আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন কোন অহিংস সফল আন্দোলন হয়েছে কিনা জানা নেই

৫ই মে এর গনহত্যা ইতিহাসের নৃশংস গনহত্যা গতকালের ঐতিহাসিক জাগরণের সাক্ষী হতে পেরে আমি গর্বিত। বাংলার মাটি এমন জাগরণ আর দেখে নি। অল্পসংখ্যক মানুষের সমাবেশকে "মহাসমাবেশ" আখ্যা দিতে থাকায় গতকালের জনসমুদ্রকে ব্যক্ত করতে শব্দসংকটে পড়েছেন অনেকেই। "লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ" রবে ধ্বনিত হয়েছে গতকালের আকাশ-বাতাস, রাজপথ আর গলিপথ। এমন কোনো জায়গা নেই, যেখান থেকে মানুষ বের হয় নি।

আমি দেখেছি কলা বিক্রেতাকে কলা দিতে, আপেল বিক্রেতাকে আপেল দিতে, পানি বিক্রেতাকে পানি দিতে। দেখেছি রিকশাচালককে লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহর স্লোগান দিতে। আমাদের পাশে রাজেন্দ্রপুর থেকে হেঁটে আসা দুই ভাই ছিলেন। তাদের চেহারায় ক্লান্তির কোনো ছাপ ছিল না। মাগরীব পড়ে রওয়ানা করেছেন।

সারা রাত হেঁটেছেন। ফজর পড়ে খানিকটা বিরতি দিয়ে হেঁটে হেঁটে মিছিলের সাথে চলে এসেছেন। সমাবেশস্থলের আশ-পাশের যতদূর চোখ গিয়েছে কেবল মানুষ আর মানুষ ছিল। সাধারণ মানুষ যে যেভাবে পেরেছে পানি, খাবার ইত্যাদি বিতরণ করেছে। কোনো রাজনৈতিক সমাবেশে লাখ টাকা দিয়েও কাউকে গাজীপুর থেকে টানা হাঁটিয়ে মতিঝিলে আনা যাবে? এ শক্তির উৎস কী, এ নিয়ে কোনো গবেষণা হয় না কেন? এ শক্তির উৎস ঈমান, যার কোনো ক্লান্তি নেই।

গতকাল সমাবেশস্থলে কি হয় না হয় ইত্যাদি নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু পরিশেষে? নিউজ করার মত সেরকম কোনো ঘটনাই খুঁজে পাওয়া যায় নি। কোথায় অন্য সব সমাবেশ থেকে আগুনে বাস পোড়ানো হয়, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আক্রমণ করা হয়; আর গতকাল তাদের পানি ও খাবার পরিবেশন করে সাদরে আপ্যায়ণ করা হয়েছে। বাংলার পতাকা উড়েছে সসম্মানে, অহংকারে। নিউজের বিষয় না পেয়ে বোতল মারাকে নিউজ করা হয়েছে।

বাধা দিয়ে মারামারি বাধিয়ে নিউজ করার চেষ্টা করা হয়েছে। গতকালের মহাসমাবেশের সবচেয়ে বড় অর্জন মুক্তভাবে লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ বলা। অনেক দিন ধরে যেন লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহর কণ্ঠ চেপে ধরে রাখা হয়েছিল। যা গতকাল স্ফুলিঙ্গ হয়ে গর্জে উঠেছে আকাশে-বাতাসে। ওলামায়ে কেরাম বুঝিয়ে দিয়েছেন, অহিংস আন্দোলন একমাত্র তাদের দ্বারাই সম্ভব।

যারা বছরের ৫২টি জুমায়, ৩৬৫ দিনের নামাযে ও শতাধিক দিনে ওয়াজে-তাফসীরে মানুষকে অহিংস হতে শেখায়, অহিংস আন্দোলন কেবল তাদের পক্ষেই সম্ভব। তারা জঙ্গি নয়, তারা সঙ্গী। তারা সৎ সঙ্গী, সৎ সাথী, সৎ বন্ধু। এটি একটি ফেসবুক স্ট্যাচ। আমার এক সুহৃদ ইউছুফ সুলতান ভাইয়ের ফেসবুক থেকে নেওয়া।

আমি এতে অংশগ্রহন করতে পারিনি,তাই আত্বারদহনে পুড়ছি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.