এই নামটার প্রতি কেন যেন আমি বরাবরই দুর্বল। তখন ১৯৯৩; আমি ক্লাস থ্রিতে। সালমান শাহ -মৌসুমী র কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবি আসলো। আমি অবাক হয়ে মৌসুমীকে দেখি। তখন এসবের কিছু বুঝতাম কিনা মনে নেই।
তবে এক ধরনের ভালো লাগতো। ইত্তেফাকে তখন বাংলা ছিনেমার পোস্টার ছাপাতো। আমি মৌসুমীর ছবিগুলো একটি খাতায় আঠা দিয়ে আটকে রাখতাম। অবসর সময় দেখতাম। এই নিয়ে ছোট ভাই নানা খোটা দিত।
হা হা হা::::::আর আব্বুর বকা খাওয়া ছিল নিয়মিত। কিন্তু খাতাটা আমি ছিড়ে ফেলিনি। লুকিয়ে রেখেছিলাম।
যাই হোক এভাবে দিন কাটতে কাটতে আমি যখন ক্লাস এইটে উঠলাম। তখন সত্যি সত্যিই মৌসুমী'র দেখা পেলাম।
সো সুইট। তাও আবার আমাদের বাড়ির সাথে লাগানো বাড়িতে ভাড়া এলো। তবে একটা বোকামীর কথা কি জানো_-_আমি সাইকেল চালিয়ে যখন যেতাম তখন ওকে রাস্তায় দেখলে হা চেয়ে থাকতাম। আর ও শুধু হাসতো। একদিন আমি আমার রুমে বসে পড়ছিলাম।
দেখি ও ছাদের রেলিংএ দাড়িয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এভাবে কাটলো বেশ কিছুদিন। প্রথম প্রেম কিছু ভিরুতা। নারভাসনেস। তারপর এক সময় যখন বললাম।
তখন কি এক নীতি কোথা শোনালো। "বাসার অনুমতি ছাড়া আমি কিছু করতে পারবো না। আর ভালো লাগলেই সবকিছু পাওয়া যায় না" আমি মাথা নিচু করে ছুটে যায় কুয়াশার আড়ালে। তাহলে কেন এমনভাবে তাকাতে? কেন এখনো তাকাও। এত মায়া নিয়ে কি দেখো আমার দেখো।
মফস্বল শহর তাই আর সে ফুসরত হয়নি, এ প্রশ্নগুলো উত্তর পাবার। সে সময় মাকসুদের মৌসুমী -২ গানটা বেশ ভালো লাগতো। কিন্তু তা যে এরকম সত্যি হবে ভাবিনি।
এর পর অনেক দিন কেটে গেলো। আমার মাথায় আর প্রেম করার চিন্তা আসেনি।
(ন্যাড়া একবারই বেল তলায় যায়) আমি চলছিলাম আমার মত। লেখা পড়া শেষে আর দশজনের মত আমিও চাকরীর পিছু ছুটছি। ইন্টারভিউয়ের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানে গেলাম। ভাইভা ভালো হল। আমাকে ওয়েট করতে বলল রেজাল্টের জন্য।
টিভি চ্যানেলের সামনে দাড়িয়ে কখন ভিতর থেকে কিছু বলবে। আমি চেয়ারম্যান স্যারের গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে। দেখলাম একটি মেয়ে আসছে। বাহ্ বেশ সুন্দরতো। সেই প্রথম প্রেমের পর ২য় কোনো মেয়েকে ভালো লাগলো আবার।
আমার পুরোনো নীতি ভাঙতে থাকলো_-"তোমাকে ছাড়া বাচবো না, তুমি ছাড়া জীবন বৃথা"_-এসব আর কি। মনে হল নাহ্ আমার জীবন বৃথা না। ও চলে -গেলেও সব শেষ না। তারপর চাকরীতে ঢুকলাম। কথা হল।
চেনা জানা হল। একই বিভাগের হওয়ায় ঘনিষ্টা বাড়লো। কাজের সূত্রে। আমি কিন্তু একবারো ওকে বলিনি যে ভালোবাসি। ওই প্রথমে আমাকে বলেছে।
কিন্তু তাকে পেতে হলে আরো ভালো চাকরী পেতে হবে। চেহারা ইনোসেন্ট অ্যাম্বিশন হাই। তার বড় হতে হলে এই এই যোগ্যতা লাগবে, সেই থাকতে হবে। এসব এসব। কিন্তু শেষ মেষ আমার চাওতেও অযোগ্য এক বেকারকে বিয়ে করে বসে থাকলো।
সেই ছেলের ফ্যামেলি তাকে চাকরীও করতে দেয়না। অথচ আমার বেলায় শর্ত ছিল ও যদি চাকরী করতে চাই আমার কোনো আপত্তি থাকবে না। এখন আমার ওকে ছলনাময়ী বলে ডাকতে ইচ্ছে করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।