আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সঠিক বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধ ইস্যুটির সঠিক সমাধান হওয়া উচিৎ......

যুদ্ধাপরাধ ইস্যুটির সঠিক বিচারের মাধ্যমে সমাধান হওয়া খুব জরুরী বলে মনে হচ্ছে। আমরা সকলে জানি বাংলাদেশের ইতিহাস এবং যে যেমন ভাবে জানিয়েছে তেমন ভাবেই আমরা জানি। কারটা সঠিক কারটা বেঠিক এক মাত্র আল্লাহই ভাল জানেন। তবে আমরা নিজের কাছে বিসস্ত সূত্র যে গুলো সেগুলো থেকে যা শুনি তা বলতে গেলে, পেশি শক্তি ওয়ালা ইতিহাস বিদদের কাছে অপদস্থ হতে হয়। এতে আমরা সহজে বুঝতে পারি যার শক্তি আছে তার পক্ষেই ইতিহাস লেখা হয় ।

যুদ্ধাপরাধ বিচার শুরু হয়েছিলো যুদ্ধের পরই, বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবই শুরু করে ভারত সরকারের চাপে প্রায় শেষ করেছিলেন। আমারা জানি পাকিস্তানী যারা সরাসরি অপরাধের সাথে জড়িত ছিল, তাদের কে ভারত পাকিস্তান সমঝোতার মাধ্যমে পাকিস্তনের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছিলো। শেখ মুজিবেরও সম্মতি ছিল এবং তিনি দয়ালু, বাংলাদেশীরা ক্ষমা করতে জানে, বলে বক্তব্য দিয়েছেন বলেও আমরা শুনেছি। মুক্তি যুদ্ধের সময় যারা নির্যাতিত হয়েছে তাদের পরিবার যুদ্ধের পর থানায় মামলা করেছেন। পাকিস্তানীদের অপকর্মে যারা জঘন্য ভাবে সহযোগিতা করেছে তাদের অনেক কে যুদ্ধের পর পরই মেরে পেলা হয়েছে।

বাকিদের আটক রাখা হয়েছে। আটকদের মধ্য থেকে নিরপরাধ দেরকে মুক্তি দেওয়ার পর যারা আটক ছিলো, তাদের বিচার চলছিলো দালাল আইনে। ঐ অপরাধীদের মধ্যে বর্তমানে আটক অনেক জনই ছিলেন না। যাদের বিচার হচ্ছিলো দালাল আইনে তাদের কে সাক্ষী প্রমাণের অভাবে বিচার করতে সমস্যা দেখা দেয়ায় জিয়াউর রহমান সাধারণ ক্ষমা করে দেন বলে আমরা জানি। জিয়াউর রহমান বহ দলিয় গণতন্ত্রের মাধ্যমে জামায়াতকে রাজনৈতিক মাঠে সক্রিয় ভাবে কাজ করার সুযোগ করে দেন।

আমরা জানি জামায়াত রাজনৈতিক ভাবে সক্রিয় না থাকলেও তার আগে জামায়াতয়ের কার্যক্রম থেমে ছিলোনা, যখন তারা রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলোনা তাদের মাট পর্যায়ে দাওয়াতি কাজ বলে আমরা যেটা জানি সেটা বেশি হয়েছে বলে মনে হয়। জামায়াত ইসলামী মুক্তি যুদ্ধের আগে বা যুদ্ধের সময় তেমন পরিচিত বড় দল ছিলো না। কিন্তু নিষিদ্ধের পর নতুন ভাবে যখন শুরু হলো তখন অন্য ছোট দল যেমন বাম দল গুলোর তুলনায় খুব কম সময়ের মধ্যে মানুষে কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠে, বর্তমানে জামায়াত ইসলাম বাংলাদেশের ৩য় অথবা ৪থ নাম্বার দলে পরিনত হয়। কিন্তু বাম দল গুলোর জন প্রিয়তা তলানিতে অবস্থান করছে। এই জামায়াতকে পাকিস্তান আমলেও নির্যাতন করা হয়েছে , নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কিন্তু শত চেষ্টা করেও দমিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি।

বামদের তুলনায় জামায়াত ইসলামীর জনপ্রিয়তা আকাশ চুম্বী হওয়ার কারণেই আজকে তাদের নেতাদের হরেক রকম অপবাদ মাথায় নিয়ে কারাভোগ করতে হচ্ছে বলে মনে হয়। জিয়াউর রহমানের সাধারণ ক্ষমা এবং গোলাম আযম সাহেবের বিচারের রায়ের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধ ইস্যুটি শেটেল্ড হয়েছে বলে অনেকে ধারণা করেছেন। কিন্তু জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে বামরা জামায়াতের ঈর্ষান্বিত অগ্রগতি দেখে শুধু তা নয় বাংলাদেশের মানুষের ইসলাম ধর্ম পালনে উৎসাহী দেখে ঘাতক নির্মূল কমিটি যা আমদের কাছে ঘাদানিক বলে পরিচিত তাদের আন্দোলনের মাধ্যমে আবার যুদ্ধাপরাধ ইস্যুটি সামনে নিয়ে আসা হয়। যেহেতু যুদ্ধের সময় মুসলমান আলেমরা ভারতের সাহায্য নিয়ে স্বাধীনতা চায় নাই, সেহেতু এই ইস্যুটির মাধ্যমে তাদের কে দমন করা খুব সহজ, এবং সত্যিই তাই। একে-তো বামরা বাংলাদেশে কাজ করে তেমন সুবিধা করতে পারছেন না।

আবার ইসলামী আন্দোলন যারা করছেন তারা বামদের থেকে অনেকটা এগিয়ে যাচ্ছেন। সে তালিকায় শুধু জামায়াত ইসলামী নয়। মুল ধারার প্রায় সকল ইসলামী দলের কথাই বলা যায়। নতুন করে কোন ইসলামী দল বাংলাদেশে শুরু করারও সুযোগ দেয়া হবেনা বলে মনে হয়। আমরা দেখেছি নতুন নামে ইসলামী দল আসতে চাইলেও, তাদের বিরুদ্ধে জঙ্গি কর্মকাণ্ডের কোন অভিযোগ না থাকলেও, তারা সরকারের আইন কানুন মেনে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় থাকতে চাইলেও, তাদেরকে সক্রিয় থাকতে দেয়া হচ্ছে না।

ধরপাকড়ের মাধ্যমে নির্যাতন করা হচ্ছে, এই সবের মুলে যা তা হচ্ছে ইসলামকে ঠেকানো। ঘাদানিকরা আন্দোলন করেও যখন ইসলামপন্থীদের কে ঠেকিয়ে রাখতে পারছেন না। এবং সাধারণ মানুষের কাছে বিষয়টিকে গ্রহণ যোগ্য হিসেবে তুলে ধরতে ব্যর্থ হচ্ছেন, তখন তারা বুদ্ধি করে আওয়ামীলীগর উপর সোয়ার হলেন। আমার মনেহয় তারা এইটা অন্যতম শয়তানি বুদ্ধি করেছেন। একটি মানুষকে যখন ভুতে ধরে তখন শারীরিক গঠন ঐ মানুষের থাকলেও আচার আচরণে ভুতের থাকে।

এখন আওয়ামীলীগ দল এবং শেখ হাসিনা প্রধান মন্ত্রী থাকলেও দল এবং সরকারের কর্মকাণ্ডে মনেহয় যেন বামরা এখন বাংলাদেশের ক্ষমতায় রয়েছে। বামরা যেখানে নিজেরা নিজেদের দলের মাধ্যমে জনসমর্থন পাচ্ছেন না। তখন আওয়ামীলীগের মাধ্যমে নিজেরা সরকার গঠন পর্যন্ত করতে পেরেছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো আদর্শিক কারণে ইসলামী আন্দোলন কে ঠেকানো কিন্তু তারা সরকার পরিচালনার স্বাদও গ্রহণ করছেন, আর মূল আওয়ামীলীগরা বর্তমানে ক্ষমতা থেকে অনেক দুরে। কুল হারিয়ে এখন বামদের পক্ষে দুই কথা বলে কি ভাবে তাদের মন জয় করবে সেই চেষ্টা।

বামদের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধ ইস্যু বামদের আন্দোলন থেকে আওয়ামীলীগের আন্দোলন হয়ে গেল। ভোটের আগে এই ইস্যু ম্যানুপেষ্টুতে স্থান পেল। মঈন উদ্দিনের ঘোড়া লাভের মাধ্যমে, আওয়ামীলীগ যা আশা করেছিলো তার চাইতেও বেশি আসনে জয় লাভ করে ক্ষমতায় বসলো। বামদের যারা ইউনিয়ন মেম্বার হওয়ার জন্যে যোগ্য নয় তারা মন্ত্রিত্ব পেল। যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্যে তোড়জোড় শুরু হলো।

যে আইন করা হয়েছিলো পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্যে সে আইনে পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদের সহযোগীদের বিচার করা হবে, এই সহযোগীদের বিচারের জন্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কিন্তু দালাল আইন করেছিলেন। যদি এই বিচার সত্যিকার আওয়ামীলীগের চাওয়া হতো তাহলে দালাল আইনে বিচার হতো। যেহেতু বামরা ইসলামী আন্দোলনকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্যে এই বিচার নাটক করছে, তাই যেন তেন আইন দিয়ে এদের নির্মূল করাটাই প্রধান লক্ষ তাদের। যুদ্ধাপরাধ আইন দিয়ে করা হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের কথিত সহযোগীদের, তাদেরকে সহযোগী বা দালাল না বলে বলা হচ্ছে মানবতা-বিরোধী। অর্থাৎ মানবতা-বিরোধীদের বিচার হচ্ছে যুদ্ধাপরাধ আইন দিয়ে।

ট্রাইব্যুনাল আন্তর্জাতিক, বিচার হচ্ছে দেশিয় আইনে! মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার, কিন্তু আসামীর অপরাধ প্রমাণিত না হলেও বিচারের শুরু থেকে আসামীকে গ্রেফতার করে কারাগারে রাখা হচ্ছে, যদিও আসামী বিচারের বাধা সৃষ্টি করেছেন বলে কোন নজির নাই। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুসলিম লীগ এবং বর্তমান আওয়ামীলীগের অনেক নেতা এবং তখন কার প্রায় প্রতিটি এলাকার চেয়ারম্যান ও চাকমা এবং বাম নেতাদের অনেকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা এবং পাকিস্তানীদের সহযোগিতা করলেও বর্তমানে বিচার শুরু হয়েছে জামায়াত ইসলামীর নেতৃত্ব স্থানীয় নেতাদের বিচারের মাধ্যমে। আমরা দেখছি মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে প্রথম বিচার শুরু হয়েছে, এবং যারা সাঈদী সাহেব কে খুব কাছ থেকে দেখেছেন বা সাঈদীর এলাকার লোক জনের মাধ্যমে যা জানা যায়, মাওলানা সাঈদী যুদ্ধের সময় কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না। এবং তখন তিনি ছাত্র ছিলেন। যুদ্ধের সময় বাজারে একটা দোকানের কর্মচারী ছিলেন তখনকার এই ছাত্র।

বামরা এবং শাহরিয়ার কবির , জাফর ইকবালরা ভাল করেই জানেন। কিন্তু সাঈদী সাহেবের মাহফিল গুলোতে মানুষের উপস্থিতি দেখে অর্থাৎ সাঈদী সাহেবের জনপ্রিয়তার কারণে তাদের কাছে গোলাম আযম বা নিজামীর চাইতেও গুরুত্ব পূর্ণ হয়ে যায় সাঈদীকে বিচারের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝুলানো। এতে সহজে বুঝা যায় তাদের মূল উদ্দেশ্য জামায়াত ইসলামীকে ঠেকানো নয়, তাদের মূল উদ্দেশ্য ইসলামকে ঠেকানো। বিতর্কিত বিচার তাই বিতর্ক হীন বিচার প্রতি দিয়ে সম্ভব হবে না বলে বিচারক নিয়োগ দেয়া হলো সেই ঘাদানিকেরই এক জনকে! মেধাবী আন্তর্জাতিক মানের পেকটিস করেন তেমন আইনজীবীকে নিয়োগ না দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতির মতো পুতুল আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যাদের বোধ শক্তির অভাব আছে, তাদের কে যা শিখানো হয় রোবটের মতো তাই রিপিট করে যায়! অভিযুক্তদের পক্ষে বিদেশী আইনজীবী আসতে চাইলে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে লড়তে বিদেশী আইনজীবীকে এয়ারপোর্ট থেকে পেরত পাঠিয়ে দেয়া হলো! আমরা দেখছি সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে যে সকল সাক্ষী তাদের কে শেল্টার হোমে রেখে কি ভাবে সাক্ষী দিবে শিখানোর পরও যখন তারা আদালতে জেরার মুখে সত্য বলে দিচ্ছেন তারপর তারা আদালতে সাক্ষী হাজির করতে ব্যর্থতা দেখাচ্ছিলেন। আওয়ামী এমপি আদালতে এসে সাঈদীর বিরুদ্ধে কিছু বলেন নাই।

যে সাংবাদিক বইয়ের পর বই লিখেছেন সাঈদীর যুদ্ধাপরাধ নিয়ে সেও আদালতে এসে নাকানি চুবানি খাইলেন। শাহরিয়ার কবির, জাফর ইকবালরাতো সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে আদালতের বারান্দায় আসতেই ভয় পাইছেন। তাদের খেয়াল হচ্ছে আওয়ামীলীগের মাথায় নুন রেখে বরই খাওয়া। আর আওয়ামীলীগ না তাদের কে আদালতে সাক্ষী হিসেবে আনতে চায়! তাই শাহরিয়ার কবির, জাফর ইকবালদের সভা সমাবেশে বলতে শুনা যায় এদের বিরুদ্ধে বিচারে সাক্ষী লাগে নাকি, তাদের অপরাধ সকলের জানা, তাদের কে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিলে-ইতো হয়! তারা বলেন নতুন প্রজন্মের দাবীর মুখে আওয়ামীলীগ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছেন( তাদের দাবীতে যে হচ্ছে তা ঢেকে রাখার চেষ্টা) কিন্তু নতুন প্রজন্মের এক জন যদি আমি আমাকে ধরি, তাহলে আমিতো শুনেছি শাহরিয়ার কবিরদের কাছ থেকে যে সাঈদী যুদ্ধাপরাধী, কিন্তু যার কাছ থেকে শুনেছি সে যদি সাক্ষী দিতে আদালতে যেতে ভয় পায়, তাহলে আমরা সেই নতুন প্রজন্ম সাঈদীকে নির্দোষ ভাবলে কি ভুল হবে? রোবট আইনজীবীর নানার বাড়ির আবদার, পুলিশের কাছে দেওয়া সাক্ষীদের জবান বন্ধী সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। সাক্ষীরা কেউ ভারতে চলে গেছেন কেউ অসুস্থ ইত্যাদি বাহানা।

কিন্তু আইনে আছে যদি সাক্ষী আদালতে হাজির করার কোন সুযোগ না থাকে অর্থাৎ সাক্ষী পুলিশের কাছে জবান বন্ধী দেয়ার পর এমন কোন দেশে চলে গেছেন যে দেশের সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকার কারণে সরকারের পক্ষে সেই দেশ থেকে আনা যাচ্ছে না। বা সরকারের এই বিচারের জন্যে যে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তার অনেকটা সাক্ষীকে আনতে খরচ হয়ে যাবে মানে ব্যয়বহুল, এবং সাক্ষী জবান বন্ধী দেয়ার পর মারা গেছে। কিন্তু আমরা দেখছি সাক্ষী টিবি মিডিয়াতে সব সময় টকশোতে উপস্থিত হয়ে আলোচনা সমালোচনা করছেন। সাক্ষী শেল্টার হোম থেকে আত্মীয়র বাসায় বেড়াতে যাচ্ছেন। এখন আত্মীয়ের বাসা যদি সরকারের বন্ধু রাষ্ট্র ভারতে হয় তাহলেও-তো তাদেরকে আদালতে আনা কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

আবার কোন সাক্ষী পিন্ট মিডিয়াতে সোশ্যাল মিডিয়াতে বলে যাচ্ছেন যে তাদের যে জবান বন্ধী সাক্ষ্য হিসেবে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে, সত্যিকার অর্থে সেটা তাদের সাক্ষ্য নয়, তারা সাঈদী সাহেব কে যুদ্ধের সময় চিনতেনই না! আমরা আগে দেখতাম যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে বামরা সভা সমাবেশ করতেন। সেই বাম পরিচিত মুখ গুলো সে খানে উপস্থিত হয়ে তাদের কথা বলে চলে যেতেন। যখন থেকে আওয়ামীলীগের সাথে জোট করলো তখন আওয়ামীলীগের সমর্থকদের ইচ্ছা না থাকলেও বামদের কথা শুনতে বাধ্য হচ্ছে। কিন্তু বামদের ইস্যুতে মিটিং মিছিল গুলো সেই চিরা চরিত জন সমর্থন হীনই দেখা যায়। ঠিক একই ভাবে যুদ্ধাপরাধ ইস্যু এইটাও বামদের ইস্যু, এই ইস্যুতে মহা সমাবেশেও মঞ্চের জনসংখ্যার চাইতে সমর্থক বা স্রোতা সমান সমান বলে মনে হয়েছে।

ইদানীং আওয়ামীলীগের সমাবেশ গুলোতেও যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্যে ব্যানার পোষ্টার দুই একটি নজরে পড়ে। কিন্তু জামায়াত ইসলামের উপর স্টিম রোলার চালানো হচ্ছে, জামায়াত ইসলামকে অঘোষিত ভাবে নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছে, তাদের অফিস খুলতে দেয়া হচ্ছে না। তারপরও রাস্তায় তাদের মিছিল গুলোতে সমর্থকদের অভাব দেখা যাচ্ছে না। বিরোধী জোটের সমাবেশ মিছিল গুলোতে অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করে রাখাদের মুক্তির দাবিতে হাজার হাজার ব্যানার পোষ্টার দেখা যাচ্ছে। টিবি মিডিয়ায় টকশো গুলোতে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য দেখলে সহজে অনুমান করা যায় মানুষ কতটা বিরক্ত এই ইস্যুর উপর।

আমার মনেহয় বাংলাদেশের মানুষ অনেকটা বুঝতে পেরেছে যে এই বিচার পহসনের বিচার। কিছু মানুষকে অন্যায় ভাবে শাস্তি দেয়ার উদ্দেশ্যে এই বিচার নাটক করা হচ্ছে। বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনীতি, আইন শৃঙ্খলা, শেয়ার ব্যবসা, বিদ্যুৎ সমস্যা, সব সমস্যার পিছনে যখন সরকারের মন্ত্রীরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখেন তখন মানুষ এই সরকারের উপর বিরক্ত হয়ে বিরোধী দলকে সমর্থন দেয়া ছাড়া বিকল্প খুঁজে পান না। এই বিষয়টি আওয়ামীলীগরা যদি বুঝতে পারেন তাহলেই দেশের মঙ্গল হবে বলে মনে হয়। না হয় বামদের মানবতা বিরোধী বিচারের সম্মুখীন বামদের চাইতে আওয়ামীলীগদেরকেই পড়তে হবে বেশি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.