ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থারয়টার্স ইরানের একদল মহিলা মার্শাল আর্টিস্ট বা ক্রীড়াবিদকে গুপ্ত ঘাতক বা সন্ত্রাসী বলে অভিহিত করায় তারা এই বার্তা সংস্থাটিরবিরুদ্ধে মানহানির মামলারউদ্যোগ নিয়েছেন। গত মাসে রয়টার্স ইরানের রাজধানী তেহরানের কাছে একটি মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণরত কয়েকজন ইরানি মহিলা ক্রীড়াবিদের ছবি দেখিয়ে এ দাবি করেছিল যে, ইরান সম্ভাব্য বিদেশী হামলাকারীদের হত্যার জন্য তিন হাজারেরও বেশি মহিলাকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। ব্রিটেনের আরো কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সের ওই প্রতিবেদন প্রচার করে। ইরানের সংবাদ মাধ্যম ওই প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ জানালে রয়টার্স প্রতিবেদনটির কিছু অংশে পরিবর্তন আনে, কিন্তু মানহানির জন্য ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করে। ইরানের মার্শাল আর্টিস্ট ওই মহিলারা বলছেন, ইতোমধ্যে তাদের সম্মান হানি হয়েছে এবং তাই তারা মানহানির জন্য মামলা দায়ের করছেন।
তারা বলছেন, রয়টার্সের সাংবাদিক তাদের প্রশ্ন করেছিলেন যে ইরান হামলার সম্মুখীন হলে তারা কি করবেন?-এর উত্তরে তারা দেশপ্রেমে উজ্জীবিত যে বক্তব্য দিয়েছিলেন রয়টার্স তাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে তাদের গুপ্ত ঘাতক বা সন্ত্রাসী বলে অভিহিত করে। খাতের জালিলজাদেহ নামের একজন ইরানী মহিলা ক্রীড়াবিদ ইরানের প্রেস টিভিকে এ প্রসঙ্গে বলেছেন, "রয়টার্সের একজন মহিলা আমাদেরকে মাত্র একটি প্রশ্ন করেছিলেন যার উত্তর ছিল খুবই স্পষ্ট। আমি বিশ্বাস করি বিশ্বের যে কোনো স্থানে যে কোনো ব্যক্তি হামলার মুখে নিজ দেশের প্রতিরক্ষায় এগিয়ে আসবেন, কিন্তু ওই মহিলা আমাদের বক্তব্যকে বিকৃত করে আমাদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে তুলে ধরে খবরের শিরোনাম করেছেন। "তিনি আরও বলেন, "আমরা যারা নিনজুৎসু শিখছি তারা এটাকে খেলা বা ক্রীড়া হিসেবেই উপভোগ করছি, এটা শরীরকে ফিট রাখার চর্চা মাত্র। কিন্তু রয়টার্স আমাদের ব্যাপারে মিথ্যা বলেছে।
"
রাহিলেহ দাউদজাদেহ নামের ইরানের অন্য একজন মহিলা নিনজা রয়টার্সের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, "রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনের ফলে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আমাদের অংশগ্রহণ বাধাগ্রস্ত হতে পারে, কারণ, অনেকেই রয়টার্সকে নির্ভরযোগ্য সংবাদ সূত্র মনে করেন। তারা আমাদের যে ক্ষতি করেছে তাকে অকার্যকর করা সম্ভব নয়, তাই আমরা আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা সারা বিশ্বকে এটা জানাতে চাই যে রয়টার্স আমাদের ব্যাপারে মিথ্যা বলেছে। " ২২ বছরের আগে ইরানে নিনজুৎসু ক্রীড়ার প্রচলনকারী প্রশিক্ষক আকবার ফারাজিও রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, তার ছাত্রীরা এ মামলায় শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবেন। ইরানে নিনজুৎসু ক্রীড়া সরকারিভাবে অনুমোদিত এবং দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও মার্শাল আর্ট ফেডারেশন এ খেলার তত্ত্বাবধান করে থাকে।
রয়টার্সের যে সাংবাদিক ওই প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন তিনি আদালতে এ সংক্রান্ত মামলা দায়ের করার সামান্য সময় আগে ইরান ত্যাগ করেছেন। আসলে পশ্চিমা বিশ্ব কি বেহায়া ! তাদের মধ্যে কি কেবল অশুভ ভাবনা ছাড়া আর কিছুই থাকতে পারে না! তারা কত নষ্টামী করবে। # ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।