মুক্তমন। █▓▓▓▒▒▒░░░░
কাউন্ট ড্রাকুলার ডায়েরী থেকে
৩১ মার্চ, শেষ রাত্রি
(পূর্ব প্রকাশিতের পরঃ)
প্রতিটা রাত আমার শক্তি কেবল বেড়েই চলেছে। ধীরে ধীরে আমি প্রবল ক্ষমতার অধিকারী হয়ে উঠছি। কিছু কিছু অপার্থিব শক্তি যুক্ত হচ্ছে আমার মাঝে। নিজস্ব কিছু ক্ষমতা সৃষ্টি হচ্ছে দেহে যা আমার পরাক্রম বেষ্টনী সীমাকে বাড়িয়ে দ্বিগুণ থেকে চতুর্গুণে রূপান্তরিত করে যাচ্ছে।
কিন্তু আমার সকল ক্ষমতার আয়ু কেবল সূর্য ডোবার পর থেকে সূর্য ওঠার আগ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। কারণ, আমি এখন জীবন-মৃত সত্তার অধিকারীদের একজন। আর যারা জীবন-মৃত, তারা দিনের বেলায় ঘুমিয়ে থাকে। তাই দিনে তারা অসহায়, নিঃস্ব। তখন তাদের কোনও ধরনের শক্তি কিংবা ক্ষমতা থাকেনা।
এই সময়টায় তাদের অকেজো বলা যেতে পারে। কিন্তু তাদের পরমাত্মা ঠিকই ঘুরে বেড়ায় আকৃতিহীনভাবে। তবে সন্ধ্যার পর থেকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তারা সক্রিয় থাকে। তখন তারা যা খুশি তা-ই করতে পারে পৃথিবীর কোনও শক্তিই তাদের রুখতে পারেনা। তবে রসুনের কোয়া, ধুনো, বুনো গোলাপের ডাল এবং যে কোনও ধর্মের পবিত্র বস্তু যেমন–– তাবিয, ক্রুশ ইত্যাদিকে এরা যমের মতো ভয় পায় আমার মতোই।
কারণ, এদের সকল ক্ষমতার উৎস শয়তান ও অপবিত্রতা। অপরদিকে ধর্মীয় সকল বিষয়াদিই পরম সৃষ্টিকর্তা প্রভু এবং পবিত্রতায় পরিবেষ্টিত। আর শয়তান সর্বদাই বিধাতার কাছে পরাজিত। অপবিত্রতা সব সময়েই পবিত্রতার স্রোতে হারিয়ে যায়। আর হ্যাঁ, জীবন-মৃত সত্তার অধিকারীরা আরও একটা জিনিসকে অনেক অনেক ভয় পায়।
আগুন। বিধ্বংসী এই পদার্থটাকে মৃত্যুযন্ত্র মনে করে তারা (যদিও তারা আগুনের রূপ নিতে পারে। কিন্তু তাদের আগুন মেকি)। কারণ, প্রথম মৃত্যুর পর তারা মূলতঃ শীতল হয়ে যায়। তাদের শরীর সব সময় বরফের মতোই ঠান্ডা থাকে।
এবং তারা হিমেল পরিবেশে থাকতেই বেশি সাচ্ছন্দ বোধ করে থাকে।
ভোর হয়ে এসেছে প্রায়। একটু পরেই মোরগ ডাকতে শুরু করবে। মুসলমানদের মসজিদে আযান দিবে। তার আগেই আমাকে শুতে হবে।
আজ এ-পর্যন্তই থাক।
(চলবে...)
কাউন্ট ড্রাকুলা–– ১ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।