এক্সট্রা এনার্জি এক্সচেঞ্জার
অবৈধ গর্ভপাতে অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম কারমিট গসনেল। ফিলাডেলফিয়ায় একটি ক্লিনিক চালান তিনি। এক মহিলা এবং সাতটি শিশুর মৃত্যুতে অভিযুক্ত ডাক্তারের বিরুদ্ধে খুনের মামলা চলছে। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, জীবিত অবস্থায় প্রসবের পর বেশ কয়েকটি শিশুকে হত্যা করেছেন তিনি। পেনসিলভ্যানিয়া প্রদেশের আইন এই ঘটনা কোনও ভাবেই সমর্থন করে না।
অবৈধ ভাবে গর্ভপাত করানোর সময় অন্তত দশটি শিশুর মেরুদণ্ড কেটে ফেলেছেন বলে জানালেন এক মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট। অ্যাড্রিয়ান মটন নামে ওই কর্মী জানিয়েছেন, অন্তত ৩০ সপ্তাহের একটি ভ্রূণহত্যার ঘটনা নিজের চোখে দেখেছিলেন তিনি। তাঁর মতে, ‘শিশুটির বাঁচার সম্ভাবনা ছিল৷ কিন্ত্ত ডাক্তার বলেছিলেন, গর্ভপাত করানোই সব থেকে ভালো। ’ একবার একটি শিশুর গলা কাঁচি দিয়ে কেটে ফেলতে হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন মটন৷ এমন করাটা যে ভুল, সেটা তিনি প্রথমে জানতেন না বলে দাবি করেছেন। সাধারণত ভ্রূণ জরায়ুর ভিতরে থাকাকালীনই গর্ভপাত করা হয়।
তবে পেনসিলভ্যানিয়ার আইন অনুযায়ী ভ্রূণের বয়স ২৪ সন্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পর গর্ভপাত করানো অবৈধ। অ্যাড্রিয়ান মটন আরও জানিয়েছেন, গর্ভপাত করার সময় ওই ডাক্তারের কথা অনুযায়ী তাঁর মতো আরও কয়েক জন কর্মীও একই কাজ করেছিলে। ঐ মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্টের কথা শুনে স্তম্ভিত বিচারকেরা। গনসেলের আইনজীবীরা অবশ্য জানিয়েছেন, কোনও শিশুই জীবিত ছিল না।
মটন আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করেছেন।
আরও জানিয়েছেন, সাধারণত গর্ভাবস্থার শেষ দিকে থাকা পিছিয়ে পড়া, গরিব মহিলারা মরিয়া হয়ে গর্ভপাত করাতে আসতেন গনসেলের কাছে। সরকার পক্ষের আইনজীবীরা জানান, পুরোনো যন্ত্রপাতি, প্রশিক্ষণহীন লোকজন দিয়ে অবৈধ গর্ভপাত করানোর ব্যবসায় বিস্তর অর্থ উপার্জন করেছেন গনসেল। এ ছাড়া, বেআইনি ওষুধ এবং নিষিদ্ধ মাদক বিক্রির সঙ্গেও তার যোগসূত্র রয়েছে বলে জবানবন্দিতে জানিয়েছেন তাঁরা।
খবরঃ www.sciencetech24.com ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।