আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফেনী নদী বাংলাদেশের

জানতে চাই জানাতে চাই বাংলাদেশ প্রায় তিনদিক দিয়ে ভারত সীমান্ত দ্বারা বেষ্টিত। ভারত থেকে ৫৪টি নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এগুলো সবই আন্তর্জাতিক নদী হিসেবেগণ্য। বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়াই ভারত ৫৩টি নদীতে বাঁধ দিয়ে একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। আন্তর্জাতিক নদী সম্পর্কে জাতিসংঘের আইন আছে।

যেসব দেশের ওপর দিয়ে নদীটি প্রবাহিত, সেসব দেশের সম্মতিক্রমে ও সমতার ভিত্তিতে যৌথভাবে নদী ব্যবস্থাপনা ও পানির হিস্যার কথা রয়েছে ওই আইনে। কিন্তু ভারত এসব নিয়মনীতির ধার ধারে না। একমাত্র গঙ্গা নদী বিষয়ক ফারাক্কা চুক্তি হলেও ভারত শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশকে চুক্তি মোতাবেক পানি দেয় না। আর অন্য নদীগুলোর পানির ব্যাপারে বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক কোনো আলোচনাই করে না। জেআরসি নামে যৌথ নদী কমিশন ১৯৭৪ গঠন করা হলেও তার কোনো কার্যকরিতা নেই।

বিগত ৩৮ বছরে ওই কমিশন মাত্র ৩৭ বার মিলিত হয়। কিন্তু ভারতের অযৌক্তিক দাবির কারণে কোনো নদীরই পানি সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। তারা সঠিক তথ্য ও উপাত্তের ভিত্তিতে আলোচনা না করে একটা সমস্যার সমাধানের সঙ্গে আরও কয়েকটি সমস্যা জুড়ে দেয়। ফলে কোনো নদীরই সমস্যার সমাধান নেই। তবে মজার ব্যাপার হলো, বাংলাদেশকে ভাঁওতা দিয়ে এতদিন ফেনী নদীকে ভারত নিজেদের নদী বলে দাবি করে এসেছে।

সেভাবে ফেনী নদী থেকে তারা সুযোগ গ্রহণ করে আসছে। আসলে ঘন বন বেষ্টিত পাহাড়ি অঞ্চলে ফেনী নদীর উত্পত্তিস্থল হওয়ায় এর আসল অবস্থান এতদিন অজ্ঞাত ছিল। কিছুদিন আগে ভূগোলবিদ প্রকৌশলী, জরিপ বিষয়ে অভিজ্ঞ লোক এর উত্পত্তি স্থান খুঁজে বের করার জন্য ওই দুর্গম অঞ্চল সফর করেন। তারা ফেনী নদীর উত্সস্থান খুঁজে বলেন যে, বাংলাদেশের অন্যতম ও এ সময়ের বহুল আলোচিত ফেনী নদীর উত্পত্তি বাংলাদেশে। ভারত এতদিন অযথা নদীটির উত্পত্তিস্থল তাদের দেশে বলে দাবি করে এসেছিল।

দীর্ঘ সময় ধরে নদীর মিরসরাইয়ের মুহুরী প্রকল্প থেকে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙা উপজেলার আচালং এলাকার ভগবান টিলা পর্যন্ত অনুসন্ধান করে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বলা হতো ফেনী নদী আন্তর্জাতিক। বাংলাদেশ ও ভারতকে বিভক্তকারী এই নদীর উত্পত্তি ত্রিপুরা রাজ্যে। অথচ অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয় এটা পুরোপুরি বাংলাদেশের নদী। নদীর ১০৮ কিলোমিটারের কোনো অংশই ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেনি।

সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, মিরসরাইয়ের আমলীঘাট সীমান্ত এলাকায় গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে নদীর পাড়ে ব্লক তৈরি করছে ভারত। এ সীমান্তে পাইপ বসিয়ে ভারতের উপেন্দ্রনগরের জন্য পানি প্রত্যাহার করা হচ্ছে। রামগড়ের অদূরে সাবরুম শহরের পানি সঙ্কট মেটাতে ১৭টি পাইপ বসিয়ে অনবরত পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে ভারত। এছাড়া আচালং মৌজায় ১ হাজার ৭০০ একর জমি ভারত বেদখল করে রেখেছে। নদীর মুহুরী প্রকল্প থেকে ধুমঘাট-আমলীঘাট-রামগড়-পিনাক নদীর পাড়-মাটিরাঙা-আচালং-তাইনন্দং ও ভগবান টিলায় গিয়ে নদীর উত্পত্তিস্থল পাওয়া যায়।

তাই ফেনী নদী আমাদের—ভারত তা কেড়ে নেয়ার তালে আছে। বাংলাদেশের অনেক উপনদী-খালছড়া মিলিত হয়েছে ফেনী নদীতে। ফেনী নদীর পানির বেশিরভাগ উত্স বাংলাদেশ। অথচ এ শুষ্ক সময় আচালং থেকে আমলীঘাট পর্যন্ত প্রায় ৮৬ কিলোমিটারের কোথাও বাংলাদেশীরা নদীর পানি ব্যবহার করতে পারছে না। নদীর প্রবাহগতিকে বিএসএফ একতরফাভাবে ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’ আখ্যা দিয়ে তটস্থ করে রেখেছে আমাদের বর্ডার গার্ড ও সাধারণ বাসিন্দাদের।

তারা দিব্যি দিনের আলোতেই নদীর পানি চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। ফেনী নদীর ওপর নির্ভর করে প্রায় দুই কোটি বাংলাদেশীর জীবন ও জীবিকা। পানি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভারতের এ পানি আগ্রাসন বন্ধ না হলে কিংবা ভারতের প্রস্তাবিত চুক্তি যদি বাংলাদেশ করে তাতে লাখো মানুষের ভাগ্যাকাশে নেমে আসবে অমানিশা। বাংলাদেশের ভগবান টিলা থেকে এ নদীর উত্পত্তি হয়ে বাংলাদেশের সীমান্ত পার হয়ে ভারতের ইজেরা গ্রামে প্রবেশ করে। ইজেরা গ্রাম থেকেই নদীটি ফেনী নদী নামে পরিচিত।

দুই দেশের সীমান্ত ঘেঁষে বেশ কিছুটা অগ্রসর হয়ে নদীটি মিরসরাইয়ের আমলীঘাট এক নম্বর করেরহাট ইউনিয়ন দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে ছাগলনাইয়া ও সোনাগাজী উপজেলা ছুঁয়ে মিলিত হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সেপ্টেম্বরের ৬-৭ তারিখে ঢাকা সফরের সময় ভারত দাবি করে, তিস্তা চুক্তি করতে গেলে ভারতকে ফেনী নদীর পানি ব্যবহারের চুক্তিও করতে হবে। আশ্চর্যের ব্যাপার ভারত তিস্তা চুক্তি না করলেও বাংলাদেশ ভারতকে ফেনী নদীর পানি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। এতে বিশেষজ্ঞরা বিস্মিত। তারা বলেন, তিস্তা আন্তর্জাতিক নদী।

এ নদীর পানিতে বাংলাদেশের দাবি যৌক্তিক। এ কারণেই জনগণ বলছেন, ভারত না চাইতেই হাসিনা সরকার ভারতকে অনেক কিছুই দিয়েছে—বিনিময়ে কিছুই পায়নি। ফেনী নদীর পানিবণ্টন নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত বিরোধ দীর্ঘদিনের। ভারত নদীটির পানি প্রত্যাহার করে ত্রিপুরা রাজ্যে সেচ কাজে ব্যবহারের প্রকল্প হাতে নিলেও হাসিনা সরকার ছাড়া অন্যান্য সরকারের আপত্তির জন্য সে উদ্যোগ অনেকটাই থেমে আছে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের ‘দি আসাম ট্রিবিউন’-এ গত ৪ সেপ্টেম্বর ‘ত্রিপুরা হোপস ফর সল্যুশন টু রিভার ডিসপিউট উইথ বাংলাদেশ’।

শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ফেনী নদীর পানিবণ্টন নিয়ে ১৯৩৪ সাল থেকেই বিরোধ চলে আসছে। এ নদীর মোট আয়তন ১ হাজার ১৪৭ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে ৫৩৫ বর্গকিলোমিটার ভারতের মধ্যে রয়েছে। নদীর বাকি অংশ বাংলাদেশের। দি আসাম ট্রিবিউন লিখেছে, ‘বিভিন্ন কারিগরি জটিলতায় ফেনী নদীর পানির পরিমাণ এখন পর্যন্ত নির্ণয় করা যায়নি।

সেজন্য পানির ভাগাভাগি নিয়েও বিরোধ নিষ্পত্তি হয়নি। ’ ফেনী নদীর পানির ওপর নির্ভর করছে মুহুরী, কহুরা, কালিদাস, পাহাড়িকাসহ অসংখ্য ছড়া ও খাল। এগুলোর অস্তিত্ব ফেনী নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল। অন্যদিকে ফেনীর পরশুরাম সীমান্তে পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় মুহুরী, কহুরা ও সিলোনিয়া নদীর পানি প্রায় শুকিয়ে যাচ্ছে শুষ্ক মৌসুমে। নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় নদী তীরের কয়েক হাজার হেক্টর জমির ইরি-বোরো চাষ হুমকির মুখে পড়েছে।

শুষ্ক মৌসুমে পানি প্রত্যাহার ও বর্ষা মৌসুমে একতরফা পানি ছেড়ে দিয়ে কৃত্রিম বন্যার সৃষ্টিসহ নানা দুর্যোগের কারণে প্রতি বছর মুহুরী সেচ প্রকল্পের ইরি-বোরো আবাদ আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। ফেনী সীমান্তের ছাগলনাইয়া, পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার বর্ষা ও শুষ্ক মৌসুমে পানি প্রবাহ ছিল। কিন্তু বর্তমানে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ওইসব এলাকায় বোরো চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ভারত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের নামে পাকা দেয়াল নির্মাণ, বড় বড় ২৭টি পাইপ বসিয়ে পাকা রাস্তা ও কালভার্ট তৈরি করে তার ওপর তিন স্তরবিশিষ্ট কাঁটাতারের বেড়া তৈরি করে পানির উত্সমুখগুলো ভরাট করে দেয়ায় ভাটির দেশ বাংলাদেশে পানি প্রবাহ একেবারে কমে গেছে। এতে নদীতে পানি সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে কৃষকরা জানান।

ভারত একতরফাভাবে পানি আটকে রেখে নিজেরা চাষাবাদ করলেও শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশকে পানি থেকে বঞ্চিত করছে বলে সীমান্তবর্তী কৃষকদের অভিযোগ। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে সব পাইপের মুখ খুলে দিয়ে বাংলাদেশে বন্যার সৃষ্টি করে। তারা ৫৪টি নদীর প্রত্যেকটিতে একই কাজ করে আসছে। ভারত সীমান্তবর্তী ফুলছড়ি খাল, ছাগলনাইয়া খাল ও যশপুর খালসহ বিভিন্ন ছড়ার উজানে ভারত বাঁধ দিয়ে পানি আটকিয়ে রাখায় শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশের নদীগুলোতে দেয়া স্লুইস গেটগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ১৫৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত দেশে ৬ষ্ঠ বৃহত্তম মুহুরী সেচ প্রকল্পের আওতায় ফেনী নদী, মুহুরী ও কহুয়া নদীর তীরবর্তী ২০ হাজার হেক্টর জমিতে চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো আবাদ হয়নি পানির অভাবে।

এদিকে ত্রিপুরা রাজ্যের জন্য পাম্প বসিয়ে ফেনী নদীর পানি নিয়ে গেলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে দেশের ৬ষ্ঠ মুহুরী সেচ প্রকল্প। ফেনী নদীর পানির ওপর চট্টগ্রাম ও ফেনী জেলার কয়েক কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভরশীল। তীরবর্তী কয়েক লাখ লোক ফেনী নদীর পানির ওপর প্রত্যক্ষভাবে নির্ভরশীল। চাষাবাদ ছাড়াও কয়েক হাজার জেলে পরিবারের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উত্স ফেনী নদী। পানির অভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে কয়েক হাজার মত্স্য খামার।

ফেনী নদীর পানি ভারতকে দিতে গেলে সমগ্র অঞ্চলে দেখা দেবে মরুকরণ। ধ্বংস হবে প্রকৃতি ও প্রতিবেশ-পরিবেশ। ফেনী নদী মুহুরী নদীর শতকরা ৮০ ভাগ পানি সরবরাহ করে থাকে। এতদিন সীমান্তের ওপারে পাম্প বসিয়ে পাইপ দিয়ে ফেনী নদীর পানি চুরি করে নিলেও বর্তমান সরকারের সম্মতি পেয়ে ভারত এখন অবাধে ফেনী নদীর পানি প্রত্যাহার করে নেয়ার ক্ষমতা লাভ করেছে। নদীটি পুরোপুরি বাংলাদেশের হলেও সরকার ভারতকে খুশি করার জন্য সে নদীর পানি সবটাই ভারতকে দিয়ে দেয়ায় নিজ দেশের চট্টগ্রাম ও ফেনী জেলা কালে কালে মরুভূমিতে পরিণত হবে।

ফেনী নদী থেকে ভারতকে পানি দেয়ার কথা জানতে পেরে এখানকার বিভিন্ন শ্রেণীর ও পেশার মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয় জনগণ জানান, পাকিস্তান আমলে বা বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও ভারত ফেনী নদীর পানি ও তীরবর্তী ভূমি তাদের বলে দাবি করেনি। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশী নাগরিকদের ওপর হামলা করে পরিকল্পিতভাবে ভারত পানি আগ্রাসন চালাচ্ছে। আমাদের ভূমি জবরদখল করে নিয়ে তাদের বলে দাবি করছে। এদিকে মহাজোটের অন্যতম শরিক দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ গত ৫ মার্চ ভারতের আগ্রাসন থেকে ফেনী নদীর পানি রক্ষা এবং নদী তীরবর্তী বাংলাদেশের জমি রক্ষার দাবিতে ফেনী নদী অভিমুখে লংমার্চ শেষ করে গেছেন।

এরশাদের আসল মতলব কী তা আমরা জানি না—তবে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ফেনী নদীতে ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকারও তা থেকে দূরে থাকতে পারে না। ফেনী নদীর অধিকারের প্রশ্নে সরকার ও বিরোধী দলকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করে আর লাভ নেই। অভিন্ন সব নদীর ব্যাপারে এখন আমাদের জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে হবে।

সেখানে সুবিচার পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ তথ্য-উপাত্ত ও আন্তর্জাতিক নীতিমালা আমাদের পক্ষে। এখন সরকারের দরকার মেরুদণ্ড খাড়া করে জোরালোভাবে আমাদের দাবি তুলে ধরা। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ তাদের কাতারে শামিল পাবেন। জননেতা মওলানা ভাসানী এক হুঙ্কারে ১৬ মে, ১৯৭৬ সালে যে লংমার্চ করে কানসাটে যান, ভারত তাতে ঘাবড়ে গিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ফারাক্কা চুক্তি করতে বাধ্য হয়।

লেখক :প্রকৌশলী এসএম ফজলে আলী (কলামিস্ট, সমাজ গবেষক ও পরিবেশবিদ) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।