এক এসআইসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে পুলিশ দাবি করেছে। পুলিশ জানায়, নিহতরা পেশাদার ডাকাত। গত মাসে যাত্রাবাড়ীর কাজলা নয়ানগর এলাকা থেকে পুলিশ সালাউদ্দিন ও জুয়েলকে দুটি রিভলবার, তিন রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগাজিনসহ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা তাদের কাছে আরও অস্ত্র থাকার কথা জানায়।

সেই স্বীকারোক্তি অনুযায়ী যাত্রাবাড়ীর সুতিখালপাড় এলাকায় একটি ইটের স্তূপের পাশে যাওয়ার পর সালাউদ্দিনের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। উভয় পক্ষের মধ্যে ৮ রাউন্ড গুলিবিনিময় হয়। তাতে সালাউদ্দিন ও জুয়েল গুরুতর আহত হয়। মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়। সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আটটি মামলা রয়েছে।

এর মধ্যে চারটি হত্যা মামলা, যার তিনটিতে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রয়েছে। সালাউদ্দিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী জুয়েল।

খোদ রাজধানীতে পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের বন্দুকযুদ্ধের খবরে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সীমা নেই। পুলিশের হাতে আটক দুই যুবক এই বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেও পুলিশ তার নিজেরই বয়ান মোতাবেক সংঘর্ষে জড়িত সন্ত্রাসীদের ধরতে সক্ষম হয়নি। দ্বিপক্ষীয় সংঘর্ষের কোনো আলামতও পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে অনেক অপরাধের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিজেরাই জড়িত বলে নানা আলামতে সাধারণ মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। পুলিশি ক্ষমতার অপব্যবহার আর অভব্য আচরণেও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বিভিন্ন এলাকার মানুষ। এক কথায়, একটা নির্দয় পুলিশরাজ এ দেশে পাকাপোক্ত হয়ে বসেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ওই পুলিশরাজ ও তার পোষ্য ভয়ঙ্কর অপরাধীদের জন্য এখন সারা দেশ অভয়ারণ্য। অবৈধ অর্থ আদায়, অপহরণের পর মুক্তিপণ ও মাদক ব্যবসায়ীদের সহায়তার অভিযোগ পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে আসছে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে।

ডিবির ছদ্মবেশে নিরীহ যাত্রী আটক করে ধরে নিয়ে যাওয়া আর মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনাও ঘটছে অহরহ। আর গড়ে প্রতিদিন ১৩টির বেশি খুনের ঘটনা ঘটছে। ডাকাতি বা শত্রুতার কারণে খুনের সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে হতাহতের ঘটনা। 'ক্রসফায়ার' বা 'বন্দুকযুদ্ধের' নামে দেশের কোথাও না কোথাও ঘটছে বিচারবহিভর্ূত হত্যাকাণ্ড। আটক আসামি নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যাওয়ার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর সন্ত্রাসীদের আক্রমণ, আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় সন্ত্রাসীদের গুলি, নিজেদের বাঁচাতে নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা গুলি, দুই পক্ষের গোলাগুলিতে কথিত অপরাধীর মৃত্যু (পুরনো এই গল্পটা বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে অনেক আগেই)।

পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম মাসেই দেশে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ৬৮টি। দস্যুতার ঘটনা ৯৩টি। খুন হয়েছে ৪১৭ জন। দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে ৭টি। অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ৪৯টি।

১১২টি পুলিশ অ্যাসল্টের (মারধর) ঘটনা ঘটে। চুরির ঘটনা ঘটেছে ৭,০৩৭টি। অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে ১৭৭টি। বছরের প্রথম মাসে সারা দেশে মোট মামলা হয়েছে ১২,৯৫২টি।

২০১৩ সালে দেশে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ৬১৩টি।

দস্যুতার ঘটনা ১,০২১টি। খুন হয়েছে ৪,৩৯৩টি। দাঙ্গার ঘটনা ১৭২টি। নারী-শিশু নির্যাতনের ঘটনা ১,৯০১টি। অপহরণের ঘটনা ৮৭৯টি।

পুলিশের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে এক হাজার ২৫৭টি। চুরির ঘটনা সাত হাজার ৮৮২টি। অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে এক হাজার ৫১৭টি। ২০১৩ সালে বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় দেশে মোট মামলা দায়ের হয়েছে এক লাখ ৭৯ হাজার ১৯৯টি।

২০১২ সালে দেশে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ৫৯৩টি, দস্যুতা ৯৬৪টি।

খুনের ঘটনা ৪,১১৪টি। দাঙ্গা ৯৪টি। নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ২,৯৪৭টি। অপহরণের ঘটনা ৮৫০টি। পুলিশ আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে ৬৫৯টি।

চুরির ঘটনা ৮,৫৯৮টি। অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে ১,৫১১টি। ২০১২ সালে দেশে মোট মামলার সংখ্যা এক লাখ ৮৩ হাজার ৪০৭টি।

২০১১ সালে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ৬৫০টি। দস্যুতা ১,০৬৯টি।

খুনের ঘটনা ৩,৯৬৬। দাঙ্গার ঘটনা ১০৯টি। নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে ২১,৩৮৯টি। অপহরণের মামলা হয়েছে ৭৯২টি। পুলিশ আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে ৫৮১টি।

চুরির ঘটনা ৮,৮৭৩টি। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে ১,২৬৯টি। ২০১১ সালে মোট মামলা হয়েছে এক লাখ ৬৯ হাজার ৬৬৭টি।

এই সরকারি হিসাবেই দেখা যায়, বিগত তিন বছরে শুধু খুনই বেড়েছে চক্রবৃদ্ধি হারে ফি বছর। মোটা দাগে ২০১১ সাল থেকে ২০১২ সালে খুনের বৃদ্ধি হার ছিল ৪ ভাগ, ২০১২ থেকে ২০১৩ সালে এই বৃদ্ধি হার ৬ ভাগ।

বেসরকারি হিসাবে গুম-খুনের খবর যুক্ত হয়ে খুনের বৃদ্ধি হার হয়ে দাঁড়ায় আরও কয়েক গুণ বেশি। পুলিশের খাতায় অধিকাংশ গুম-খুনের খবর তোলা হয় না, ধরে নেওয়া হয় যাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তারা স্বেচ্ছায় নিরুদ্দেশ। যারা সংগঠন সংশ্লিষ্ট যেমন হেফাজত কিংবা বিএনপির কর্মী-সমর্থক, তাদের তালিকা প্রস্তুতির একটা প্রক্রিয়া সম্প্রতি শুরু হয়েছে। যারা অপরাধ চক্রের অপহরণবাণিজ্যের শিকার, তাদের অধিকাংশই কোনো হিসাবে আসছে না।

অন্যদিকে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসা।

রাজধানীতে প্রকাশ্যে মাদক বেচাকেনা ও সেবন চলছে এমন দুই শতাধিক স্পট রয়েছে। যেখানে প্রশাসনের চোখের সামনেই হচ্ছে এসব। পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় দলীয় মস্তানদের সম্পৃক্ততার কারণে সমাজে মাদকসেবনজনিত অপরাধপ্রবণতা ও অনৈতিকতার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। কিছুতেই দমানো যাচ্ছে না মরণনেশা ইয়াবা। তালিকার পর তালিকা করেও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না কিংবা লোকদেখানো দমনাভিযানের পালা করছে মাত্র আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো।

অলিগলিতে বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি রিকশা ও ভ্যানচালকরা জড়িয়ে পড়েছে ইয়াবার জালে। একদিকে ইয়াবার চালান ধরা পড়ছে, অন্যদিকে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বড় বড় চালান নিয়ে আসছে ইয়াবা মাফিয়ারা। মাদকাসক্ত বা গুণ্ডা-বদমায়েশের হাতে, কিংবা যৌতুকের জন্য শ্বশুর-ভাশুর-স্বামী-দেবরের হাতেও নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে অহরহ। গড়ে প্রতিদিন দেশে ৩৫টির মতো নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে।

অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় পুলিশের সম্পৃক্ততার একটা জলজ্যান্ত উদাহরণ সম্প্র্রতি ফাঁস হয়েছে। একটি চক্র চোরাচালান করে ডলার ও স্বর্ণের। আর অন্য একটি চক্র অনুসরণ করে সেই চোরাচালানি চক্রটিকে। সুযোগ বুঝে অপহরণ করে চোরাচালানি চক্রের সদস্যদের। পরে তাদের কাছ থেকে র্যাব-পুলিশের ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নেয় সেসব ডলার ও স্বর্ণ।

১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে সাভারের আমিনবাজার এলাকা থেকে এই দুই চক্রের ৬ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব। আটককৃতরা হলেন_ সাভার মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ফাজিকুল ইসলাম, প্রায় এক বছর আগে অবসরে যাওয়া সেনাসদস্য রেজাউল হক, টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার বহুরিয়া ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সবুর, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেফতারের পর মাসতিনেক আগে জামিন পাওয়া সুজন, পুলিশের সোর্স মিরান খান ও শামসুল হক। প্রকাশ, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে ওইদিন যশোর থেকে ঈগল পরিবহনের একটি বাসে দুই ব্যক্তি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার বহুরিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সবুরকে নিয়ে একটি ডলারের চালান নিয়ে ঢাকায় আসবে। র্যাব আরও জানতে পারে, ওই দুই ব্যক্তির একজন চেয়ারম্যান সবুরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে ডলারের চালানটি একটি অপহরণকারী গ্রুপের মাধ্যমে ছিনতাই করাবে। ওই দুই ব্যক্তি শামসুল ও খোকন পাটুরিয়া ঘাটে ঈগল পরিবহন থেকে নেমে অন্য একটি বাসে ঢাকার অদূরে সাভার বাসস্ট্যান্ডে নেমে যায়।

এরপর তারা আশুলিয়া যাওয়ার উদ্দেশে রাস্তার পশ্চিম পাশে সিটি সেন্টারের সামনে যায়। এ সময় খোকন সরে গিয়ে অপহরণকারী চক্রের সদস্য অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক রেজাউল এবং এএসআই ফাজিকুলকে তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানায় এবং শামসুলকে দূর থেকে দেখিয়ে দেয়। শামসুল খোকনকে খুঁজে না পেয়ে ডলার নিয়ে আশুলিয়া যাওয়ার উদ্দেশে একটি লোকাল গাড়িতে ওঠে। তখন রেজাউল, ফাজিকুল ও তার সহযোগীরা ওই বাসে উঠে শামসুলকে নামিয়ে তার কাছ থেকে ডলারের প্যাকেটটি কেড়ে নেয়। এ সময় র্যাবের অভিযান দলটি দ্রুত ঘটনাস্থলে পেঁৗছে অপহরণকারী চক্রের চার সদস্যসহ শামসুলকেও আটক করে।

আটককৃত স্বর্ণ ও ডলার চোরাচালানকারী শামসুল হকের দেওয়া তথ্যমতে পরদিন সাভারের আশুলিয়ার দোসাইদ বাজার থেকে স্বর্ণ ও ডলার চোরাচালান চক্রের মূল হোতা সবুর চেয়ারম্যানকেও আটক করা হয়। উল্লেখ্য, সাভার থানার এএসআই ফাজিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তার সহযোগী অপরাধী চক্র ধরা পড়েনি, বরং ওই গ্রেফতারের গোপন অভিযানের খবরও তারা পেয়ে গেছে এবং আমিনবাজার এলাকায় গ্রেফতারকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে। তাতে র্যাব সদস্য একজন ক্যাপ্টেন আহত হয়ে আর্মি হাসপাতালে গেছেন। সাভারে অভিযোগ, বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা যারা নানা অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত আসলে ঘুরেফিরে তারা সাভার থানাতেই পোস্টিং পান।

তথা পুলিশের ঊধর্্বতন মহলেরও প্রশ্রয় বা সম্ভাব্য যোগসাজশ তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে।

এদিকে কদিন ধরে পত্রপত্রিকায় নিয়মিত খবর আসছে : নারায়ণগঞ্জে র্যাবের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ গোলাগুলি; আহত ১৩। যশোরে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এবার অভয়নগরের মেজবাহ বাহিনীপ্রধান মেজবাউর রহমান নিহত হয়েছেন। এর আগে বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড রবিউল ইসলাম যৌথবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। সুন্দরবনের করমজলে 'বন্দুকযুদ্ধে' দস্যুপ্রধান নিহত, অস্ত্র উদ্ধার।

চরমপন্থি দমনের নামে শুরু হয়েছিল ক্রসফায়ারের সংস্কৃতি। এরপর তা চলেছে দাগি অপরাধী নিধনে। এই দুই শ্রেণীর অপরাধী নিধনকে বাহবাও দিয়েছে ভুক্তভোগী মানুষ। কিন্তু কেবল অপরাধীরাই ক্রসফায়ারের শিকার হবে_ এমন নিশ্চয়তা কে দিতে পারে? বিশেষ করে আমাদের মতো প্রতিহিংসার রাজনীতির দেশে?

বার্তা এসেছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিশ্বব্যবস্থার বিরুদ্ধে গুপ্তযুদ্ধরত সন্ত্রাসের দরবার থেকেও। আল-কায়েদার বর্তমান নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরির নাম ও ছবিসহ এক অডিও বার্তা প্রচারিত হচ্ছে ইন্টারনেটে, বিবিসি এই খবর সম্প্র্রচার করে জানায়, আল-কায়েদার প্রচার বিভাগ থেকে জিহাদি ফোরামে বার্তাটি পোস্ট করা হয়েছে।

আরবি ভাষায় দেওয়া বার্তাটি দিয়ে তৈরি এক ভিডিওতে ইংরেজি সাব-টাইটেল দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাংলাদেশের পথেঘাটে হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে; পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো খুনিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই সত্য চাপা দিচ্ছে। বার্তায় ইসলাম বিরোধীদের প্রতিহত করার ডাক দেওয়া হয়েছে।

বছরের পর বছর ধরে রাজনৈতিক অমীমাংসা ও অস্থিরতা দিয়ে এদেশের নেতৃমণ্ডলী প্রশাসনকে বিকল, অর্থনীতিকে অবরুদ্ধ আর রাষ্ট্রব্যবস্থাকে তাসের ঘর, ত্রাসের দেশে রূপান্তরিত করেছে। এমন অবস্থায় ত্রাসের ঘরের মহাজন আল-কায়েদা যে তার খবর পেয়ে যাবে, এদেশে ত্রাসের ঘাঁটি কায়েমের সুযোগ খুঁজবে, অনিয়মিত যুদ্ধের মীমাংসার পথ দেখাতে 'দাওয়াত' দেবে, সে আর এমন বিচিত্র কি? ত্রাসের রাজত্ব আর একদলীয় শাসনের অস্থিতিশীলতা ইতোমধ্যেই বিকটাকৃতি ধারণ করেছে।

রাজনৈতিক মীমাংসা না হলে এদেশ যে অনিয়মিত গৃহযুদ্ধের দিকে ঝুঁকতে পারে, এমন হুঁশিয়ারি তো পাশ্চাত্য মিডিয়া আর কূটনৈতিক 'মুরবি্ব'রাও মাঝে মাঝেই দিয়ে থাকেন।

লেখক : বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।