আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশ এখন ইন্দোনেশিয়ার বিস্ময়

বাংলা নিউজ ( ০৭/০৪/২০১২ )----- আলীম ইন্ডাস্ট্রিজের তৈরি কৃষি কাজে ব্যবহৃত যন্ত্র দেশের সীমানা ছাড়িয়ে এখন বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেখা পাওয়ার টিলার, কম্বাইন হারভেস্টার, ধান/গম মাড়াই কল ও ডায়ার মেশিন তিমুর, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে শোভা বর্ধন করছে। আলীমের এ সব যন্ত্রপাতি বাংলাদেশ সম্পর্কে ওই সব দেশের জনগণের ধারণা বদলে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন আলীম ইন্ডাস্ট্রিজ’র ভাইস চেয়ারম্যান আলীমুস সাদাত চৌধুরী। আলীমুস সাদাত চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, এসব যন্ত্রপাতি যখন তারা রফতানি করেন, তখন ওই সব দেশের লোকজন বিষ্ময় প্রকাশ করে জানতে চেয়েছেন, সত্যিই কি বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে? তিনি আরো জানান, ‘ওই সব দেশের লোকজন মনে করেন, এই গরিব দেশে এত বৃহৎ আকারের মেশিন তৈরি করা অসম্ভব। তাদের এ ধারণা বদলে দিয়েছে, আমাদের যন্ত্রপাতি।

’ ‘বাংলাদেশের অনেক যন্ত্রপাতির বিদেশে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তবে প্রচারের অভাবে আমরা মার্কেট ধরতে পারছি না’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। এই শিল্পের প্রসারে আমদানি নীতিমালা সংশোধন হওয়া জরুরি বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা যেসব মেশিন তৈরি করি সেসব মেশিন চীন থেকে আমদানি করতে মাত্র ১০ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। আর আমরা যখন এসব মেশিন তৈরির কাঁচামাল আমদানি করতে যাই, তখন দিতে হয় ৪০ শতাংশ। এতে করে আমাদের অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হয়।

’ সরকার যদি দেশীয় শিল্পের প্রসার করতে চায়, তাহলে কাঁচামালের আমদানি শুল্ক কমাতে হবে। তাহলেই বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে এই খাতে। বাংলাদেশ থেকে সর্বপ্রথম বিদেশে কৃষি যন্ত্রপাতি রফতানিকারক এই প্রতিষ্ঠান প্রধান মনে করেন, সরকারি সহায়তা পেলে গার্মেন্টস খাতের মতো এ খাত থেকেও বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। সিলেটের বাসিন্দা এম আলীম চৌধুরীর হাত ধরে ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আলীম ইন্ডাস্ট্রি। এম আলীম চৌধুরীর মৃত্যুর পরে প্রতিষ্ঠানের হাল ধরেন তার তিন সন্তান।

তাদের ৬টি ইউনিটসহ প্রধান কারখানায় সাড়ে ৪০০ শ্রমিক কাজ করছেন। যন্ত্রপাতি তৈরির পাশাপাশি আলীম ইন্ডাস্ট্র্রি গবেষণা ও নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কারে কাজ করে যাচ্ছে। আলীমের প্রায় ২০টির মতো পণ্য থাকলেও দশে বিদেশে তাদের ধান ও গম মাড়াই কল, জমি চাষের পাওয়ার টিলার, শষ্য ঝাড়াই ও শুকানো মেশিন, ধান ও গম কর্তন মেশিন এবং ভুট্টা মাড়াই মেশিন খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আলীমুস সাদাত চৌধুরী দাবি করেন, তাদের তৈরি ধান কাটা মেশিন ব্যবহার করা হলে প্রতি একর জরি ধান কাটতে প্রায় ৫ হাজার টাকা সাশ্রয় হয়। দিনে ২৭ জন শ্রমিক যে পরিমাণ ধান কাটতে পারে, আলীম কম্বাইন হারভেস্টার ১ ঘণ্টায় সেই কাজ করতে পারে বলেও দাবি করেন তিনি।

একই ভাবে তাদের অন্যান্য পণ্যও বিশেষ মানসমৃদ্ধ। যে কারণে অন্যান্যের তুলনায় এগিয়ে রেখেছে তাদের। প্রতিটি যন্ত্রের বিক্রয়োত্তর সেবা দিচ্ছে ১ বছর। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী তৃতীয় আন্তর্জাতিক শিল্প পণ্য ও প্রযুক্তি মেলায় অংশ নিয়েছে আলীম ইন্ডাস্ট্রি। মেলায় তাদের স্টলেই ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় বেশি লক্ষ্য করা গেছে।

বিসিক শিল্পনগরী সিলেটে এর প্রধান কার্যালয় রয়েছে। এছাড়া সারা দেশে রয়েছেন ১৫০ জন এজেন্ট। কৃষকের কাছে মানসম্পন্ন যন্ত্রপাতি পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানি এরই মধ্যে অনেক পদকে ভূষিত হয়েছে বলেও দাবি করেন আলীমুস সাদাত চৌধুরী। দেশের এই পণ্যের মাধ্যমে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বাড়াতে তিনি সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.