আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিরাপত্তাহীনতায় ক্রেডিট কার্ড!

এ জগতে তাই যত কিছু পায় তৃপ্তি আমার নাই অন্যের ধন দেখে কেন আমি করি শুধু হায়হায়! ব্যাংক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহযোগীতা দরকার- নিরাপত্তাহীনতায় ক্রেডিট কার্ড! এখনকার তরুন প্রজন্ম সহ চাকুরীজীবি, ব্যবসায়ী প্রায় সকলের মধ্যেই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার ব্যপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দু’বছরে বিপুল সংখ্যক মানুষের হাতে পৌছে গেছে ক্রেডিট কার্ড। এর অন্যতম কারন হলো ব্যাংকগুলো গ্রাহকদেরকে খুব সহজশর্তে এই ঋণ সুবিধা দিচ্ছে। এছাড়া এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই নগদ অর্থ ব্যবহারের না করেই খুব সহজেই কেনাকাটা করতে পারি। এবং অনেকে সখের বসে ক্রেডিট কার্ডে কেনাকাটাকে Prestigious Life Lead করছেন বলে মনে করেন।

যদিও আজকাল এই সুবিধা আপনি ভিসা ডেবিট কার্ডেও পেয়ে থাকবেন, ভিসা ডেবিট কার্ডে আপনার ব্যাংক এ জমাকৃত অর্থ থেকে আপনি কেনা কাটা করছেন আর ক্রেডিট কার্ডে আপনি যা করছেন তার পুরোটাই ব্যাংক ঋণ। আপনার ক্রেডিট কার্ড দিয়ে যে কেউ কেনাকাটা করতে পারেনঃ আপনার ক্রেডিট কার্ড দিয়ে যে কেউ কেনাকাটা করে আপনাকে বড় ধরনের বিপদে ফেলে দিতে পারেন। কারন কেনাকাটার সময় সাক্ষর মিলানো হয় না। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এমন কিছু করা যায় কি পস মেশিনে কার্ড দেবার পরে গোপন নম্বার বা কোন পিন কোড গ্রাহক থেকে নিতে হবে। তাহলে আমার মনে হয় বেশ কিছু নিরাপত্তা বলয় তৈরী হয়।

আমার মনে নিরাপত্তার বিষয়গুলো ব্যাংকগুলোর গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিৎ। কেননা গ্রাহকদের উন্নত সেবা প্রদান ছাড়াও এটা একটা সামাজিক দায়বদ্ধতার মধ্যেও পড়ে। ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কিত আরো কিছু তথ্যঃ বিভিন্ন ব্যাংক তাদের গ্রহকদের খুব সহজেই ক্রেডিট কার্ড দিতে পারে কেননা ক্রেডিট কার্ড নিতে তেমন কোন গ্যারান্টরের দরকার পড়েনা, এতে নেই কোন ‘সিআইবি’ ( ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো ) জটিলতা । আবার ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ‘সিআরজি’ ( ক্রেডিট রিস্ক গ্রেডিং )। ক্রেডিট র্কাড দিয়ে বুথ থেকে ক্যাশ টাকা তোলা যায়।

তবে এক্ষেত্রে প্রথমেই মোট টাকার উপর ২% ফি এবং আবার মোট টাকার উপর ২.৫% চক্রাবৃদ্ধি সুদ ওই সময় থেকেই শুরু হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে কার্ড চেক তুলনা মুলক ভাল কারন ৪৫ থেকে ৫০ দিনের ক্রেডিট লিমিট পাওয়া যায়। কার্ড চেক ব্যাংকের চেক বই এর মতই চেক বই তবে র্পাথক্য হলো এর মাধ্যমে সরাসরি ব্যাংক থেকে ক্যাশ টাকা তোলা যায় না। কোন একাউন্টে জমা করতে হবে । ব্যাংক এখানে মোট টাকার উপর ১.৫% চেক প্রসেসিং ফি এবং এই১.৫% এর উপর ১৫% ভ্যাট দিতে হয়।

অর্থাৎ ১০০০০ টাকা চেক দিলে এর উপর ১.৫% ফি (১৫০ টাকা) ছাড়া ও এর উপর ১৫% ভ্যাট দিতে হবে। ব্যাংক এর ইদানিং প্রায় সব ব্যাংক তাদের ক্রেডিট কার্ডের মেয়াদ ৪৫ দিন দিয়ে থাকে। অর্থ্যাৎ কেনাকাটা করার ৪৫ দিনের মধ্যে টাকাটা ফেরত দিতে হবে তবে বুথ থেকে । বিল সাইকেল হলো আপনার বিল তৈরি হবার সময়। মনে করুন আপনি একটি ক্রেডিট র্কাড করেছেন মাসের ১ তারিখে এবং আপনার বিল তৈরি হবে ঔ মাসের ৩০ তারিখে।

আপনাকে এই বিলটি ফেরত দেবার সময় পাবেন পরের মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত । এই মোট ৪৫ দিন্ই (মাসের ১ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ মোট ৩০ দিন এবং টাকা ফেরত দেবার জন্য পরের মাসের ১৫ দিন=৪৫ দিন)হলো আপনার বিল সাইকেল। এখন আপনি যদি মাসের ১ তারিখে কোন কেনাকাটা করেন তবেই আপনি ৪৫ দিন টাকা ফেরত দেবার সময় পাবেন। আর আপনি যদি মাসের ৩০ তারিখে কোন কেনাকাটা করেন তবে আপনি সময় পাবেন মাত্র ১৫ দিন। আপনি যদি এই ৪৫ দিনের মধ্যে টাকাটা ফেরত না দেন তবেই ব্যাংকের লাভ কারন তখনই আপনার খরচ করা টাকার উপর ব্যাংক ২.৫% (বছরে ৩০%) চক্রবিৃদ্ধি হারে সুদ আরোপ করবে।

আর এটা শুরু হবে যেদিন আপনি কেনাকাটা করেছিলেন সেদিন থেকেই। অনেকেই মনে করেন সুদটা ৪৫ দিন পর থেকে শুরু হবে, আসলে তা না। আর চক্রবিৃদ্ধির কারনে সুদটা খুব তারাতারি বাড়তে থাকে। ৪৫ দিন মেয়াদ কেবলমা্ত্র POS মেশিন ও চেক বই এর মাধ্যমে পাওয়া যায়। চেক বই এ শুধু আলাদা করে ফি দিতে হয়।

ক্যাশ টাকা তোলার ক্ষেত্রে এই সুবিধা পাওয়া যায় না। (এই প্যারা টুকু সংগৃহীত ব্লগার জনাব আব্দুল বাকী থেকে) একজন গ্রাহকই আজকাল প্রায় ৪/৫ টা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করছে। অনেকে আবার ঋনের বোঝা বাড়িয়ে এক ব্যাংকের কার্ড দিয়ে অন্য ব্যাংকের বিল পরিশোধ করছেন যা কিনা একটা সময় ভয়াবহ রুপ নিতে পারে। সর্বপরি আমাদের মনে রাখা দরকার ক্রেডিট কার্ড এক প্রকার ঋন আপনি আমি যা খরচ করব তা অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।