মেঘনা দখলের নতুন উদ্যোগ এবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ঝাউচর এলাকায়। সেখানে নদীর বুকে কারখানা নির্মাণের লক্ষ্যে সব ধরনের তৎপরতা শুরু হয়েছে।
বড় বড় কাঠের খুঁটি গেড়ে এরই মধ্যে দখলপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে আল মোস্তফা নামে একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। যার মালিক মোস্তফা কামাল।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা অবৈধ নদী দখলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এলাকাবাসী একজন স্থানীয় যুবলীগ নেতার কথা জানালেন যিনি এ কাজের তদারকিতে রয়েছেন। বিষয়টি থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়ালেও তাতে কোনো প্রতিকার চোখে পড়েনি।
পুলিশ নিজেরা বাদী হয়ে সোমবার সোনারগাঁ থানায় আল মোস্তফার নামে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে।
মেঘনাঘাটের কাছে ইসলামপুরে তার আরও একটি কারখানা রয়েছে। টিনজাতীয় পণ্য তৈরি হয় এ কারখানায়।
সোনারগাঁ থানার ওসি হারুন অর রশিদ বলেন, ‘কয়েক দফা তাঁদের নিষেধ করা সত্ত্বেও নির্মাণ কাজ চলতে থাকায় আল-মোস্তফা কোম্পানির মালিকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে জিডি করা হয়েছে। `
প্রতিষ্ঠানটিকে নদীর তীরে সব ধরনের নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নির্দেশ অমান্য করলে মামলা করা হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, প্রায় এক মাস ধরে চলছিলো ওই খুঁটি পোতার কাজ।
পরে উপজেলা প্রশাসনকে খবর দিলে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ আসে।
এলাকাবাসী আরও জানায়, শুরুতে কিছু জমি কিনে নিয়ে আশেপাশের খাসজমি বালু দিয়ে ভরাট শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে ধীরে ধীরে নদী দখলের দিকে যায়। পাড় থেকে নদীর ভেতরে প্রায় ৪০০ ফুট পর্যন্ত বেড় দিয়ে গজারি গাছের খুঁটি পুঁতে দেওয়া হয়েছে।
কয়েকজন জানান, বেড় দেওয়া নদীর বুকে বালুর বস্তা ও মাটি ফেলে ভরাট করা হবে। সেখানেই নির্মাণ করা হবে কারখানা।
কে এই যুবলীগ নেতা সে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায়, তিনি সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান। অবশ্য তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আল মোস্তফা কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দায়িত্বপ্রাপ্তদের একজন দাবি করেন, কেনা জমিতেই তারা কারখানা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। তাদের দাবি কেনা জমি নদীর ঢেউয়ে ভেঙ্গে যাওয়াতেই নদীতে বেড়া নিয়ে তা দখল করা হচ্ছে।
তবে এ ব্যাপারে উপজেলা ভূমি অফিসের বক্তব্য, ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি নদীতে ভেঙ্গে গেলে তা খাস জমি হিসেবেই বিবেচিত হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।