ব্রাম স্টোকারের বহুল পঠিত উপন্যাস ড্রাকুলা -র প্রধাণ চরিত্র কাউন্ট ড্রাকুলার কথা নিশ্চয়ই আপনাদের মনে আছে। এই রক্তচোষা ভ্যাম্পায়ার দিনের বেলায় কফিনে মৃতের মত শুয়ে থাকতো আর রাতে বের হতো শিকারের উদ্দেশ্যে, মানুষের রক্তই ছিলো ড্রাকুলা -র প্রধাণ খাদ্য। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এরকম এক পাপাত্না নরাধমের আবির্ভাব ঘটতে চলছে। আর এই মানুষরুপী পিশাচের নাম নরেন্দ্র মোদী ওরফে কাউন্ট নরেন্দ্র মোদ্রিলা।
কাউন্ট নরেন্দ্র মোদ্রিলা কাউন্ট ড্রাকুলার চেয়েও অনেক এগিয়ে।
সে দিন রাত ২৪ ঘন্টাই মানুষ শিকার করে। শুধুমাত্র মুসলিম মানুষ শিকার করে। ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারীতে এই নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে অসংখ্য মুসলিমকে হত্যা করা হয়। কারো মতে এ সংখ্যা প্রায় দশ হাজার, কারো মতে দুই হাজার বা তারও কিছু কম। কেউবা আবার বলে এ সংখ্যা সাতশ নব্বই জন।
সংখ্যা যাই হোক, নিহতরা প্রায় সকলেই মুসলিম। অনেকে গুজরাটের এ ঘটনাকে দাঙ্গা বলে আখ্যায়িত করে। যে দাঙ্গায় শুধুমাত্র একটি বিশেষ বিশ্বাসের মানুষরাই নিহত হয় সেটাকে দাঙ্গা না বলে গণহত্যা বলাই শ্রেয়। কি ভয়ঙ্কর ও বীভৎস সেই হত্যাকান্ডের কাহিণী। রেহাই পায়নি মায়ের পেটের শিশুও।
এরকম একটা পাপাত্না, দূরাচার, নর্দমার কীট, নরখাদক যখন সমগ্র ভারত শাসন করবে তখন কি ভয়াবহ বিপদ নেমে আসবে সে দেশের সংখ্যালঘু মুসলিম জনগণের উপর, ভাবলেই গা শিউরে উঠে।
হে আমার প্রিয় প্রতিবেশী ভারতীয় ভাইবোন, আপনারা কি করে এরকম এক মানবতার শত্রুকে, দেশের সরকার প্রধাণ নির্বাচিত করতে যাচ্ছেন। আমি জানি, কংগ্রেস অনেক ভুল করেছে। কিন্ত্ত আপনাদের হাতে তো বিকল্প আছে। আপনাদের দেশ তো আমাদের দেশের মত দুটি জোটে বিভক্ত নয়।
আপনারা যেভাবে দিল্লীতে আম আদমির মত নতুন একটি দলকে ক্ষমতায় বসিয়ছিলেন, ঠিক তেমনিভাবে সমগ্র ভারতের ক্ষমতায়ও আম আদমিকে বসার সুযোগ করে দিন। এই শয়তানের প্রেতাত্না নরখাদক নরেন্দ্র মোদীর হাত থেকে ভারতের মুসলিমদের রক্ষা করুন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।