আল্লাহর বন্ধুর সাথে শত্রুতায় আল্লাহর যু্দ্ধ ঘোষণা
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ قَالَ مَنْ عَادَى لِي وَلِيًّا فَقَدْ آذَنْتُهُ بِالْحَرْبِ وَمَا تَقَرَّبَ إِلَيَّ عَبْدِي بِشَيْءٍ أَحَبَّ إِلَيَّ مِمَّا افْتَرَضْتُ عَلَيْهِ وَمَا يَزَالُ عَبْدِي يَتَقَرَّبُ إِلَيَّ بِالنَّوَافِلِ حَتَّى أُحِبَّهُ فَإِذَا أَحْبَبْتُهُ كُنْتُ سَمْعَهُ الَّذِي يَسْمَعُ بِهِ وَبَصَرَهُ الَّذِي يُبْصِرُ بِهِ وَيَدَهُ الَّتِي يَبْطِشُ بِهَا وَرِجْلَهُ الَّتِي يَمْشِي بِهَا وَإِنْ سَأَلَنِي لَأُعْطِيَنَّهُ وَلَئِنْ اسْتَعَاذَنِي لَأُعِيذَنَّهُ وَمَا تَرَدَّدْتُ عَنْ شَيْءٍ أَنَا فَاعِلُهُ تَرَدُّدِي عَنْ نَفْسِ الْمُؤْمِنِ يَكْرَهُ الْمَوْتَ وَأَنَا أَكْرَهُ مَسَاءَتَهُ .
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: আল্লাহ্ তা’আলা বলেন: যে ব্যক্তি আমার অলীর সাথে শত্রুতা করে, আমি তার সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করছি। আমার বান্দার প্রতি যা ফরয করেছি তা দ্বারাই সে আমার অধিক নৈকট্য লাভ করে। আমার বান্দা নফল কাজের মাধ্যমেও আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকে। অবশেষে আমি তাকে ভালবেসে ফেলি।
যখন আমি তাকে ভালবাসি, তখন আমি তার কান হয়ে যাই যা দিয়ে সে শোনে, তার চোখ হয়ে যাই যা দিয়ে সে দেখে, তার হাত হয়ে যাই যা দিয়ে সে ধরে এবং তার পা হয়ে যাই যা দিয়ে সে চলাফেরা করে। সে আমার কাছে কিছু চাইলে, আমি তাকে তা দেই। সে যদি আমার নিকট আশ্রয় কামনা করে, তাহলে আমি তাকে আশ্রয় দেই। আমি যা করার ইচ্ছা করি, সে ব্যাপারে কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগি না কেবল মুমিনের আত্মার ব্যাপার ছাড়া। সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর আমি তার মন্দকে অপছন্দ করি।
[বুখারী: ৬৫০২]
<
*******************
একটা মানুষ গড়ে তুলতে কত টুকু সাধনার প্রয়োজন ।
একটা মানুষের জীবন রক্ষায় কি যে প্রানান্তর রন অভিযান ।
অথচ পক্ষান্তরে একটা মানুষকে যমের বাড়ি পৌছাতে মুহুরথ সময় ও ব্যয় হয়না যদি কৌশলটা হয় মারনাস্ত্রের মাধ্যমে ।
হযরত বড় পীর শাহ সৈয়দ সুলতান আব্দুল কাদের জিলানি রা
তার আত্তাধিক রুহানি শক্তি প্রাথমিক সময় এত টুকু প্রবল ছিল
অপবিত্র কুটিল মনে কেহ দূর থেকে তার বিরুদ্ধে বেয়াদবি করলে
সাথে সাথে বেয়াদবের শীর আল্লাহর ক্ষুত্রতে মস্তক হইতে আলাদা
হয়ে যেত ।
একদিন আল্লাহর পক্ষ থেকে গাইবি আওয়াজ আসল হে আমার প্রিয় খাস বান্ধা তুমি কি জান একটা জীব সৃষ্টি করতে আমার কি পরিমান ক্ষুত্রতি কৌশল প্রয়োজন পড়ে , তুমি এহেন তাজাল্লি
কাণ্ড বন্ধ করে তাদের নিকট সহজ ভাবে হেদায়াত পৌঁছে দাও
মুলত তারা অজ্ঞ /
একদিন বালক আব্দুল কাদির প্রাত কালে নদী তিরে গমন করলে ।
এক বৃদ্ধাকে রোধন করে কাদতে দেখে , জিজ্ঞাসে হে বুড়ি কাদ কেন ?
বাবা বার বছর আগে আমার একমাত্র আদরের দুলাল কে বিয়ে
করানোর উদ্দ্যশ্য অনেক বড় যাত্রি সহ আনন্দ উৎ সব পরিবেশে
এই নদীতে শ্বশুরালয়ে পাটিয়েছিলাম , কিন্তু ভাগ্যর কি পরিহাস
বউ লয়ে ফিয়ে আসার সময় ঝড়ের কবলে সবাই সলিল সমাধি
লাভ করে । বালক আব্দুল কাদির কান্না সহ্য করতে না পেরে
সিজদায় পড়ে আল্লাহর নিকট হাত তুলে হে আল্লাহ বুড়ীর ছেলেকে ফিরিয়ে দাও । অদৃশ্য আওয়াজ তারা কবেই পানিতে
মাটিতে মিশে গেছে তাদের অস্তিত্ত নাই ।
হে আল্লাহু তোমার ক্ষুত্রত অসিম তোমার গোপনীয়তা আমি জানি কোটি কোটি বছর পড়ে হাসরের মাটে নিশ্চিহ্ন মানুষকে
ক্ষুত্রতি কৌশলে যদি একত্র করতে পার তবে সামান্য বিষয় নিয়ে
আমার ও বুড়ির ফেরেসান দূর কর । যদি আরজি না শুনবে ততক্ষণ আমি তোমার দরবার হইতে মাথা উত্তোলন করবনা ।
আল্লাহর লিলা বুঝা বড় দায় বার বছর পূর্বে যেভাবে বুড়ি সাজায়ে নাও পাটাইয়েছিল বড় যাত্রি বউ আনন্দ ঘন পরিবেশ
সেভাবেই জীবন্ত হয়ে গেল সব । বুড়ি তার ছেলেকে ও সবাইকে
লয়ে ঘরে ফিরল ।
এমন বহু ঘটনা অলি আউলিয়াগনের জীবনীতে পাওয়া যায়
আর বর্তমান সময় নারিই হোক আর পুরুষ শাসকই হোক
কারও সাধারন মানুষের প্রতি এত টুকু সহমর্মিতা নেই যে
তারা অন্যকে বাচাবে । বরং নিজেদের প্রান নিয়েই টানাটানি ।
জেন মুমিনদের প্রকৃত ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর নিকট থেকে
আসে ।
আল্লাহ সকলকে বুঝার তাওফিক ও হেদায়েত দিন
আমিন ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।