রাজনৈতিক লেখার ইচ্ছে আমার কোন কালে নেই বা আমি এসব বুঝিও না। কামলা মানুষ কামলা হিসেবেই থাকবে চাই। স্বপ্ন আমার কামলা ক্ষেত্র গার্মেন্টস ট্রেড নিয়েই। লেখা শুধু আঙুলের চুলকানিতে।
বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যার ৮৫ আবার কারো কারো মতে ৯৫% লোক মুসলিম।
যে হিসেবই নিয়ে থাকি তাতে মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবেই পরিচিতি লাভ হয়। আর যে যেটাই বলুক একটা সময়ে মানুষ ধর্মের দিকেই ঝোকে যখন বয়সের ভারে রক্তের প্রবল বেগ কমতে থাকে। দেখা যায় যৌবনে দুর্বার ধর্ম বিদ্বেষী বা উদাসিন হলেও একটা সময় এসে ধর্মের দিকেই ঝুকতে থাকে এবং ধর্মকে ভালবাসতে থাকে। যদিও কিছু কিছু লোক পার্থিব মোহে সেদিকে যাবার হেদায়ত প্রাপ্ত হন না।
বাংলাদেশে আজ নাস্তিকদের বেশ দৌরত্ব মনে হচ্ছে যার মধ্যে শীর্ষে আছেন বাম দলগুলি যাদের আদর্শ মাও সেতুং, লেলিন এই সব লোক।
তারা ধর্ম সম্পর্কে কিছু না জানলেও দু'চারটি লাইন পড়ে ধর্মের অপবেক্ষায় ব্রত হয়ে পড়েন ধর্মের গুষ্টি উদ্ধারে নেমে পরেন মধ্যযুগীয় ধোয় তুলে, আসলে তারা জানেই না মধ্যযুগ আর ধর্মের মধ্যে পার্থক্য। মধ্যযুগীয় বর্বরতা থেকে কিসের দ্বারা উদ্ধার হয়েছিল এবং সেখানে কারা বেশী নির্যাতন করেছিল।
যা হউক এটা বামদের ভাল লাগবে না কারণ তারা পড়ে থাকে মাও সেতুং লেলিন, কোন ধর্মগ্রন্থ পড়ার মত কোন সময় তাদের হাতে নেই। বামদের নাকি বিরাট আদর্শ আছে যে আদর্শ মানুষের কল্যানে কিন্তু দুঃখের বিষয় হল বাম নেতারা থাকেন অট্টালিকায় আর তাদের কমরেডরা থাকেন আস্তাকুড়ে। সাধারণ মানুষ মানুষকে মূল্যায়ন করে তাদের আচার আচরণ ভাল কাজ দেখে যেটা বামদের দ্বারা সংগঠিত হয়েছে এমন নজির খুব কমই।
বামরা সর্বদা অধিকার নিয়ে কথা বললেও তারা কখনও কারো অধিকার নিয়ে চিন্তা না করে নিজের অধিকারেই ব্যতিব্যস্ত।
তাদের জনপ্রিয়তা দেখতে গেলে স্বাধীনতার পর থেকে তাদের ভোটের পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যায়। নিজেদের মার্কা বা প্রতিকে তারা কোনদিন সংসদ ভবনে ঢোকার অনুমতি না পেলেও এবার আপনার প্রতিকের বদৌলতে সংসদে প্রবেশ করে নিজেদের অনেক পন্ডিত জাহিরে করে ধর্মপ্রাণ মুসলিদের বিরুদ্ধে যে উষ্কে দিচ্ছে আপনার সেটি আপনার বোঝা উচিত। বামদের নিজস্ব প্রতিকে একটি নির্বাচনী এলাকায় ভোটের পরিসংখ্যান আপনার কোন প্রার্থীর যে কেন্দ্রে ফেইল করেছে সেই কেন্দ্রের ভোটের থেকেও কম। এই পরিসংখ্যানেই বোঝা যায় তাদের গ্রহণ যোগ্যতা কতটুকু।
পুকুরে খরসালা মাছ বা সিলভার কার্প মাস কিন্তু বেশী থাকে না থাকে সামান্য কিছু যা রুই থেকে সামান্যই। কিন্তু পুকুরের উত্তালতা দেখে মনে হয় পুকুর ভরিতই হয়তো এই মাছ দ্বয় তাতে অনেকে বিভ্রান্তই হয় বটে। আশা করি আপনি বিভ্রান্ত হবেন না।
তাদের গ্রহন যোগ্যতা বা জনমত নিয়ে যাচাই করতে চাইলে একদিন তাদের কোন কর্মসূচী দিতে বলেন দেখবেন হালিতে গোনা যাবে তাদের লোক সংখ্যা। শতকে গুনলে কোঠাপূর্ণ হবে না।
অতএব তাদের নিয়ে গর্ব করার কিছু নাই। সদ্যগজিত কিছু ধর্ম বিশেষত ইসলাম বিদ্বেষী ধর্ম নিয়ে কটাক্খ করে যাচ্ছে যার সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকজন। যারা মূলত জ্ঞানহীনতা বা বিতর্কে জড়িয়ে নিজেদের পরিচিত লাভের আশায় বা অশ্লীলতায় নিজেদের প্রচার করার জন্যই এগুলি করে থাকে। সচারচর এদের সাথে কেও দ্বন্দে জড়ায় না অশ্লীলতার ভয়ে তাই এরা নিজেদের অনেক বেশী সংখ্যা গরিষ্ঠ মনে করে থাকে। যার বিপরীতে শত শত আছে যারা ধর্মকে ভালবাসে থাকতে চায় ধর্ম ঘিরে।
এই সব নাস্তিকেরা যুক্তিতে হেড়ে গিয়ে ধর্মব্যবসায়ী ট্যাগ দিয়ে নিজের অস্তত্বীয় টিকিয়ে রাখতে চায় এর বাইরে কিছু নয়।
জনমত যাচাইয়ে নাস্তিকদের বা ধর্ম বিদ্বেষীদের একটি সমাবেশ করার অনুমতি বা আহবান জানিয়ে দেখতে পারেন- আমরা নাস্তিক ধর্ম মানি না ব্যনারে দেখবে তাদের জনপ্রিয়তা বা গ্রহন যোগ্রতা।
আপনার ভোটের সময় এদের কাউকে পাবেন না কারণ এদের অধিকাংশই বসবার করে যে এলারক ভোটারও না সে আর কষ্ট করে ভোট দিয়ে আপনাকে সমর্থন জানাবে না কখনও। এদের সমর্থন শুধু ব্যনারে এর বাইরে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।