মুক্তমন। █▓▓▓▒▒▒░░░░
কাউন্ট ড্রাকুলার ডায়েরী থেকে
২৯ মার্চ
সামনে অনেকগুলো মাঠ। পেছনে কয়েকটা মাঠের পর লোকালয়। এই কবরখানায় এসেছি প্রায় ৩ দিন হতে চলল। দিনের বেলা কিছুটা বিশ্রাম আর রাতের আঁধারে দূর-দূরান্তে বিচরণ।
আপাতত এই দু'টোতেই সীমাবদ্ধ থাকছি। আরও একটু ধৈর্যের সাথী হই। ক্ষতি কী তাতে। অনন্তকাল তো হাতেই রয়েছে। আরও কিছুটা শক্তিশালী হয়ে নিই।
৩০ মার্চ, সন্ধ্যা
আপাতত এই বাগানটাতেই থাকছি। গেল বসন্তে এক হিন্দু জমিদারের কাছ থেকে কিনেছিলাম। অপূর্ব সুন্দর আর মনোরম। স্বর্গের একটা অংশের মতোই মনে হয় এটাকে। সারি সারি অথচ হরেক রকমের গাছ গাছালির শেষ মাথায় উত্তর-পূর্ব কোণে কবরখানাটা।
তাতে একটাই কবর। যেটাতে আমি ঘুমিয়ে থাকি। মোরগ ডাকা ভোর থেকে সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত। পশ্চিমের আকাশে রক্তিম আভা ছড়িয়ে, মেঘমালায় কিছুটা গোলাপী রঙ ছিটিয়ে ওগুলোকে বিচিত্র রঙে রাঙিয়ে টকটকে লাল সূর্য দেবতা দিগন্তে হারিয়ে যাওয়ার পর- আমি জেগে উঠি। চরম অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হওয়ায় আমার এমনটা ঘটেছে।
আমার আত্মা শরীর থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হতে পারেনি। আর এ কারণেই পৃথিবীর মানুষের কাছ থেকে বিদায় নেবার পাঁচদিন পরও আমার দেহে একটুও পচন ধরেনি। বরং জীবিতাবস্থার তুলনায় এখন একটু বেশিই সুন্দর দেখাচ্ছে। চেহারাটাও দিন দিন আগের তুলনায় অনেক ফর্সা হতে শুরু করেছে। তবে এখানে হয়তো খুব বেশিদিন থাকা হবে না।
জায়গাটা বেশ মনোরম আর অতি পছন্দের হলেও নিরাপত্তার স্তরটা এতোই ভঙ্গুর যে, রীতিমতো পেরেশানীতেই আছি। বিষয়টা একটানা ভাবিয়েই চলেছে আমাকে। আজ রাতেই খবর নিতে হবে। সেন্ট মার্টিনের পাহাড়ী দুর্গম "টার্ফো" গিরিপথের ভেতর দিকে একটা পাথুরে দূর্গ তৈরী করানোর ব্যাপারে জনাব সুব্রত রয়ের সাথে আলাপ করতে হবে। যতদ্রুত সম্ভব এই অঞ্চল থেকে চলে যেতে হবে।
যদিও তাতে সুন্দর একটা পরিবেশ হারাবো। কিন্তু সেন্ট মার্টিনে এখান থেকে আরও সুন্দর অবস্থান হয়তো অপেক্ষা করছে আমার জন্য। আমি “কাউন্ট ড্রাকুলা” কাল রাতে সেটাই দেখে এসেছিলাম। (চলবে...)
কাউন্ট ড্রাকুলা–– ২ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।