কিছুনা লিচু খাই ঈদের ছুটিতে বাসায় গতকাল রাতে এসেই আম্মার কাছ থেকে খবরটা শুনলাম, মেজাজ এখনো গরম তাই লিখতে বসলাম। সবাইকে জানানো খুব দরকার মনে হলো। আমাদের এক আত্নীয় থাকে পুরান ঢাকায়, তাদের এক মেয়ে ক্লাস সিক্সে পড়ে ঐখানকারি একটা নামকরা স্কুলে। ঐ মেয়ের মেরুদন্ডের হাড় বাকা হয়ে গেছে। ঐটুকু বাচ্চা মেয়ের হাড় বাকা হওয়ার একমাত্র কারন অত্যাধিক ওজনের স্কুল ব্যাগ।
স্কুল পর্যন্ত তার মা তা বহন করে , কিন্ত স্কুলের ভিতরতো আর প্রবেশের অনুমতি নাই। আর ঐ বেচারির ক্লাস স্কুলের পাচ তালায়। ডাক্তার বলছে আর কোনোদিনই ভারি কিছুই বহন করতে পারবেনা ও। এখন ঐ স্কুলেরই এক আয়াকে ভাড়া করা হয়ছে যে ঐ ব্যাগ তার ক্লাস পর্যন্ত দিয়ে আসে। ঢাকার অধিকাংশ স্কুলের একই অবস্থা , ঢাকার বাইরেও হইতো তাই।
আমার নিজের ছোট ভাইকে আমি দেখেছি, ওর প্রতিদিন সাতটা ক্লাস থাকে। সাতটা বই তো নিতেই হয় আর সাথে থাকে ১৪টা খাতা। সাতটা cw খাতা আর সাতটা hw খাতা। খাতা আবার নিজ স্কুল থেকেই কিনতে হয়। আপনি যে পাতলা খাতা দিয়ে ভার কমিয়ে দিবেন তা কিন্ত হবেনা।
ছোট ভাইয়ের স্কুল ব্যাগ তুলতে আমারমতো ২৪ বছরের জোয়ানপোলার কালা ধলা ঘাম বের হয়ে যাওয়ার দশা। আর ওদের অবস্থা আল্লাহই ভাল জানেন।
এই শিক্ষা কিভাবে জাতির মেরুদন্ড?? আমাদের ভবিষত প্রজন্মকে কুজা বানাইয়া দিতেছে এই শিক্ষা। এদের দেহের উপর যেভাবে গাধার মতন বোঝা চাপাইয়া দেয়া হচ্ছে। এদের মানষিক চাপও কিন্ত নেহায়েত কমনা।
আপনি আপনার আশেপাশের পোলাপানের ডেইলি রুটিন শুনলেই বুঝতে পারবেন। দেহের সমস্যা খুব দ্রুতই দেখা যাচ্ছে। আর মনে অ্যাবনরমালিটি ধরা পড়তে একটু সময় লাগে , অনেক দেরী হওয়ার আগে এদের বাচাতে হবে আমাদের।
সমস্যার কথা বলে গেলেইতো আর হবেনা , সমাধাণ কিন্ত খুব কঠিন না। বুঝলাম ক্লাসে বই নিয়া যাওয়া লাগবে।
দুই সেট বই কিনা দিলেই তো হয়। এক সেট বই থাকবে বাসায় আর আরেক সেট থাকবে স্কুলে। তাহলেই আর বোঝা বেয়ে নিয়ে যাওয়া লাগেনা। এই পদ্ধতি কিন্ত গুটি কয়েক স্কুলে চালু আছে। হ্যা একটু টাকা খরচ হবে, কিন্ত এখন সবাই বাচ্চার পড়ালেখায় যেভাবে টাকা ঢালছে তাতে দুই সেট বইয়ের দাম কিছুইনা।
আমার জানামতে মেরুদণ্ডের হাড়ের চিকিতসার চেয়ে অনেক কম।
সবাই প্লিজ বাচ্চাদের কষ্ট কমাতে কিছু একটা করেন। আর যাতে কোনো বাচ্চার মেরুদণ্ডে অন্তত কিছু না হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।